প্রতিদিন দক্ষিণের বারান্দায় সে আসে
দম্ভ ভরে বিকট ভঙ্গিমায় তাকে তাড়িয়ে দাও।
গতির জীবনে অষ্টপ্রহর টই টই ঘুরো
আর রসোসিক্ত রসদ খোঁজ ।
একই নিয়মে তুমি আবার বিভাজনে নেমেছো ।
তুমি বদলাবে না।
বদলাবে না তোমার অশান্ত বৈরী আচরণ
ঘৃণ্য জটিলতা আর রীতিনীতির বাঘবন্দি খেলা !
নতুন করে আর এক ফানুসে বাতাস ভরছো ।
কাকে বন্ধক দিতে চাও, বৃষ্টিভেজা ঘাস ফুল
আর চড়ুই শালিক ।
কার হাতে তুলে দিতে চাও সাজানো সংসার
আর স্বর্ণতোড়ণ এর দায়ভার !
তুমি যে স্বপ্ন দেখছো তারো অনেক আগে
ইচ্ছামতি নদীতে সে ভাসিয়েছে সপ্ত ডিঙা,
আরো, আরো অনেক আগে সেইই ছিল
স্বপ্নের সারথী।
আজ তাকে একটিবার স্মরণ করলে না।
অন্তত একটি লাল গোলাপ উপহার দিতে পারতে!!
ভুলে গেছো অতীত সম্মিলনের কথা, ভালবাসার কথা
ভুলে গেছো কি আমাদের পূর্বপুরুষ সেই হাত ধরেই তো
এই মসনদে আসীন ছিলো ।
এবার আর পারবে না দেখে নিও ।
বুনো হাঁসেরা ক্ষেপেছে,
ক্ষেপেছে চট্টলার বন পাহাড়, মালতীলতা আর শঙ্খচিল।
কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশ আর
বরেন্দ্রের লাল মাটি ফুঁসে উঠছে !
ফুঁসছে সমুদ্রের নোনা জল!
গহন পাতাল থেকে যেন উঠে আসছে জীর্ণ দীর্ণ
প্রতিশ্রুত ঠিকানার অলীক সেই স্বপ্নগাঁথা ।
নিশ্চিত জানি আর কখনো দক্ষিণের বারান্দায়
জোড় শালিক এসে ফিরে যাবে না।
এবার দেখো ডাইরির পাতা হয়ে তোমাকে ঝিমুতে হবে!
দেহের সীমারেখা পেড়িয়ে শতাব্দী জুড়ে
অভিশপ্ত কালো অক্ষর সাক্ষী হয়ে থাকবে !!
থাকতেই হবে দেখে নিও !!