আবার তোমার সঙ্গে দেখা হবে বহুদিন পর।
মন যেন আজকে হাবল-পূর্ববর্তী কোনো উপদ্রবহীন
তারাঘন মায়াময় রাতের আকাশ–
নিরিবিলি নীরব নিঝুম।
বহুকাল পর আজ দেখা হবে তোমার সহিত।
জোনাকি-ফুটিয়ে-তোলা রাতের আকাশ ঝেঁপে নেমে আসবে
বিলের পানিতে। ফুটে উঠবে অগণন তারামাছ।
ধ্রুবকের মতো জ্বলবে তাদের প্রতিটি কৌণবিন্দু।
কতদিন হলো তুমি নেই এই দেশে।
উঠানে বরইয়ের গাছে চুপচাপ
ঘনিয়ে-জড়িয়ে-থাকা স্বর্ণলতাগুলি
এতদিনে বদলে গেছে জং-ধরা তামার তন্তুতে।
মৌমাছিরা সেই কবে উড়ে গেছে দূরের পাহাড়ে
ফাঁকা-ফাঁকা স্মৃতিকোষ হয়ে ঝুলে আছে
এখনো মৌচাক, কৃষ্ণচূড়া গাছে।
গুঞ্জনের রেশ, মধু ও মোমের অবশেষ, কিচ্ছু নেই কোনোখানে।
অভিমান করে নদী সরে গেছে দূরে
নাইয়র-নিতে-আসা নৌকাসহ।
তবুও এখনো
সংসারে-হাঁপিয়ে-ওঠা, ক্রমশ-ফুরাতে-থাকা
নাম-না-জানা কোনো গৃহবধূ
বিরহবিলাপ সুরে খুনখুনিয়ে গেয়ে যাচ্ছে অস্ফুট কাকুতিগান–
“ঘাটে লাগাইয়া ডিঙা পান খাইয়া যাও বাঁশি আল্লা’র দোহাই
এ-পরানের বিনিময়ে তোমার পরান দিয়ো হাসি আল্লা’র দোহাই”