
লেখক ও তার স্বামী
আকাশ ভরা মেঘ, তবুও দূরে কোথাও এক টুকরো তারার হাতছানি। ওহ আমি তো তারাই ভেবেছি ; তুমি না বললে ওটা সূর্য এর রশ্মি! কোথাও এক ফোঁটা পানিতে পড়ে ছোট্ট করে আলো ছড়িয়েছে।
দূরে প্রান্তরে এক কোকিল ডেকেই যাচ্ছিল, কি তৃষ্ণাত তার স্বর! পাহাড়ের গা ডিঙ্গিয়ে, নদী পাড় হয়ে ভেসে আসছে সে তীব্র কন্ঠ। কঠিন ভালোবাসায়ও মনে কেমন এক হাহাকার দিয়ে যায়। ভেবেছিলাম বুঝি বসন্ত আসছে; আসলে তো তা না। তুমি বললে কই আর বসন্ত তাকিয়ে দেখো শীতকালই ফুরায়নি! সত্যিই তো।
অপেক্ষা, সময়,বাস্তবতা, কিছু দীর্ঘ মূহুর্তে আমরা থমকে যাই। থেমে তো যাই না। থামতে নেই। তুমিই বললে…
দেখো, থামিনি কেউ, চলছি; চালিয়ে নিচ্ছি। কখনও অদৃশ্য তারার হাতছানিতে, কখনও প্রতারিত মিষ্টি কোকিলের কন্ঠে, কখনও ভালোবাসায় ভেসে ভেসে!
তাইতো আমাদের এক একটা জন্মদিন আসে, সময় পার হয়। আমরা শুভ করার আশা রাখি।
শুভ জন্মদিন প্রিয়তম সুজন।
তাজনিন মেরিন লোপা
জন্ম রংপুরের এক সাহিত্যানুরাগী পরিবারে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, রংপুরের জনপ্রিয় মুখ। ’যুগের আলো’ পত্রিকায় নিয়মিত লেখক হিসেবে লিখেছেন ছড়া, কবিতা, সায়েন্স ফিকশন, ছোট গল্প, লিখেছেন কলাম।
ঢাকায় ‘ছোটদের কাগজ’ এ লেখক হিসাবে সক্রিয় ছিলেন। শিশু-কিশোর সাহিত্য নিয়ে ২০১৯ একুশে বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করছেন 'ডাইনীর ফলবাগান', ২০২০ এ 'অস্ট্রেলিয়ার রূপকথা’ বই নিয়ে।
নৃবিজ্ঞানের ছাত্রী হিসাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক আর স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। বাংলাদেশে কলেরা হাসপাতালে সামাজিক গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন অনেকদিন। খুব সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার এর অনুদানে পরিচালিত ’হিপ্পি অস্ট্রেলিয়া’ নামে একটি সংস্থায় টিউটর হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। সংস্থাটি মূলত তাদের নিজেদের কারিকুলামে কমিউনিটির ছোট শিশুদের মানসিক ও ইতিবাচক সামাজিক উন্নতির জন্য কাজ করে।
বর্তমান নিবাস আরমিডেল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া।
Latest posts by তাজনিন মেরিন লোপা
(see all)