ছোট ছোট খুশি, প্রাণভরা হাসি
দূরন্ত শৈশব, সেই সময় ভালবাসি।
পথে-প্রান্তরে, বৌচি খেলার মাঠে
নিঝুম দুপুরে নৌকা বাঁধ ঘাটে,
কুচো সাথিদের নিয়ে বেড়িয়েছি ঘেটে
গবেষক আমি, আছে কত থিসিস,
আছে কত প্রহেলিকা স্মৃতির পটে পটে
ছিল না কোনো নিয়ম-নীতি
মানতে হয়নি সময় ভীতি,
ঘুম ফাঁকি দিয়ে চলতো বৃষ্টিবিলাস
খাঁ খাঁ রোদ্দুরের ধূলিমাখা তপ্ত বাতাস
সবই মিশে আছে আজো অনুভূতির আকাশে।
আজ আমি একা লুকিয়ে পড়ছি সেই গল্পকথা
সেই দিন আর নেই
এসেছি সে সময় পেরিয়ে।
আজ আমি তুচ্ছ! আমি তুচ্ছ ! আমি তুচ্ছ !
আমি জমে থাকা আগাছার গুচ্ছ।
আমি কণ্ঠক, আমি জাল, আমি পাথুরে
চঞ্চলতা নেই আর
আমি স্তব্ধ, আমি আলসে, আমি হাতুড়ে।
কচি মন আর নেই আছে শুধু দম্ভ
তবু সবার মাঝে আছি সভ্যতার সভ্য।
আমি এক পতিত উল্কা আর রং-চণ্ডী
স্বার্থান্বেষী নভোচারী আমি, আমি নিঃসঙ্গী।
ফাঁকিবাজি দিয়ে চলে কত ষড়যন্ত্র
গ্রহান্তর ছেড়ে কোনো স্বপ্নময় জগতে পদার্পণের।
সাজাই কত মন্ত্র!
সেই স্বপ্নপীঠে আর থাকছে না কেউ
সাজিয়েছি এক নিষ্কলুষ পুষ্পোদ্যান।
হঠাৎ জেনে যায় কেউ সেই নিষ্ঠুর নীলনকশা
ফিরে আসি তারাদের দেশের পথ বেয়ে
আর স্বাদ নেই বাস্তবতার, অদ্ভূত এই পৃথিবীতে।