কে বলে শূন্য-ঘট? কে বলে সবশেষ?
এ এক প্রসববেদনা, আসছে নতুন পথ, আসছে আলো, আসছে নতুন অতিথি…
পথ-প্রান্তর আজ শূন্য। প্রান্তরে তার আগমনী প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে সময়…
আজ প্রকৃতি মুক্ত নিশ্বাস ফেলছে, পাখিরা গাইছে গান আকাশ হাসছে করছে কাব্য, সাগর পেয়েছে স্বাধীনতা।আর,
নিপুণ নিস্তব্ধতায় তিনি লিখে চলেছেন শান্তির ক্রোড়পত্র…
কবি গান গায়, কবি ছবি আঁকে, কবি বসে থাকে মুদিত নায়নে তবু সে তাইতো দেখে যা তুমি দেখোনা…
কবি’রে বলেছিলে তুমি স্বপ্নচারী অবাস্তব কারিগর! অথচ আজ বাস্তবতা, পৃথিবীর কোথায় নেই মারণাস্ত্র খেলা, সবাই থেমে গেছে। ট্রিগারে নেই হাত, ওখানে জেগেছে মানবিক খেলা, মনুষ্যত্ব। পৃথিবীর সব মানুষ এককাতারে আজ। কবি হাসে, গান গায়, খেলা করে-
শব্দের খেলা শুধু সারাবেলা।
কবি প্রাণ খুলে আজ দু’হাত তুলে ঘোষণা দেয়ঃ
কিছুই শেষ হয়ে যায়নি, চেয়ে দেখো প্রিয়-
শূন্য-ঘট পূর্ণ আজ মানুষের কোলাহলে।
মানুষ ভুলে গেছে আজ হিংসা বিদ্বেষ ভয়!
ঐ যে ধেয়ে আসছে দেখো-
ভালোবাসা, বিজয় ধ্বনি! মানবজাতির জয়….