পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে। বাতাসে বিদায়ের সুর। একদিকে বিদায় বার্তা অন্যদিকে খুশির বারতা নিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। একমাস সিয়াম সাধনা করে আমরা উপহার স্বরুপ পেয়েছি এই ঈদ। গত একমাসে আমরা আমাদের জীবনযাপনের রুটিনে এনেছিলাম ব্যপক পরিবর্তন। শেষরাতে ঘুম থেকে উঠে সাহরি খাওয়া,নামাজ পড়া,সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং ইফতারি করা। এসময় আমাদের ঘুমের এবং শরীরে পানির পরিমান কমে গিয়েছিল সর্বোপরি আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাবেন তাহাই সয় বলেই শরীর দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল রোজার সময় জীবনযাপনে। ঈদের মাধ্যমে আমরা আবার ফিরে যাবে আগের রুটিনে। একথা আমাদের সবার জানা যে দিনে একবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই আমাদের উচিত হবে একবারে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে ঘনঘন খাওয়া।ক্যালরী হিসেবে সকালেই বেশী পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন আমিষসমৃদ্ধ ডিম,ডাল সাথে ফলমূল। রাতে খাদ্যতালিকায় থাকবে লো ক্যালরী সমৃদ্ধ খাবার। শরীরকে কর্মক্ষম রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সেটা হতে পারে ৩৫/৪০ মিনিট হাঁটা অথবা ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজ। ব্যায়াম শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ যেমন বের করে দেয় তেমনি অতিরিক্ত ক্যালরী পুড়িয়ে শরীরকে রাখে চনমনে। করোনা কালীন এসময়ে ব্যায়ামই পারে হার্ট ও লাংসকে কর্মক্ষম রাখতে।
রমজান মাসের ঘুমের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যেতে হবে এসময় নেয়া যাবে না সাথে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস। সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমানো দরকার।
রমজানে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম বাড়ির তৈরি খাবারে তাই হুট করে বাইরের হোটেলের খাবার খেলে পেটের বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হতে পারি। এড়িয়ে চলতে হবে এসব।
ঈদের দিন জিহ্বাকে সংযতকরে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত তেল চর্বি যুক্ত পোলাও, কোর্মা, গোস্ত পেট খারাপের কারণ হতে পারে। তাই একবেলা পোলাও খেলেও অন্যবেলা সাদাভাত খাবার চেষ্টা করবেন। যারা ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগী তারা নিয়মের বাইরে না গিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ গ্রহণ করতে ভুলবেন না।
আমরা যদিও মেহমানদারি করতে ভালবাসি তারপরও বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন অপরজনের বাড়িতে যাওয়া থেকে বিরত থাকি। ঘনঘন হাত ধোওয়া,সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা আবারও শুরু করি রোজা পরবর্তী জীবন।