সোনালু ফুলের হলুদ শাড়ি
ফরফরিয়ে উড়তে থাকে
কতকফুলের আলগা আবেগ
হাওয়ায় দুলে ঘুরতে থাকে।
একটি থোকা হাওয়ায় নাচে
আহ্লাদে তার জেল্লা বাড়ে
প্রজাপতির ডানার ঘায়ে
আক্রোশে তার তেল্লা ঝাড়ে।
বিকেল হলে আমি দেখি
হলুদ হলুদ সোনালু ফুল
ফুটতে থাকা গোছাগুলো
লাজুক বধুর দু’কানে দুল।
আমি জানি বলছে কি সে
দোদুল্যমান পাপড়ি নেড়ে
বিকেল যতই পড়তে থাকে
ততই আমায় নিচ্ছে কেড়ে।
একটি দুটি তিনটি করে
অযুত থোকা ফুটতে থাকে
তারই লোভে একটি দুটি
প্রজাপতি জুটতে থাকে।
তাকিয়ে আমি প্রেমাতুর হই!
এই কথা কি সে ফুল জানে?
প্রজাপতি! ও পতঙ্গ!
বলবি গিয়ে সোনা’র কানে?
ও সোনা ফুল! ও সোনালু!
তোমার হলুদ রূপের কাছে
তাবৎ জগত মূর্ছা যাবে,
ঘুরবে তোমার পাছে পাছে।
সদ্যফোটা একটা থোকা
ককিয়ে ওঠে শুনতে পেয়ে
লাজুকলতা হাসতে থাকে
বারেক নিজের গতর চেয়ে।
ফোড়ন কাটে আরেক থোকা,
ওরে হাঁদা মনুষ্যমন
তোমায় পেলে সঁপে দেবো
তামাম হলুদ সোনালুবন।
হঠাৎ হাওয়ার দুলুনিতে
সোনালুবন দুলতে থাকে
ভালবাসার পদ্য এসে
আমার ভেতর ফুলতে থাকে।
সূর্য হয়তো ঈর্ষা করে
দ্রুত দ্রুতই ডুবলো পাটে
অন্ধকারে সোনালু ফুল
আমার সাথেই দ্রুত হাটে।
আজকে হতে আমার রাজ্যে
তুমিই হলে ফুলের রাণী
এমন করে আকুল করলে,
টানতে রাজি কুলের ঘানি।
২০ জুন ২০২০
ঢাকা