রাইয়ান অভির একগুচ্ছ গীতিকবিতা
আপনজনা
মিছে কেন কাঁদিস মনা
আপন ঘরে ফিরবে না
তোর আপনজনা।
অনেক বেশি ভালো তোকে
বেসেছিল যখন
তুই অবহেলা করলি তারে
নিলি না রে যতন
এখন তোর সাজার মেয়াদ
জীবন জেলখানা।
ভালোবাসি এই কথাটা
বলেছিল যখন
তুই থাকবি পাশে বলেছিলি
সারাটা জীবন
তোর সে কথা পথ ভুলেছে
হারিয়ে ঠিকানা।
(২)
মনভোলা
ওরে ও মনভোলা তুই
এতোই মনভোলা
এপার ওপার ঘুরলি ফিরে
ডুব দিলিনা ভাবসাগরে
এ মন ও মন ঘুরে সারাক্ষণ
কাটালি বেলা।
মজিয়া রুপের মোহে
হারালি তোর প্রেমের মান
ওরে ও বন্ধু কালাচাঁন
বিষের আগুনে ঢাইলা ঘি
পুইড়া হইলি কি
বাড়লো তোর আরও জ্বালা
তালবাহানা করে কতো
বাইবি দেহতরী খান
ওরে ও বন্ধু কালাচাঁন
চেয়ে দেখ নিকটে সমন
করিস না কালক্ষেপণ
ছিড়বে তোর আয়ুর মালা।
(৩)
ক্ষুধাতুর প্রজন্মের গান
আমি দেখেছি কিভাবে কাটে মজুরের
ক্লান্তির সারাবেলা
আমি দেখেছি ক্ষুধায়
হাত পেতে থাকা
নারীর চোখের জ্বালা
আমি স্বপ্নবাজের চোখে
স্বপ্নচুরির খেলা
আমি দেখেছি শিক্ষা
করছে ভিক্ষা বন্ধ পাঠশালা
তবু আসেনা তো পরী নেমে
সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তাদের
যায়না দুঃখ থেমে।
আমি দেখেছি নীরব চোখের জলে
মরলেই হবো ধন্য
আমি দেখেছি অশ্রু মৃত্যুর কালে
বেঁচে থাকার জন্য
আমি দেখেছি কতো স্নেহের আঙ্গুল
যায় বদলে নির্ভরতায়
তবু আসেনা পরী নেমে
তবু যায়না দুঃখ থেমে
এই শহরের নিঃশ্বাস মরে যায়
(৪)
স্বাধীনতা তুমি
স্বাধীনতা তুমি শিকল ভাঙা
কোন মুক্তির গান
স্বাধীনতা তুমি লাল সবুজের
স্বপ্নের নিশান
স্বাধীনতা তুমি জাতির পিতার
মুক্তির হুংকার
স্বাধীনতা তুমি দেশের মাটিতে
বাঁচবার অধিকার
প্রিয় স্বাধীনতা বাঙ্গালির বুকে
গর্জে ওঠো আবার।
স্বাধীনতা তুমি সবুজ মাটিতে
কৃষাণী মায়ের হাসি
স্বাধীনতা তুমি ক্লান্ত দেহে
রাখালের পোড়া বাঁশি।
স্বাধীনতা তুমি প্রাণের আবেগে
বারবার ফিরে আসা
স্বাধীনতা তুমি দেশের প্রতি
অকৃপন ভালোবাসা।
(৫)
ক্ষয়ে যাবার গান
জঞ্জালে ভরা রুম
আর অপরিকল্পিত ঘুম
আমার অলস পথচলা
আর ক্লাস মিস করে ফেরা
জানি সময় আমার যায় বয়ে
তবু থাকব আমি আমার হয়ে।
আমার স্বপ্নেরা খুঁজে পায়না ঠিকানা
আমার গল্পটার সমাপ্তি অজানা
আমি জানি শুধু
ক্লান্ত একটা দিনের মতো
যাচ্ছি জীবন টা বয়ে।
আমার নিঃশ্বাসের কেউ সত্যি খোঁজে না
আমার বিশ্বাসের কেউ
জন্ম জানেনা
আমি জানি শুধু
একটু হাসির অন্তরালে
যেতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে।
রাইয়ান অভি