জাহাজ পাবে না খুঁজে, এতদূর সরে গেছি, এতটা দূরাস্তে
হ্রেষা ঘিরে বসে থাকি; কেননা এমন কথা-ফুরানোর কাল
আর কোনো জন্মে পাবো না। কোনো অর্থ নেই, তবু সারাদিন
অশ্বডিম্ব নিয়ে ভেবে যাই। রোদে পুড়ে এ যেন কুড়িয়ে নিচ্ছি
দগ্ধভাগ্যরেখা
এতদিনের পাহাড়বাসী, এখনও তোমার ঐ নয়নপথ হাঁটি…
একা বাড়ি আজ আবার এসে আমাকে ঘুরে গেছে।
আমার ঝা-চকচকে পোস্টমডার্ন বিষদাঁত—
বহুকাল আগেই ধূসর টুথব্রাশ ছাপিয়ে চলে গেছে;
শ্বাসকষ্ট থেকে যদি কোনদিন পাখির জন্ম হতো—
তবে চার-পাঁচশো মহাকাশ ভরে যেত কিচিরমিচিরে…
অথবা শূন্যতা যদি হতো লতাপাতা—
সে কবেই ভেঙে দিতো তোমাদের লকলকে লতার ধারণা!
এসবের কিছুই লুকিয়ে রাখি নি তাই। অস্তগামী সূর্যের আড়ালে
একা বাড়ি আজ আবার এসে আমাকে ঘুরে গেছে।
ভি-গলার দুঃখ ডিঙিয়ে আমি বসে ছিলাম—
একযুগ আগের উল্টানো সমুদ্রের উপর…
কতদিন পাশে থাকবে, নীলাভ আকাশও ক্রমে নীলান্তরগামী!
যে রাত তোমাকে ভাবার—তোমার ঘাম, গন্ধ ও নিশ্বাসের
হাসি ও তামাশার ছলে সে রাত ভোর হয় বিদ্যুৎচমকে।
যা কিছু ভঙ্গুর নয়, ভেবে গেছি অনর্গল অটুট বিশ্বাসে
তাদের অজস্র টুকরো ভাসে আজ একা, নির্জনতায়…
যে জীবন যেতে পারতো ঢেউয়ে ভেসে অথবা ডানায়—
ধূসর ডাকবাক্স তা আজ, চিঠি আসে চিঠি চলে যায়…
অল্প এ কল্পনা, ডালে ডালে ঝুলছে সব নদী;
আঁকাবাঁকা, শাখা ও প্রশাখার ভেদরেখা মুছে
পথে পথে ঘুরছে ভূতুড়ে তাদের ঢেউয়েরা।
অচেনা প্রতিবিম্বে চতুর্দিক ভরে উঠছে তাই!
মেঘ হয়ে উঠছে ক্রমশ ময়ূরপ্রবণ; আর তার বৃষ্টিরা
দিকে দিকে মৌনতর পেখমপিয়াসী…
যেন সিঁড়ি বেয়ে নামবে চাঁদ, ঝরাপাতা পেয়ে যাবে ডানা—
ভেসে যে উঠছে পথ, ডুবে গেছে তারও আসা-যাওয়া…