নদীর বয়ে চলা ভাঙ্গাগড়া পথে
চেয়ে থেকে থেকে বেলা পড়ে আসে,
জানা হয় না কোথায় গন্তব্য তার,
কিংবা সারাবেলা গোপন মিতালী কার সাথে।
কানে কানে বলে দেয় নদী —
আমার মনের যত ভাব, যত কথা
আজস্ম যাই বলে যাই
বাংলায় নিরবধি।
পাখির কাকলি আর সুমধুর সুরে,
ভুলে যাই সব ব্যথা গ্লানি অবসাদ,
কী যে মোহ! কতো সুধা! জানা হয়নি আজো।
প্রশ্নবিদ্ধ হই বার বার, শুধু ভাবি!
গানে গানে বলে বলে দেয় পাখি —
আমার কন্ঠের এ গান সে তো সুর নয়,
যেন বাংলা ভাষায় ডাকাডাকি।
বৃষ্টির ঝরঝর ধারা ঝরে অবিরাম,
ছন্দের তালে তালে একটানা সুর বাজে,
ফোঁটা ফোঁটা শব্দের গভীরতা সীমাহীন,
কী কথা লুকিয়ে আছে তাতে?
যায় না বোঝা কোনমতে।
বৃষ্টি জানায় গর্বভরে–
আমি তো বাংলা ভাষা-ই শুধু জানি,
এ ভাষাতে পথ চলি, যাই গান করে।
পাহাড় সাগর করে ভাব বিনিময়,
মেঘ ডাকে, বায়ু বয়ে যায় বাধাহীন,
রাতেরা কথার পসরা সাজায় থরে থরে,
নিশি জাগে চাঁদ, রাত শেষে ভোর হাসে,
ফুলে ফুলে সোনালী সূর্য ডানা মেলে!
নিসর্গ মেতে ওঠে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে।
বাংলা ভাষার স্নিগ্ধতা
নীলাকাশে,
রাজপথে,
ঘাসে ঘাসে।