উদাসীনগর থেকে খানিকটা পথ
নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধে হেঁটে যাই
স্মৃতির আরশিতে ভেসে ওঠে
শৈশব অতীত মধুপুর।
দুপুরের উত্তাপে ঝলসে যাওয়া
আর
টানাপোড়নে হাঁপিয়ে ওঠা শরীর
অনুভবের আবছা আলোয় যে মুখ
ধুলোময় দূরত্বে দেখি
তাকে খুঁজি-ফিরি প্রখর রৌদ্রদহন উঠোনে।
চেনা পথ চিনতে কষ্ট হয়
দু’ধারে বুনো গাছ ভাঁট শেওড়া কুক-শিমা আল-কুশি।
পুরানো পাকুড় মুখ থুবড়ে আছে।
মনে পড়ে স্মৃতির আবছা আলোয় যে মুখ
আবার হারিয়ে যায় খেয়াল
খুঁজে পাই হারানো আদম আলীকে
তাঁর হাত ধরে চলি কৈশোরে
এক সময় এসে যাই ছত্রিশ থেকে দশে
ঘাঘটে জলকেলি ছিদামের ঘাটে অজানা স্বপ্নের জাল বোনা,
পিরের মেলায় রাত গভীরে মিছামিছি হাঁটা।
হাতাসপুরের তন্ময় অনুভূতি
উচ্ছলতা তাড়া কোরে সময়ের কলা পাতা রঙ
জীবনের ঘনীভূত নীলিমায় ভেসে বেড়াতে বেড়াতে
গদাবাবুর এক চিলতে জমির বাগান
আনন্দের পাঁচিল ভাঙে
ফসলি জমিনে পড়ে থাকে স্মৃতির খড়কুটো।
আশ্বিনে নবান্নের ঘ্রাণ
মৃদু মন্দ বাতাস জাগিয়ে তোলে স্বপ্ন ঘন কুয়াশা
খেতে খামারে রাত জাগা মানুষের ব্যস্ত কোলাহল।
এক টুকরো আলোয়
ভাপা পুলি খোলা চিতুই গড়গড়া তেল পিঠে গড়ে জোরে বেওয়া।
তন্ময় ভাঙে ঘুমের মতো
হারানো অধ্যায় হারাতে হারাতে এক সময়
পরাবাস্তবতার কঠিন বাহুর নাগপাশে
জীবন্ত আমাকে দেখি।
জেলা: রংপুর