ভাষা আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী ভাইদের স্মরণে
সেদিন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এর একঝাঁক মেধাবী তরুণ
হঠাৎ করেই খালি পায়ে হাঁটা শুরু করে।
কিছুটা পথ অগ্রসর হয়ে তারা স্থাপন করে
কাগজ আর বাঁশের অস্থায়ী শহিদ মিনার।
হাতে থাকা ফুল দিয়ে তারা শ্রদ্ধা জানাতে থাকে সেথায়।
যাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ এই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি।
পুলিশের বাধায় বেশিক্ষণ টেকেনি সেই শহিদ মিনার।
ঐতিহাসিক আমতলার সেই মধুময় ভাষণ
হৃদয়ে প্রভাব ফেলে, জায়গা করে নেয়
ছাত্র-জনতার মনে।
সেদিন এই ছাত্র জনতা একশত চুয়াল্লিশ ধারা ভেঙে তছনছ করে দেয়।
অনেকে সেদিন শাহাদাত বরণ করেছিল
হাজারো ছাত্র-জনতাকে তারা
এক এক করে জেলখানায় ঢুকাচ্ছিল।
নাম ডাকতে ডাকতে ডেপুটি জেলার সাহেব বিরক্তির সুরে বলে উঠলো উহ্ এত ছেলের জায়গা দেবো কোথায়?
জেলখানা তো এমনিতেই পরিপূর্ণ।
ওর কথা শুনে কবি রসুল সেদিন চিৎকার করে বলেছিল-
জেলখানা আরো বাড়ান সাহেব।
এত ছোট জেলখানায় কী করে
এত জনের জায়গা হবে?
আরেকজন বলে উঠলো,
সামনে ফাগুনে আমরা দ্বিগুণ হব।