রংপুরের তরুণ কবি ও সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহর জন্মদিন আজ। তার জন্ম ২৪ জুন ১৯৯৫ সালে রংপুর শহরের এরশাদ মোড়, কামার পাড়ায়। বাবা প্রফেসর মো. মোফাচ্ছের আলী একজন শিক্ষক, মা সালেহা বেগম, গৃহিণী। খালিদ এখন পড়ছেন রংপুর ডেন্টাল কলেজের চতুর্থ বর্ষে। ছেলেবেলা থেকে লেখালেখির অভ্যাস। প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে দৈনিক যুগের আলো সাহিত্য পাতায় ‘বন্ধ জানালা’ শিরোনামে। নিজে তরুণ হওয়া সত্ত্বেও কাজ করছেন তরুণদের লেখালেখি নিয়ে। সম্পাদনা করছেন ‘তারুণ্যের পদাবলি’ নামে একটি ফেসবুক ভিত্তিক ম্যাগাজিন। এছাড়া সাহিত্যের কাগজ মৌচাক ও অনলাইন ম্যাগাজিন মুগ্ধতা ডট কমের তিনি সহকারী সম্পাদক। কাজ করছেন সাহিত্য ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনে।জন্মদিনে মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহর জন্য অজস্র ভালোবাসা রইল।
কত দূরে তুমি ?
আলো নিভিয়ে আজ হারিয়ে গেলে ।
কতটা ব্যবধান তৈরী করে
মিশে আছ আজ
চাপা পরা কবিতার দেহে ।
কতটুকুই বা চাওয়ার ছিল ;
কতটুকুই বা পাওয়ার ছিল ?
সব লেনদেন তো হৃদয়ের বন্ধনে
কাছাকাছি না হোক
খুব দূরেও তো থাকা যেত ,
ম্যাসেঞ্জারের এপাড় ওপাড়ে ?
হ্যাঁ ! জানতাম এই দূরত্বের কথা
আসবে একদিন ঝড় হয়ে ,
ভাঙ্গা মনের এপাশ ওপাশ
খুব নীরবেই ঝাকিয়ে দিবে ।
তবুও এই নিষ্পাপ মন
মানছে না আছ এই সত্যটাকে ।
আজ খুব একলা আছি
ঠিক যেমনটা তুমি আছ ।
খুব নিবরে পণ করেছি
নিঃসঙ্গতাকে জয় মেনেছি ।
বাকী জীবনটা কাটিয়ে দিব
তোমার স্মৃতির ঘ্রাণ মেখে।
মুগ্ধ হতে হতে অবশ হয়েছে চোখ
তবুও এক ঘেয়েমী লাগেনি,
ছুঁড়ে ফেলতে হয়নি মুঠোফোনটাও।
মাঝে মাঝে বিভোর হয়ে যাই
তার চিত্রে,শব্দে আর মুগ্ধতায়
শতাব্দীর সেরা প্রেমিক হওয়ার দৌড়ে,
নিজেকে এগিয়ে রাখি গভীর ভালোবাসায়।
সেই লাবণ্যময়ী লাবণি
আমার হৃদয়ে তুমুল ঝড় তোলে
অবাক মিষ্টি হাসির সবিতা,
আমি লিখেছি তার জন্য
শতাব্দীর সেরা কবিতা।
এ শহরে বরং দুচারটি বেশ্যালয় বাড়ুক
কিছু সুপুরুষের আনাগোনায়,
মুখর হোক কিছু আঁধারের গল্প।
ধর্ষকদের ও একটা গতি হোক,
নিরীহ জননী,বোন,ভাবী কিংবা বান্ধুবী
নিরাপদে থাকুক হিংস্র জানোয়ার থেকে।
আচ্ছা বলতে পারো?
এই সব ধর্ষিতাকে
তার বাবাকে,তার মাকে
কি বলে স্বান্ত্বনা দিবো?
তাই বলি কি!
এ শহরে বরং দু’চারটা বেশ্যালয় বাড়ুক
তবু পত্রিকাগুলো যেন সাহস না পায়
টিভি খুললেই যেন শুনতে না হয়,
এক বছরের শিশু কিংবা
চার সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার।
তবুও যদি বিবেক জাগ্রত না হয়
সুপুরুষের পুরুষত্ব যদি দেখাতেই হয়
তবে আমাকে বেশ্যার দালাল বানিয়ে দিও।
আমি খদ্দেরের খোঁজে পেষ্টার ছাপাবো
লিফলেট নিয়ে বের হবো রাস্তায় রাস্তায়।
তবুও নষ্ট যেন না হয়
কোন জীবন,কারো যৌবন।
দুঃখের ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসলে তুমি। হাঁটতে হাঁটতে বিকেল হয়ে গেলাম। তোমার পিছু পিছু হাঁটতে গিয়ে সন্ধ্যার সাগরে ডুবে গেলাম। আমার দুঃখের ঝোলা ভাসতে ভাসতে রেঙ্গুন চলে গেল।
রেঙ্গুনের দুঃখী মেয়ের মতো আমার কবিতা পড়ছ তুমি। দুঃখের ঝোলা থেকে এবার আমাকে বের করতে চাইলে। অথচ আমি হাঙরের শরীরে কাঁটা হয়ে বেঁচে আছি।
এই শহর জানে
যানজটে পড়া সব আরোহী,
জেনে গেছে পাগল কবি ফারুকও
অজানা নেই টুং টাং করা চায়ের কাপেরও।
জন্ম থেকে জন্মান্তর
সতী থেকে বেশ্যারা
প্রেমিক থেকে দুষ্টেরাও
জেনে গেছে এই সংবাদ।
আমি প্রেমিক হবার আগেই
হয়ে যাই ব্যর্থ প্রেমিক।
ঐ হাসিতে প্রভাত হাসুক, গেয়ে উঠুক পাখি।
~ মিনার বসুনিয়া
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ বেশ সুন্দর করে হাসতে জানেন তবে তার হাসির চেয়েও বেশি সুন্দর তার কবিতা।খালিদ সাইফুল্লাহ’র একজন সুহাসিনী আছেন,
যাকে দেখতে দেখতে তার চোখ অবশ হয়ে গেলোও নাকি তার একঘেয়েমি লাগে না কখনো।আমার অবশ্য কোনো সুহাসিনী নেই তবে আমিও মুগ্ধ হই, আমাকে মুগ্ধ করে ব্যবধান,নিষিদ্ধ পান্ডুলিপি,ব্যর্থ প্রেমিক,প্রাক্তন, নিষ্ঠুর প্রেমের শ্রাবণ কবিতার মতো কবির আরও কিছু সৃষ্টি।
কবির জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।আশা করি নতুন নতুন কবিতার মাধ্যমে আমাকে ইমোশনাল করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
~ ফজলে রাব্বী
প্রথমত শুভ জন্মদিন, শুভ হোক খালিদ ভাইয়ের।তোমার হাসিটা সত্যি সেরা..ভালো থেকো প্রিয় কবি,প্রিয় ভাই, প্রিয় অগ্রজ ️
~ মিকদাদ মুগ্ধ
খালিদ ভাই কে যদি এক লাইনে বলতে হয় তবে বলব জ্ঞানী & নিরহংকারী
~ তানভির তাকি
শুভ জন্মদিন খালিদ ভাই ..
এক আকাশসম ভালোবাসা ️
~ আহমেদ নাফি
শুভ জন্ম প্রিয় কবি।
ভালো মানুষ, সুখী মানুষ, প্রিয় মানুষ
অনেকগুলো নামের মধ্যে তোমার কবি নামটাই আমার সবথেকে প্রিও। তাই ওটাতেই উইশ করলাম।
শুভ জন্মদিন ️
~ সামীউল হক
ভাই,কবিতায় শব্দ চয়ন করার জন্য সবাই অভিধান কিনে আনলো।
কিন্তু আমি তোমার নাম ধরে ডাকলাম।
শুভ জন্মদিবস।
~অনিরুদ্ধ সরকার প্রথম
জন্মদিনের শুভেচ্ছা বট ছায়া।
আশ্রয়স্থল খুঁজতে গিয়ে দেখি আপনি অপেক্ষায় আছেন ৷
~ আহসান লাবিব
শুভ জন্মদিন প্রিয় বন্ধু
~রেদওয়ান শুভ