একটা রঙিন বেলুন। দুষ্টু বালক ফু দিয়ে
ফোলাচ্ছে, বাতাস ছাড়ছে, অাবার ফোলাচ্ছে-
একবার হঠাৎ হাত ফসকে বেলুনটা উড়ে গেল!
মনে করো, পৃথিবী একটা মুখ খোলা বেলুন-
শব্দ করে বাতাস বেড়িয়ে যাচ্ছে, বেলুনটা
সামনের দিকে ছুটে যাচ্ছে এলোমেলো দ্রুত
বাতাসও পেছনে পেছনে তৃতীয় সূত্রমতো।
ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী, দূর হয়ে যাচ্ছে নিকট, মরুভুমি মিশে যাচ্ছে মহাসাগরে, নদী
বন মিশে যাচ্ছে পাহাড়ে, মানচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে মানচিত্রের ভেতরে
পৃথিবীর হৃৎপিণ্ড এখন বাতাসশূন্য-
চোপসানো পৃথিবীটা এলোমেলো উড়তে উড়তে
পড়ে গেল, পড়বেই বা কোথায়!
মূলত, পৃথিবীর পড়ে যাবার কোনো জায়গা নাই!
দুষ্টু বালক অবাক তাকিয়ে আছে, পৃথিবী তখন ভাসছে এন্ড্রোমিডা পেরিয়ে লানিয়াকেয়ার বাগানে
আমরা? আমরা ভেসে চলছি মহাশূন্যের ভেতরে
প্রথমে কাছাকাছি, পরে সবাই সরে গেছি দূরে
আরও দূরে-
তখনও ধরে রেখো হাত, যেও নাকো সরে-
দু’জনে ফের বাঁধবো বসতি, নতুন কোনো গ্রহের উপরে