সাহিত্যের সকল ধারাকে ভালোবাসলেও ঘর বাঁধা কবিতার সাথে। স্বপ্নগুলোও তাই কবিতাকে ঘিরেই। প্রতিটি কবিতার অবয়বে যেন প্রিয় মানুষগুলোর উপস্থিতি; যাদের সাথে হৃদয়ের বন্ধন অবিচ্ছেদ্য। কবিতাতেই প্রতিনিয়ত মা, মাতৃভূমির ছবি আঁকার চেষ্টা। কবিতার মাঝেই মা, মাতৃভূমিকে খোঁজার চেষ্টাটা তাই নিরন্তর। এজন্যই কবিতার সাথে জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জীবনের পথচলা তাই কবিতাকে সাথে নিয়েই।
সবুজ বনের ফাঁকে হেলে পড়ে
সূর্যরশ্মি
বন সংগীতের সুর ছড়িয়ে পড়ে
এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
সান্ধ্যগীতি
বেজে উঠে মর্মর,
প্রকৃতির পটে আঁকা ছবি
প্রাণের স্পন্দন
জীবন্ত হয়ে উঠে
সবুজের আঁচড়।
নদীর বুকে হেলে পড়া চাঁদ
একটা ছবি
সুর তোলা বাঁশি
রাঙিয়ে দেয়
জীবন
সময়
প্রকৃতি
শিল্পের ক্যানভাসে রঙিন আঁচড়।
ভ্রমণ পিয়াসী মন
দরিদ্র দেহের ভার
কাঁধে নিয়ে
ছুটে বেড়ায়
সুন্দর বন।
সুরক্ষা বলয়
পদাঘাতে গত
বনের গহীন
আঁধার ঘন
বাঘের থাবায়
মুমূর্ষু জীবন,
ওপারের ছবি
ভাসায় নয়ন
নয়ন
খোঁজে ফেরে
মায়াবী হরিণ।
“হরিণ তৃষ্ণা”
গ্রীষ্মে লুকায়
বর্ষায় সিক্ত
চাতক মন।
বেঁচে থাকাটাই- আনন্দ
সহজ সমাধান
সরল উত্তর
কঠিন সব সমীকরণের
জটিল সব প্রশ্নের।
তুচ্ছ নয়
ফেলনা নয়
অবহেলার পাত্রও নয়
কষ্ট
অভাব
যন্ত্রণা
হতাশা,
পরম যত্নে রাখতে হয়।
এগুলোকে ভালোবাসতে হয়
জীবনকে আনন্দমুখর করতে
আনন্দকে পরিপূর্ণ করতে।