মাঝে মাঝে আমরা এই সমস্যায় পড়ি। কত শব্দের মধ্যেই তো ম-ফলা থাকে। সেগুলোর কোনোটা উচ্চারিত হয় আবার কোনোটা হয় না। বুঝব কেমন করে? আসুন জেনে নিই সংক্ষেপে:
১. শব্দের প্রথমে ম-ফলা থাকলে ম-এর উচ্চারণ হয় না, তবে সে ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্য উচ্চারণ হয়।
যেমন : শ্মশান (শঁশান্), স্মৃতি (সৃঁতি), স্মরণ (শঁরোন্) ইত্যাদি।
২. পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে
উচ্চারণে সেই বর্ণটির দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়।
যেমন : আত্মীয় (আত্তিঁয়ো), পদ্ম (পদ্দোঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়), ভস্ম (ভশ্শোঁ), রশ্মি (রোশ্শিঁ) ইত্যাদি।
৩. যুক্তব্যঞ্জনের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-ফলার উচ্চারণ হয় না।
যেমন: যক্ষ্মা>জোক্খা,লক্ষ্মণ>লকখোন ইত্যাদি।
৪. ন,ট,ং,গ,ণ,ম,ল (টলমনণগং)- এ বর্ণগুলোর যে কোনো একটির সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-এর উচ্চারণ হয়।
যেমন: বাগ্মী >বাগমি, জন্ম>জনমো, মৃন্ময় >মৃনময় ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম:
এই নিয়মের কয়েকটি ব্যতিক্রম উচ্চারণও দেখা যায়।
যেমন :
সুস্মিতা (সুস্-মিতা), উষ্ম (উশ্মো), সুস্ময় (সুশ্-ময়) ইত্যাদি।
***
মজনুর রহমান
পরিচালক, বাংলাবাড়ি, রংপুর।