বিশিষ্ট ছড়াকার ও সংগঠক একেএম শহীদুর রহমান বিশু আর নেই। ৯ আগস্ট রবিবার ভোরে রংপুরের পাকপাড়ার বাসায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৩ পুত্র সন্তান ও ২ কন্যাসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদ আছর কেরামতিয়া জামে মসজিদে মরহুমের নামাজের জানাযা শেষে মুন্সিপাড়া কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী মো. জুননুন, কবি ও সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম, লেখক রানা মাসুদ, অধ্যাপক শাহ্ আলমসহ, রেজাউল করিম মুকুলসহ লেখক ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
একেএম শহীদুর রহমান বিশুর জন্ম রংপুরের মুন্সিপাড়ায় ১৯৪১ সালের ১৯ জানুয়ারী। সুস্থ সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার লক্ষে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন অভিযাত্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ। ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৮৪-৮৬ তে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রচারিত হয় শহীদুর রহমান বিশুর লেখা ও পরিচালনায় ‘রংপুরের জারী’ ও ‘নাইওরী’ গীতি আলেখ্য দু’টি। স্পর্শ নামে একটি উপন্যাস এবঙ কয়েকটি ছড়ার বই প্রকাশিত হয় তার। প্রস্তুত আছে অসংখ্য পাণ্ডুলিপি। সবশেষ তিনি ‘উত্তরমেঘ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। এছাড়াও নিয়মিত স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক ও ছোট কাগজে ছড়া কবিতা লিখেছিলেন। ভারতের শিলিগুড়ি, আসাম, গৌরীপুর, ঢাকা ও পাবনায় বিভিন্ন সংগঠক কর্তৃক পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন। ২০১১ সালে তিনি পান রংপুর পৌরসভার সিনিয়র সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড এবং বিভাগীয় লেখক পরিষদের গুণী সাহিত্যিক সম্মাননা পান।
শহীদুর রহমান বিশুর মৃত্যুতে অভিযাত্রিক, বিভাগীয় লেখক পরিষদ, রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ, ছড়া সংসদ, জাতীয় কবিতা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব শোক জানিয়েছেন।