(শুভেন্দু মাইতি শ্রদ্ধাস্পদেষু)
স্বপ্ন মরে গেছে কবে, উষর ভূখণ্ডে কয়েকটি কাঁটা গাছ নিষ্ফলা ঝোঁপঝাড়
পড়ে আছে বেতাল সুরের মতো। কৃষক নেই, লাঙলের ফলায় বিষাক্ত মরিচা,
মৃত্যুশকুন এসে জীর্ণ তালগাছের মাথায় পাখনা মেলে।
স্বপ্ন নেই জীবনের অনিবার্য উপাচার।
এরই মাঝে মাটি ফুঁড়ে উঠে আসে এক অনার্য কৃষক ধৌত সফেদ বস্ত্র,
বয়সহীন তীব্র তরুণ, বাতাস উল্লাসে তুলে নেয় হাতে সেক্সফোনের রোদ
ঝলসিত বারুদের সুর। অনার্য কৃষক কোন আদিকালের পথযাত্রায় সংঘাতে
বেদনায় থামে এই রোদজ্বলা মাটিখণ্ডে, সেক্সফোনের বারুদ সুরে ছড়িয়ে দেয়
স্বপ্নের সংগীত, সেই সুর শক্তিময় মায়াময় স্বপ্নময় রোদজ্বলা মাটিখণ্ড ভেদ করে পৌঁছে যায় পৃথিবীর হৃদপিণ্ডের কাছে।
লাঙলের ফলায় জেগে ওঠে উল্লাস, অনার্য কৃষক শক্ত মুঠিতে গেঁথে দেয়
লাঙলের ফলা উষর মাটির বুকে- হাজার স্বপ্ন ফুল হয়ে ফুটে ওঠে, বারুদ
সুরের তীব্র আলোয় জেগে ওঠে মানুষ শুধু মানুষ। ধৌত সফেদ বস্ত্র অনার্য
কৃষক দু হাত শূন্যে প্রসারিত করে-বৃষ্টি নামে অবিরল ধারায়।