এখানেও বাড়ে লতা;
হৃদয়ের মাপ নিয়ে মাঝ মাঠে হয় রসিকতা
শরীর গড়ার ভোর লুটে নেয় চেনা অসারতা।
আয়ুর যোগান খায়;
তলোয়ারে দিয়ে তাল বাতাসেরা নামে বিছনায়
সোহাগিনী কাঁদে একা ঘুম তার ডোবে মোহনায়।
নীরবতা ঘামে দূরে;
আলোর খবর দেয়া কালোমেঘ ঝরে বুক ফুঁড়ে
পাতার বাঁশিরা সব ভোলে সুর- ভুল ঠোঁট ঘুরে।
নগর নাচানো গীতে;
শানের দেয়াল ছিঁড়ে মহুয়ার বন কাঁপে শীতে
পাখির প্রথাও জানে দালালের স্বর বিপরীতে।
কালো শখ আছে শত;
শুয়োরের নখের মতোন রেখে যায় গাঢ় ক্ষত
হেঁটে যায় মানুষেরা- পদচ্ছাপ কুকুরের মতো।
বেঘোরের মোড় জানি; শহরের সোহাগেরা বলে মুখে, সুরধুনী চিনি
বেলা শেষে করে চন্ডিদাস সাজে সেও রজকিনী।
শহুরে রঙেরা যতো
বাহুতে আদর করে হৃদয়ে রাখে না;
কাঁঠাল পাতার মতো
হলুদ শরীর নিয়ে বোঁটায় থাকে না।
শহুরে পুকুর কালো
ফল শেষে ফলোয়ার পেছনে ডাকে না;
জলের নিলাম ভালো
পিঠ চেনা পা’দুখানা আলোতে ঢাকে না।
শহুরে আলোরা ভিতু
আঁধারের হাতে গড়া বাতিরে ধরে না;
চলনে চালাক ঋতু
বিনয়ের রাজা সাজে চেতনা নড়ে না।
শহুরে শরম গত
রোয়াকপাখির চোখে নেকাব জোটে না;
লোকাল বাসের মতো
বিলে থাকা বক যেনো ক্ষুধাই মেটে না।
যুঝি ক্রোধ- খুঁজি শোধ;
শালিকের ডানা জুড়ে ভেসে থাকা বিকেলের রোদ
ঘাগরার ধুলো মুছে আনে রাত; জাগে শুভ স্রোত।
আঁধারেও হাসে কায়া;
কলমি লতার মতো চোখে ভাসে পুকুরের মায়া
শহুরে সাঁতার হাসে; পাশে বাড়ে বিজনের ছায়া।
ছায়া নিয়ে মজে ঘোরে;
যার ডাকে জাগে পথ- নিশিধোয়া শহরের ভোরে
দেহ তার নাচে রঙে; কথা নাচে তুফানের তোড়ে।
চেনা দুঃখে দোলে পাল;
শহুরে খালের দেহে আঁকা থাকে অচিনের কাল
আগুন জ্বালায় চোখে;
শোকে ভেজে নাগরিক হাল।
ভাঁজে ভাঁজে নামে রোদ;
ঘুমের ঘ্রাণের মতো জেগে থাকে চেনা প্রতিশোধ
চোখের গভীরে জাগে ভুল সাধ; জাগে কালো ক্রোধ।
শহুরে সরল শোক;
সড়কে পাথর কাঁদে; স্বর ভাঙে কালের স্মারক
কালোকে মিলিয়ে নিতে যায় দিন; জাগেনা জারক।