জাকির আহমদের জন্ম ১৮ আগস্ট ১৯৮১ খ্রি. ‘লস্করবাড়ি’ দক্ষিণ মমিনপুর, সদর, রংপুর-এ। মাতা : আলহাজ মমতাজ বেগম, পিতা : মরহুম তাবারক হুসাইন। ছোটবেলা থেকে লেখালেখির শুরু। গল্প, কবিতা, ছড়া, উপন্যাস লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায়। তবে ছড়া লিখতেই বেশি সাচ্ছন্দবোধ করেন তিনি। দীর্ঘদিন থেকে সম্পাদনা করছেন ত্রৈমাসিক ছড়ার কাগজ ‘রঙধনু’ এবং জনপ্রিয় ওয়েবম্যাগাজিন পাতা প্রকাশ। এছাড়াও যৌথভাবে সম্পাদনা করেন কবিতার কাগজ ‘চর্চাপদ’, গল্পের কাগজ ‘আঁচড়’, সাহিত্যপত্র ‘ছান্দসিক’, ‘সুতরাং’ ‘সূত্রপাত’, ‘পেন্সিল’, ‘সাহিত্যমঞ্চ’সহ বেশকিছু লিটলম্যাগ। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের সৃজন সাহিত্য সম্মাননা ও শিশুতোষ পত্রিকা ইচ্ছেডানা থেকে সম্মাননা এবং ত্রিপুরা রাজ্য থেকে সাহিত্য পত্রিকা মনুতট ও দোপাতা থেকে সম্মাননা লাভ করেন। কাব্যচন্দ্রিকা সাহিত্য একাডেমি, বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণপদক, বিভাগীয় লেখক পরিষদ, রংপুর ও সাহিত্যের কাগজ মৌচাক থেকে সেরা সাহিত্য সংগঠক সম্মাননা, ছান্দসিক শীর্ষ তরুণ কবিতাকর্মী সম্মাননা, দৈনিক যুগের আলো’র শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক সম্মাননা, লেখক সংসদ, রংপুর কর্তৃক সম্মাননা সনদসহ পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার ও সনদ।
সাংগঠনিকভাবে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠিত ‘রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ’ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় লেখক পরিষদ, রংপুর এর সাধারণ সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর রংপুর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, প্রত্মসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি, রংপুর ও লিটলম্যাগ ফোরাম রংপুর এর সদস্য সচিব, ছড়া সংসদ, রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাতা প্রকাশ এর চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তিনি রঙধনু সাহিত্য পরিষদের সভাপতি, যুগের আলো লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, ছান্দসিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সাহিত্য ও পত্রিকা সম্পাদক, বদরগঞ্জ ডিবেটিং সোসাইটির প্রচার সম্পাদকসহ বেশ কিছু সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বেশ কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠন প্রতিষ্ঠায় অবদান রয়েছে তার।
রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের আলোর সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক মায়াবাজার এর স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক গণ আলোর স্টাফ রিপোর্টার, সংবাদ সংস্থা আইএনবির রংপুর প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে দৈনিক বায়ান্নর আলোর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও সাপ্তাহিক উত্তরের হালচাল পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজপোর্টাল দেশমুখ২৪.কম এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ‘নর্থ ব্রিজ স্কুল, রংপুর’ ও ‘বইবাড়ি, রংপুর’ এর পরিচালক হিসিবেও শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষা জীবন শুরু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাতৃভাষা বাংলায় স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর জাকির আহমদ ছাত্রদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। রংপুরে পাবলিক সার্ভিস কমিশন-পিএসসি’র আঞ্চলিক কার্যালয় ও পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন এবং রংপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের আন্দোলনে আহ্বায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হন তিনি। বৈবাহিক জীবনে স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী শাকিলা পারভীন ও একমাত্র সন্তান সুমাইতা সুয়াদীকে নিয়ে রংপুর নগরীতে স্থায়ীভাবে বাস করছেন এই লেখক।
হেমন্তের বিকেলে ফিরে যাই শৈশবে
পরজনমে হেমন্তের বিকেল হবো
ধানগন্ধে ভরে যাবে আমার চারপাশ।
জিমেইল ইয়াহু ফেসবুক টুইটার
এমন কি ক্রেডিটকার্ডেরও তুমিই পাসওয়ার্ড,
তুমি ছাড়া জীবন চলে কী করে?
সাদা কাগজে লিখি নীল বেদনা
নীল কাগজে সাদা সুখ
কেরানিগিরি করে চলে যায় জীবন।
তাকানো মানেই দেখা না। না তাকিয়েও দেখা যায়, এমনকি চোখ বুজে কিংবা চোখ না থাকলেও দেখা যায়।
দেখার ইচ্ছেটাই আসল কথা। সবার সে ইচ্ছে থাকে না অথবা সবাই দেখার ক্ষমতা রাখে না।
আমি জিতলেই হেরে যাই
যদি হেরে যাও তুমি
হারলেই জেতার আনন্দ
যদি হও প্রতিপক্ষ তুমি।
পাতাঝরা বসন্তে ফুলেরা হারায়
ধুলোঝড়ে বিধ্বস্ত শিমুল-পলাশ
বৈশ্যিক উঞ্চতায় প্রভাবিত প্রেম।
ধারাপাত মুখস্ত করে হিসেব কষা যায়
জীবনের হিসেব অন্য রকম
তুমি জীবনের ধারাপাত জানো না!
আমার ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিলো
তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো
ভালোবাসা ফুরিয়ে গেছে
দয়া দাক্ষিণ্যে কেটে যায় সময়।
মাঠ ঘাট বন পেরিয়ে
উল্টো পথেই হাঁটছি
অনেক হয়েছে
এবার ফেরা যাক,
চলুন ফিরে যাই
গন্তব্যের দিকে।
রাতগুলো দিন হয়ে যাচ্ছে
আর দিনগুলো রাত
কেবল নিয়ম মানছে না
সূর্য এবং চাঁদ।
[প্রকাশিতব্য কবিতার ই-বুক ‘জীবন সংক্রান্ত’ এর পাণ্ডুলিপি থেকে]
একজন অপরিহার্য দক্ষ সংগঠক। বিভাগীয় লেখক পরিষদের মত সংগঠনে ওর বিকল্প ভাবতেই পারি না। যে কোন কাজে লেগে থাকতে পারে। ওর উদারতাও লক্ষ্য করবার মতোন। যে কোন কাজ সবাইকে নিয়ে একসাথে করতে চায়। নিজের প্রচার চায় না। ওর জন্মদিনে ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
কাজী মো. জুননুন
সাহিত্য ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
আমার প্রিয় ছাত্র। শিক্ষকতার জীবন ছেড়ে এসেছি কতদিন আগে। কিন্তু জাকির আমাকে মনে রেখেছে। এখনও খোঁজ নেয়। মানুষকে ভালোবাসে। ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
অধ্যাপক দিল আরা বানু
কবি ও শিক্ষক
জাকিরের সাংগঠনিক ক্ষমতা আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। আমার দেখা সেরা সংগঠকদের একজন সে। ওর জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
ড. এ. আই. এম মুসা
লেখক ও শিক্ষাবিদ
একজন ভালোবাসার মানুষ। আত্মপ্রচার কিংবা নিজেকে তুলে ধরার কোন চেষ্টা নেই। নিরবে, পর্দার আড়ালে থেকে প্রতিনিয়ত করে যায় সাহিত্য জগতের মানুষের জন্য, সাহিত্যের জন্য এবং সংগঠনের জন্য। একজন দক্ষ সংগঠক। পদ কিংবা পদবীর মোহ তাকে টানে না। তাকে টানে সৃষ্টি। শুভ কামনা তার জন্য সবসময়।
রানা মাসুদ
সাহিত্যিক ও গবেষক
জাকিরের জন্মদিনে অজস্র দোয়া ও ভালোবাসা রইল।
মুহাম্মদ মকবুল হুসাইন সুমন
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
বিভাগীয় লেখক পরিষদ, রংপুর
তাকে আমি চিনতাম না। আমার অফিস থেকে তার অফিসের দূরত্ব চোখের। তারপরও তাকে আমার জানা হয়নি। বিভাগীয় লেখক পরিষদে সম্মেলনে যোগদান করতে তাকে ফোন দেই। তারপর আমাদের কথা আর থেমে থাকেনি। বলছিলাম প্রিয় জাকিরের কথা। সবার প্রিয় রংপুরের গর্ব আমাদের জাকির। আমাদের বলার কারন তার বাবা আমার শিক্ষক ছিলেন হাইস্কুলে। তার বড় ভাই আরিফ ভাইকে চিনি ১৯৮৯ সাল থেকে। জাকিরের হাত ধরেই রংপুরের সাহিত্যে জগতে প্রবেশ। বয়সে ছোট হলেও সে আমার সাহিত্য গুরুও বটে। সময়ে অসময়ে তাকে ফোন করি। লেখালেখি বিষয়ে তার উৎসাহে উৎসাহিত হই প্রতিনিয়ত। জাকিরের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
ডা. ফেরদৌস রহমান পলাশ
লেখক ও চিকিৎসক
যারা ধীরে চলে কিন্তু লক্ষ্যে স্থির তারা জিতবেই। প্রিয় এই কথাটি কেন জানি জাকিরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ওর মতো ছেলেদের কারণে আগামীর বাংলাদেশটা আরো সুন্দর হবে-এ বিশ্বাস আমার আছে।
আবিদ করিম মুন্না
লেখক ও বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা
একজন অক্লান্ত পথিক—যিনি বেগানা বিপুল পথ হাঁটতে হাঁটতে দিগন্তের পিঞ্জর থেকে তুলে আনেন বিভার নাগাল আর অপার আনন্দের সৌরভ।
রেজাউল ইসলাম হাসু
তরুণ কবি
শূন্যতার ঝুলিতে স্বপ্ন আর আশার দীপালি জ্বালিয়ে অবিরত ভালোবাসার বীজ বপন করে যায় যে সেই হৃদ্যি স্নেহের মানবিক বৃক্ষটির আজ আলোকিত দিনের শুভসূচনা। তার জন্য রেখে যাই আমার সীমাহীন ভালোবাসা ও শুভকামনা । আজ তোমার শুভ জন্ম তারিখের শুভ জন্মদিন। আলোয় আলোয় ভরে উঠুক জাকির তোমার
প্রতিটি ক্ষণ।
হেলেন আরা সিডনী
কবি
সে একজন জাকির আহমদ। সমন্বয়কারী ক্লান্তিহীন পথিক। সৃষ্টির নবউদ্যোমে উদ্দীপ্ত।
সৃষ্টির ভাবনা তাকে সম্মানিত করে বার বার। তার জন্য ভালোবাসা।
আসহাদুজ্জামান মিলন
লেখক ও সংগঠক
আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন কাছের মানুষ- কবি জাকির আহমদ। তার মেধা, দক্ষতা, সততা, কর্ম-চঞ্চলতা এবং সর্বোপরি প্রাণখোলা আন্তরিকতা, বড়দের প্রতি নিখাঁদ শ্রদ্ধাবোধ ও ছোটদের প্রতি তার নির্মল ভালোবাসা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে।
আমি দীর্ঘদিন সাহিত্য জগত থেকে একটু আড়ালে ছিলাম কিন্তু যখন এ জগতে আবারো ফিরে এসেছি তখন আমি তার আন্তরিক সাহচর্য নিয়মিত পেয়ে যাচ্ছি, যা আমার এ জগতে আবারো সুন্দরভাবে হাঁটার পথকে ভীষণভাবে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। আমি যে তার বয়সে অনেক বড় এবং সাহিত্য জগতে সিনিয়র সে কথাটি সে সর্বদা তার কথায়-কর্মে আন্তরিকতাসহ শ্রদ্ধার সাথে প্রকাশ করে থাকে এবং এটি তার একটি অন্যতম বিশাল বড় গুণ।
সাহিত্যিক হিসেবে তাকে খুব অল্প সময়ে দেখা আমার, তবে এই সময়টুকুতেই আমি যতোটুকু অনুভব করেছি সে যথেষ্ট মেধা সম্পন্ন এবং ভালো কিছু করবার তাদিগটা তার মাঝে গভীরভাবে প্রবাহমান। সে একাধারে বিভিন্ন সংগঠন, পত্রিকা ও নিজস্ব জবের সাথে জড়িত এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমার চোখে যতোটুকু দেখা- কোন কাজেই তার সততা, আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের কোনরূপ ঘাটতি চোখে পড়েনি।
জাকির আহমদ যথেষ্ট প্রাণোচ্ছল ও আমার দৃষ্টিতে সৃষ্টিশীল একজন সুন্দর মনের ভালোমানুষ।
আমি আন্তরিকভাবে কবি জাকির আহমদ এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও আলোকিত ভবিষ্যত কামনা করছি।
মাসুদ বশীর
কবি ও গল্পকার
নিজেকে ভুলে যাওয়া একজন মানুষ তিনি। পৃথিবী তাঁকে মনে রাখুক।
শিস খন্দকার
তরুণ কবি
জাকির আমার বন্ধু! ওর বিষয় কী আর বলবো- বন্ধু-তো বন্ধুই। আমি আবার বান্ধবীকে বিয়ে করছি! তা- ও যদি বন্ধু না হয়ে বান্ধবী হতো- তাহলে-তো প্রেম ট্রেম করে – এক্কেবারে বিয়ে করতাম। -হা হা হা। ফান হলেও ফান নয়- সত্যি ওকে অনেক অনেক ভালবাসি। তবে জাকির বিষয়ে- আমি এই কথাটাই বলবো- জাকির-এর সমার্থক আর তরূণ নেই- সত্যি সে একটা নিবেদিত প্রাণ- শুধু এতটুকুই বলবো- সে সাহিত্যের বীজকে অঙ্কুরিত করে। যদিও কখনও প্রকৃতির কারণ বশত বীজ জন্মাতে সময় নেই- সে হয়তোবা নিজের মেধা শ্রম দিয়ে- সেটিকে অঙ্কুরিত করার চেষ্টা করে। এই নিবেদিত প্রাণের জন্য – আমি ওর প্রেমে মশগুল।
আদিল ফকির
কবি ও গবেষক
ভাব যেখানে গভীর ভাষা সেখানে নীরবই হয়।দহন কালে নয়ন ভরে আলো আলো তো পাই!
সোহানুর রহমান শাহীন
কবি
তার অসম্ভব রকমের ভালোবাসার বন্ধনে নিজেকে নিজ থেকেই হারাই।
সরকার বাবলু
কবি
জাকির সম্পর্কে যতটুকু বলবো তাই কম হয়ে যাবে। বন্ধু হিসেবে সে অত্যন্ত সুন্দর মনের একজন মানুষ। খুব সহজে যে কাউকে আপন করে নেয়ার ক্ষমতাটা অনেক। একজন দক্ষ সংগঠক এবং পরিশ্রমী মানুষ। তার জন্য ভালোবাসা।
শরিফুল আলম অপু
ছড়াকার ও সংগঠক
একটা আকাশ, সীমাহীন আকাশ
সেখানে স্বপ্ন পাখিরা উড়তে উড়তে
পূর্ণ বয়স্ক হয়ে উঠে,
আকাশের নিচে গড়ে উঠে “সাফল্য নিবাস”।
মশিউর রহমান বিরু (সোমের কৌমুদী)
কবি
সময়ের সাথে, প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারার নজির সৃষ্টি করেছেন শ্রদ্ধাস্পদ জাকির ভাই। প্রতিটি কাজে অতি গুরুত্বের সঙ্গে শেষ করায় সফলতা পেয়ে থাকেন সবসময়। তার একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে সিনিয়র এবং জুনিয়রদের কে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।এই গুণটা কবি মজনুর রহমান এবং ছড়াকার রেজাউল করিম জীবন ভাইয়ের মাঝেও লক্ষ্য করা যায়। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রংপুরের সাহিত্যচর্চা এগিয়ে যাচ্ছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ
তরুণ কবি
জাকিরের সাথে আমার পরিচয় ছিল না। কবি ও ছড়াকার শহীদুর রহমান বিশুদার মাধ্যমে এক চমকপ্রদ ঘটনার মাধ্যমে সম্ভবত ২০১১ সালের দিকে তার সাথে পরিচয়।
আশির দশকে কারমাইকেল কলেজ ছাড়ার পর চাকুরি সূত্রে আবার ২০১০ সালের মাঝামাঝিতে রংপুরে ফিরে বিশুদার সাথে আড্ডায় তিনি আমার আসাম বেড়ানো কাহিনী শুনে মোহিত হয়ে আমাকে সেই কাহিনী লিখতে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন। আসামের সারিবদ্ধ সবুজ পাহাড়ের সারি, ঝর্ণা, আসামের ‘যৌবনের উৎসব’ বিহুর বর্ণনা, অসমিয়া মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়া, ইত্যাদি বিষয় মোহিত করে বিশুদাকে।
বিশুদার প্রতিনিয়ত চাপে লেখা শুরু করতে বাধ্য হই। ইতোমধ্যেই তিনি আমার কবিতা নিয়ে কবি আসাদ চৌধুরীর কাছে পাঠিয়ে কবির কাছ থেকে আমার কবিতা বিষয়ে অভাবনীয় এক দারুণ ভূমিকা সংগ্রহ করে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জীবন সংক্রান্ত শব্দ’ প্রকাশে বাধ্য করে আমাকে ‘কবি’ শিরোপায় ভূষিত করে দিয়েছেন। তাই তার চাপ এড়িয়ে যাওয়া আমার পক্ষে দূরুহ।
আসাম বিষয়ে কয়েক পাতা লেখা হবার পর বিশুদা তা নিয়ে গেলেন বাসায় বসে ‘সুস্থির মত’ পড়ে মতামত জানাবেন বলে। পরের সপ্তাহে তিনি অফিসে এসে একটি পত্রিকা অামার টেবিলের উপর ছুঁড়ে দিয়ে বললেন- ‘এখন আপনার ইজ্বত অাপনার হাতে..’! ‘মানে?’- অবাক হই!
‘পত্রিকার সাহিত্য পাতা খুলে দেখেন’- বিশুদার উত্তর!
খুলে দেখি ‘যুগের আলো’! সাহিত্যপাতা খুলে দেখি “মুকুল রায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘বাগেশ্বরী পাহাড়’!”
বিশুদা জানালেন, এই পেজের সম্পাদক জাকির আহমদের সাথে পরামর্শ করে এই কাজ করা হয়েছে আমার লেখার আলসেমি দুর করে ধারাবাহিক লিখে যেতে আমাকে বাধ্য করতে।
সেই শুরু! সেই ‘বাগেশ্বরী পাহাড়’ই বোধহয় আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে, এটি আসামে অসমিয়া ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। আমি সস্ত্রীক আসামে সংবর্ধিত হয়েছি। এটি সিলেটের এবং কোলকাতার একটি দৈনিকের সাহিত্যপাতায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছে। কোলকাতায় এটি ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছে, এবারের কোলকাতা বইমেলায় এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ হতে পারে।
এরপরে দৈনিক বায়ান্নর আলোতে প্রায় প্রতিদিন লাগাতার কয়েক মাস ধরে ফোন করে করে ‘সহজ কথা’ নামক উপসম্পাদকীয় কলামে এক ধারাবাহিক লেখা প্রকাশ করেছে এই জাকির।
অফুরান প্রাণশক্তিতে পূর্ণ জাকিরের প্রাণ। যেমন অমায়িক, ঠিক তেমনি ভদ্র, বিনয়ী এবং আন্তরিক এই জাকির, যা আজকের এই স্বার্থপর ব্যস্ততম সময়ে দূর্লভ! এই জাকির অনেক উপরে উঠবে, এ ভরসা আমার আছে।
প্রিয় রংপুরে এক প্রিয়তামাখা নাম বিশুদা চলে গেছেন। রংপুরে আমার অার এক প্রিয়মুখ রয়েছে, এ আমার অন্তরের বিশ্বাস, তার নাম জাকির।
জাকিরের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।
মুকুল রায়
কবি ও কথাশিল্পী
খুব প্রিয় বান্ধবী জানালো তার ইনবক্সে কেউ একজন বাজে ম্যাসেজ করছে। বিরক্ত করছে। বান্ধবীকে বললাম জাকির আহমদকে বিষয়টি জানাও সহজেই সমাধান হবে।
খুব বড় একটা বিষয় নিয়ে গোলমাল হচ্ছে জাকির আহমদকে জানালাম খুব দ্রুত সমাধানের পথ বাতলে দিলো।
নতুন সব আইডিয়া গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়ন করার মত সব জাকির এর মাথা থেকে আসে।
একটি সংগঠন চালাতে সবাইকে লাগে না। একটি সংগঠন কজন নিয়ন্ত্রণ করে বাকিরা নিয়ন্ত্রিত হয়। জাকির আহমদ তেমনি একজন সংগঠক যাকে প্রতিটি সদস্য নিজের মত করে ভাবে।
আমার মেয়ের বাবা মানে, সবার দুলাভাই আমার কোন কথা, অভিযোগ কোন সমস্যা হলে জাকির আহমদকে জানাবে। যেনো জাকির সব সল্যুশন করতে পারে।
জাকির আহমদ এর সাথে আমার কবে কীভাবে পরিচয় ঠিক মনে করতে পারলাম না। সম্ভবত ২০০৩ অথবা ২০০৪ সালে লিকলিকে বড় চুলের (কাজী নজরুল ইসলাম স্টাইলে) কিশোর জাকিরকে দেখেছি চিনেছি ছড়ার মাধ্যমে। সেই কিশোর আজকের সেরা সংগঠক, রংপুরের সাহিত্য অঙ্গণন উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমার সাথে সম্পর্ক কেমন একটু না বললে হয় না। মাথায় যদি কাজের চাপ বেশী থাকে তাহলে সামান্য কথাতেই আমার উপর রাগ দেখাবে। প্রথম প্রথম একটু অভিমান হলেও এখন বুঝতে পারি সবার রাগ আমায় দেখালেও ওর মধ্যে এক ধরণের শান্ত শিশু বাস করে।
আজ বলছি তোমরাই আমার আত্মার আত্মীয়।
এই বিশ্বস্ত, আস্থাশীল,পরোপকারী, উদার যোগ্য মানুষটি জাকির আহমদ। যাকে দেখলে বা কথা বললে মনের প্রশান্তি আসে সেই সবার প্রিয় আপনজন রংপুরের নক্ষত্র জাকির আহমদ এর আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন জাকির। পৃথিবীর সব ফুল তোমার জন্য। আজীবন পরিবার পরিজনসহ ভালো থেকো।
এসএম সাথী বেগম
কবি ও গল্পকার