ফাগুন আকাশে বাতাসে। রং এ সেজেছে প্রকৃতি। শীত চলে যেতে গিয়েও ফিরে তাকাচ্ছে শীতল পরশ নিয়ে। দিনে মৃদু গরম রাতে শীত। আবহাওয়া পরিবতনের সাথে সাথে শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা যায়। বড়রা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও শিশুরা পারে না। আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত একটি রোগ হলো শিশুদের সর্দি কাশি। যদিও সারাবছর ভাইরাসজনিত এ রোগ হয় তবুও বসন্তের শুরুতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের বাবা-মা ডাক্তারের চেম্বারে ভীড় করে। আর বর্তমানে করনা আতংকে সবাই আতংকিত। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে করনায় সাধারণতঃ সর্দি হয় না। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা যদি শিশু আক্রান্ত হয় তবে শুরুতে জ্বর সাথে নাক দিয়ে পানি পরে কাশি হয়। অনেকসময় জ্বর-সর্দি কাশি একসাথেই চলতে থাকে। জ্বর অনেকসময় ১০৩ডিগ্রী পযন্ত হয়। শিশু খেতে চায় না। সারাক্ষণ বিরক্ত আর কান্না করে। মায়েরা এসে বলে আমার বাবু কাশির জন্য সারারাত ঘুমাতে পারে না। কাশতে কাশতে দম বন্ধ হয়ে আসে।
চিকিৎসা :
সাধারণ সর্দি কাশির জন্য তেমন কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। ভাইরাসজনিত এ কাশি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। শিশুরর জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়াতে হবে,জ্বর বেশী হলে কুসুম গরম পানিদ্বারা শরীর মুছিয়ে দিতে হবে।সর্দির জন্য নাক পরিস্কার রাখার জন্য বাজারে solo,norsol নামক নাকের ড্রপ পাওয়া যায়,যা দ্বারা কটনবাডের সাহায্যে নাক পরিস্কার করে দিতে হয়। কাশির জন্য লাল চা,আদা চা,মধু,তুলসীপাতার রস বেশ উপকার দেয়। মনে রাখতে হবে, সাধারণ সর্দি কাশির জন্য অযথা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে কোন লাভ নেই। বাজারে কাশির সিরাপ পাওয়া যায় সেসব কখনই দেয়া যাবে না। এসব কাশির সিরাপ শিশুর মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। ঘরের সাধারণ যত্নই শিশুকে সুস্হ্য করে তোলে।
ডা. ফেরদৌস রহমান পলাশ
সহযোগী অধ্যাপক, প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর।
চেম্বার: প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর। সিরিয়াল: 01723672651
বদরগঞ্জ চেম্বার: হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বদরগঞ্জ, রংপুর।