জগলুল হায়দার এর ছড়াগুচ্ছ
ইষ্টি মিষ্টি বিষটি
ইষ্টি এলো
মিষ্টি এলো
বিষটি এলো মেঘে
ঈশান
বিষাণ
কি শান জাগা বেগে!
বেগে বেগে
রেগেমেগে
বর্ষা নামুক ঝেঁপে
গরম যায়ে
খড়ম পায়ে
ডাটা দিবো মেপে।
ডাটা পেলে
হাঁটা ফেলে
মেঘ বসিবে নেটে
ইষ্টি মিষ্টি
মুষল বিষটি
ঝরবে খরা কেটে।
___________________________
আশার আলো
হালকা হালকা মেঘ উঁচিয়ে
তপ্ত রোদের রেখা
ঝিলের জলে শাপলা শালুক
কলমি কমল লেখা।
পাখির ঠোঁটে হাজার কথা
মুগ্ধ করা শিসে
ফুলের খুশি পাতার নাচন
পায় না খুঁজে দিশে।
খুশির দোলায় ধানের শীষে
আশার আলো আভা
কৃষ্ণচূড়া পলাশ বনে
দারুণ লালের লাভা।
লাল ছড়িয়ে গোধূলি যায়
স্বপ্ন ছবি এঁকে
বোশেখ গিয়ে জ্যৈষ্ঠ এলে
ফল হাসে সব পেকে।
_______________________________
পথ পেরিয়ে
পথটা নিজেও হাঁটতে জানে
সঙ্গে হাঁটে রোদও
পথের উপর মেঘও হাঁটে
ছায়ার শুভবোধও।
হাঁটতে হাঁটতে পথটা জিরায়
পথের পাশেই রিকশা ভিড়ায়
টঙ দোকানে চা খায়
চাঁদ তারাদের ইচ্ছে ছুঁতে
ভাসে মনের পাখায়।
পথ কখনো মাঠ সাথে নেয়
কলমি কমল ভাঁট সাথে নেয়
উঁচিয়ে মাথা আগায়
নিজের মনে একান্তে সব
পথের দিশা জাগায়।
পথটা আবার চলতে লাগে
পথের কথা বলতে লাগে
ভর দিয়ে তার দু পায়
পথ খুঁজে নেয় ক্রমে ক্রমে
পথের নানা উপায়।
পথের সাথে হাওয়া চলে
অক্সিজেনের দাওয়া চলে
চলতে চলতে নদী
পথ বলে তাও ব্রিজ নেবো না
সাঁতরে পারি যদি।
পথটা ঠিকই সাতটা সাগর
তেরো নদীর চক্ষু ডাগর
সাঁতরে সাঁতরে পেরোয়
সেসব নিয়ে পথের বাঁকে
ফিচার কতো বেরোয়।
সেই ফিচারের পাতায় পাতায়
কত্ত শোভন সূচি গাঁথায়
ফ্রেম বাঁধা পথ- কবি
পথ পেরিয়ে পথে দেখি
আমারই মুখ ছবি!