নির্মম-নিষ্ঠুর পাষাণী জাতি ভিক্ষের ঝুলি হাতে নিয়ে একদিন পালিয়ে এসে, আজ রাজত্ব চালাচ্ছে ফিলিস্তিনের বুকে। জোড় যার মুল্লুক তার ইসরায়েলেরা দেখিয়ে দিল বাস্তবের মাটিতে। স্বয়ং আল্লাহতালার একবিন্দু ভয় তাদের বুকে নেই। যে মাটি একদিন তাদের মানুষ মনে করে আশ্রয় দিয়েছিল সেই মাটিতে গোপনে গোপনে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করে যথেচ্ছারিত ভাবে দাউ দাউ আগুনের শিখা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে তুলছে ফিলিস্তিনের বুক। হে মনুষ্য বিবেক একটু থামো, জেগে তোলো তোমাদের মানবতা । হই না কেনো আমি ফিলিস্তিনি, ইসরায়েল, গাজা, জাতে হই হিন্দু- মুসলিম-খৃষ্টান-বৌদ্ধ। সবশেষে তোমার – আমার রক্তের রং লাল, আমরা মানুষ এই সত্যকে উপলদ্ধি করা ভুলে যেও না, ভুলে যেও না আশ্রয়দাতার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ। জাগ্রত বিবেকবোধে জেগে ওঠো, নেভাও এই আগুন, বাঁচাও জীবন আর রক্তাত মাটি যে মাটি তোমাদের একদিন বুকে তুলে নিয়েছিল।
অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র যন্ত্রের অবসান ঘটাও, নয় কথায় কথায় জীবন নেওয়া, নয় বোমা, রকেট আর চারদিকে বিকট বিষ্ফোরণের অগ্নিকুন্ড।গাজা -ফিলিস্তিনির সদ্য নবাগত শিশু জন্মের আগেই যেনো হয়ে যাচ্ছে ভয়ে জডসড়, শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে মৃত্যুভয়ে প্রতি মুহুর্ত আতংকিত , একটু বাঁচবার আশায় সর্বত্র ছুটছে কিন্তু চারদিকে আঁধারের কুন্ডলী, আর্তচিৎকার, হাহাকার কি করুন মানসিক অবস্হা। অন্ধ বিবেকে জ্ঞানহীন মানুষ – ভুলে যাচ্ছে মানবতা – “ মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।”
কোথায় যাবে এই বাস্তুচ্যুত মা – বাবা আমাদের সন্তানেরা। আমরা চাই না সাহায্য – সহায়তা…চাই শান্তি, জীবনের নিরাপত্তা…বাঁচবার নিশ্চয়তা।
দাও মুক্তি চলমান জীবন – মৃত্যুর সংঘাত থেকে।
আমরা বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে হাত জোড় করে মিনতি করছি – ছোট্ট সোনামনিদের জীবনের আয়ুটুকু কেড়ে নিও না। জাতিবিদ্বেষ কোনো বিচারের আওতায় নয়, মানবিক বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করো সুস্থ মানবিকতায়। বর্তমান যে সংকটে ফিলিস্তিনি তা নিরসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের ক্ষমতা নেই লড়াই করার, সামর্থ্য নেই ছুটে যাবার….. কিন্তু আমরা বাংলাদেশের বাসিন্দা কলম যোদ্ধা। কলমের আক্ষরিক শব্দের ঝংকারে প্রতিবাদ করছি.. সেই সঙ্গে করছি মিনতি। বিশ্বপ্রগতির ভার্চুয়্যাল যুগ সব কিছুর উন্নতি ঘটেছে, ঘটে নি সুস্থ মানসিকতার, মনুষ্য জন্মের সার্থকতায় আলোকিত হয় নি আজো অত্যাধুনিক উন্নত দেশের মনুষ্যজন্ম। সারা বিশ্বে উন্নত নেটের মাধ্যমে সমস্ত সংবাদ দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় বলেই আমরা জানতে পারছি তাই খুব শীঘ্র আর্ন্তজাতিক সুরক্ষাব্যবস্হা গ্রহণ করা জরুরী বিষয় বলে মনে করি। দিনে দিনে ইসরায়েল – জেরুজালেম যে নির্মম – নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তা অবর্ণনীয়। সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে আজ নিন্দা ।
তাদের ঘৃণ্যতম কার্যকলাপ যাতে বাহিরে প্রচার না হয় তার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা করে যে বাঁধা প্রদান করেছে তা অতি নিন্দনীয়। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যিনি মালিক মহান আল্লাহ তালা তার পবিত্র আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে দফায় দফায় যে সংঘর্ষ তা যে কতোটা জঘন্যতম এবং পাপময় ভাষায় প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্হান নিয়েছিল ফিলিস্তিনির মানবিক মানুষেরা। স্বাধীনতার যুদ্ধে যে দেশ বাংলাদেশের পাশে আপন মনে করে একাত্ম হয়ে ছিল আজ তারাই ৫০ বছর ধরে ধুকে ধুকে মরছে স্বাধীনতার লড়াইতে। নেই তাদের দেশে একটি বিমান ঘাঁটি। তাদের উপর দিনের পর দিন হত্যা- নজিরবিহীন জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপ থেকে বিতারিত ইসরায়েলের বিশ্বাসঘাতক মানুষরূপী নরপশু। অথচ এই ফিলিস্তিনিরা তাদের বুকে টেনে নিয়ে আশ্রয় দিয়ে ছিল। ভাগ্যের নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার আজ ফিলিস্তিনির সমস্ত মানুষ। লাশের মিছিলে এই দেশ থরথর কাঁপছে অবিরত। আমরা দূর থেকেই আমাদের কলমকে জাগিয়ে তুলেছি । অবাক হতে হয় ফিলিস্তিনির শিশুরা জন্মেই যেনো তৈরি হয় লড়াইর জন্য। মনে পড়ে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রণ সঙ্গীত “ নব নবীনের গাহিয়া গান / সজীব করিব মহাশশ্মান / আমরা দানিব নতুন প্রাণ / বাহুতে নবীন বল….”। এই লেখনীর শক্তি – সাহস যুগে যুগে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
কবির কলম তাই তলোয়ারের চেয়েও শক্তিশালী। জাগো…..বাহে….জাগো….কলমকে করে তোলো যুদ্ধজয়ী বীর সৈনিক। আসো সবে মিলে ঈমানের শক্তিতে বলি – আল্লাহু আকবর…আল্লাহু আকবর…।