ছড়াকার ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল হাসনাত লাবলুর দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রংপুর প্রেসক্লাব মার্কেটের বইবাড়িতে ‘কতিপয় কবিতাকর্মী’ সংগঠনের আয়োজনে স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কবি ও সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সৈয়দ আবুল হাসনাত লাবলুর স্মৃতিচারণ করেন বিভাগীয় লেখক পরিষদের সভাপতি কাজী মো জুননুন, কারমাইকেল কলেজের প্রাক্তন ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, শিক্ষক ও সংগঠক বনমালী পাল, অঞ্জলিকা সাহিত্যপত্রের সম্পাদক দিলরুবা শাহাদাৎ, রংপুর বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক ওয়াদুদ আলী, লেখক ও সাংবাদিক আফতাব হোসেন, বিভাগীয় লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমদ, সংগঠক রশিদুস সুলতান বাবলু, সৈয়দ আবুল হাসনাত লাবলুর সহধর্মিণী রিক্তা হাসনাত ও পুত্র মুশফিক হাসনাত, লেখক এটিএম মোর্শেদ, কবি মাসুদ বশীর, ছড়াকার মোকাদ্দেস আলী রাব্বি, সেলিনা সাত্তার শেলী, অঙ্কনা জাহান প্রমুখ। বক্তারা তাঁদের আলোচনায় গুণী সাংবাদিক ও ছড়াকার লাবলুর জীবন ও কর্মের নানা দিক আলোচনা করে সেগুলো সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনলাইন ম্যাগাজিন মুগ্ধতা ডট কমের সম্পাদক মজনুর রহমান স্মরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে সৈয়দ আবুল হাসনাত লাবলুর আত্মার শান্তি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।
একই দিন বাদ আছর স্থানীয় শাহী মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে রংপুর প্রেস ক্লাব। এছাড়া সিটি পার্ক মার্কেটের মৌচাক কার্যালয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছড়া সংসদ রংপুর।
ছড়াকার ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল হাসনাত লাবলু ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মে নীলফামারীর সৈয়দপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুর আগে তিনি সর্বশেষ দৈনিক যুগের আলো পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া তিনি জীবদ্দশায় দৈনিক দাবানল, দৈনিক পরিবেশসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় গুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ বেতার রংপুর এর একজন সংবাদ পাঠক হিসেবেও তিনি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রংপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ছিলেন। কতিপয় কবিতা কর্মীসহ বেশ কিছু সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি।
সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি ছড়া লিখতেন। পাশাপাশি কবিতা ও সাহিত্যের অন্য শাখাতে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর বেশ কয়েকটি গ্রন্থও রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর দুবছর পর সহপাঠী এম এ বাশারের সম্পাদনায় বেগম রোকেয়া ফোরাম, রংপুর তাঁর অপ্রকাশিত লেখা নিয়ে প্রকাশ করেন “স্মৃতির জ্যোৎস্না” গ্রন্থ। ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
বর্তমান রংপুর নগরীর শালবনস্থ বাসায় তার স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র বসবাস করছেন।