মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

সচেতন মনস্কতাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব

শাহিদা মিলকি

১১ জুলাই, ২০২১ , ২:৪৭ অপরাহ্ণ

সচেতন মনস্কতাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব-mugdhota

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে যে কোন একটা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে আর অবশ্যই সেটা আনন্দের সাথে করতে হবে। সপ্তাহে একদিন ডায়াবেটিস চেক করা য়েতে পাওে। সম্ভব হলে নিজস্ব গ্লুক্মিটার থাকলে সুবিধে হবে।

খাদ্যাভাসে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমান শর্করা খেতে হবে। ছোট প্লেটে খাবার খেলে পরিমানে কম খাওয়া যায়। টিভি দেখে বা গল্প করতে করতে না খাওয়াই ভালো। গল্প করতে করতে খেলে অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মোট কথা নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে ডায়াবেটিস দূরে থাকবে আর সুস্থ যাপন আলোয় জীবন আলোকিত হবে। সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করি, ডায়াবেটিস থেকে নিজেকে দূরে রাখি।

স্বাস্থ্য সকল সুখের মুল। শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকে।নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন  মানুষকে সুস্থ সবল রাখে। সুস্থ্ শরীর সুস্থ মন এই হোক সবার পণ।নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে ডায়াবেটিসকে সাথে নিয়ে কীভাবে আর দশজনের মতো সুস্থ থাকা যায় তা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।

ডায়াবেটিস আসলে একটি হরমোনের অভাব জনিত রোগ।আমাদের শরীরে অগ্নাশয় গন্থি থেকে ইনসুলিন জাতীয় হরমোন তৈরি হয়।ইনসুলিনের অভাবে বা তার কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হয়। ডায়াবেটিস নিরাময় যোগ্য রোগ নয় বলে এই রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধলে আমরা ভয় পাই।কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই রোগ নিরাময় করতে না পারলেও সদিচ্ছা থাকলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।কীভাবে প্রতিরোধ করব সে কৌশল আমাদের জানতে হবে। সাধারনভাবে আমরা ভাবি এটা বংশগত রোগ বাবা মায়ের ছিল তো সন্তানদের তো হবেই।অনেক সময় এটি ঠিক নয়।বংশগত ছাড়াও পরিবেশের কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে ।

এখন কথা হচ্ছে ডায়াবেটিস যাতে না হয় বা আরও অনেক পরে হয় বা পিছিয়ে নেওয়া যায় সেক্ষেত্রে সচেতনতাকেই মূল হাতিয়ার হিসেবে নিতে হবে।শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।শারীরিক পরিশ্রমে অনিহা দেখানো যাবে না।খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করতে হবে।আমরা বাঙালীরা বেশরিভাগ শর্করা প্রধান খাদ্য গ্রহণ করি।এটি আসলে একটি ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভাস।মাছে ভাতে বাঙালি।আমরা এক প্লেট ভাত খাই সাথে অল্প কিছু সবজি বা কিছু প্রোটিন হলেই চলে। কিন্তু ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য এই সিস্টেমটাকে উল্টে নিতে হবে। অর্ধেক সবজি বাকি অর্ধেক ভাত আর প্রোটিন। তাছাড়া সপ্তাহে দুদিন যদি সম্ভব হয় তো রোজা রাখা যেতে পারে।আমি নিজে এই পদ্ধতিটা অনুসরণ করি।আমার মায়ের ডায়াবেটিস ছিল । আমার বয়স প্রায় ষাট’এর কোঠায় মাশাআল্লাহ এপর্যন্ত আমার ডায়াবেটিস রোগটি নেই। এভাবে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এভাবে কিছুটা সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করার পরেও দেখা গেলো ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বেঁধেছে তখন বসে থাকলে চলবে না বা হতাশ হয়ে হাহুতাশ করা যাবে না । ডায়াবেটিস যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবেই। তবে শুধু ওষুধ দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। চিকিৎসকদের ভাষায় থ্রিডি পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।অর্থাৎ ডিসিপ্লিন, ডায়েট আর ড্রাগ।

square

বিজ্ঞাপন

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটতে হবে।নির্দিষ্ট সময়ে যে কোনো একটা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে আর অবশ্যই সেটা আনন্দের সাথে করতে হবে।সপ্তাহে একদিন ডায়াবেটিস চেক করা য়েতে পাওে।সম্ভব হলে নিজস্ব গ্লুকোমিটার থাকলে সুবিধে হবে।

খাদ্যাভাসে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।নির্দিষ্ট পরিমান শর্করা খেতে হবে।ছোট প্লেটে খাবার খেলে পরিমাণে কম খাওয়া যায় । টিভি দেখে বা গল্প করতে করতে না খাওয়াই ভালো । গল্প করতে করতে খেলে অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মোট কথা নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে ডায়াবেটিস দূরে থাকবে আর সুস্থ যাপন আলোয় জীবন আলোকিত হবে। সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করি, ডায়াবেটিস থেকে নিজেকে দূরে রাখি।

শাহিদা মিলকি
Latest posts by শাহিদা মিলকি (see all)