ছোট্ট একটি বিমান, পাইলট বাদে যাত্রী
মাত্র পাঁচজন।
একজন রাজনৈতিক নেতা, একজন উকিল, একজন ডাক্তার, একজন শিক্ষক এবং একজন মাত্র ছাত্র।
বিমানটি প্রায় তিন হাজার ফিট
উপর দিয়ে উড়ছিল।
পাইলট হঠাৎ ঘোষণা দিলেন,
“সম্মানিত যাত্রীগণ, দুখের সাথে একটি দুঃসংবাদ জানাচ্ছি যে, বিমানে যতটুকু জ্বালানী আছে তাতে আর মাত্র
তিন মিনিট চলবে
ল্যান্ড করতে আট মিনিট সময় লাগবে, অতএব আমরা সবাই মহা বিপদের সম্মুখীন।
সুসংবাদ এতোটুকু যে, এই বিমানে পাঁচজন যাত্রীর বিপরিদে প্যারাসুট আছে মাত্র চারটি, আপনারা দ্রুত নিজেদের মধ্যে কম্প্রমাইজ করুন কে কে প্যারাসুট পাবেন।
নেতা হুংকার দিয়ে বললেন, “এই কেউ ওদিকে আগে যাবেন না,
আমারটা আগে নিতে দিন,তিনি নিলেন।
উকিল আর ডাক্তার হুড়োহুড়ি শুরু করলেন, উকিল বললেন আরে ভাই হুড়োহুড়ির কি আছে? আমরা দুজন দুটি নিলেও তো আরও একটি থাকছে,
ডাক্তার বললেন,
ওরা তো দুইজন।
উকিল বললেন,
ছাড়ুন ওসব পরের চিন্তা, নিজে বাঁচলে বাপের নাম, এই নিন আপনারটা বলেই দুজনে লাফিয়ে পড়লো।
বেচারা বৃদ্ধ শিক্ষক আর তরুণ ছাত্র এখন মহা বিপদে,
দুজন মানুষ আর একটি মাত্র প্যারাসুট,
কে বাঁচবে আর কে আত্মাহুতি দিবে?
ছাত্র বলছে ” স্যার আপনি দ্রুত ওটা নিয়ে নিন, আপনি আমার বাবার মতো আপনাকে ফেলে আমি স্বার্থপরের মতো বাঁচতে চাই না,”
শিক্ষক বললেন,” আমার অনেক বয়স হয়েছে, জীবনে চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নাই বরং সামনে তোমার অনেক বড় ভবিষ্যৎ, দেরি না করে এক্ষুনি ওটা পরে নাও।
এরপরও ছাত্রটি রাজি না হলে বৃদ্ধ শিক্ষক ধমক দিয়ে বললেন,
“আমি তোমার বাবা বলছি,
যাও এক্ষুনি যাও। “
ছাত্র টি বাধ্য হয়ে কেবিনে গিয়ে চিৎকার করে বললো
“স্যার, এখনও দুটো প্যারাস্যুট আছে,
এই নিন স্যার আপনার টা।”
ছাত্রটি ব্যস্ত হয়ে তার স্কুল ব্যাগটি খুঁজছিল, না কোথাও নেই।
শিক্ষক অবাক হয়ে বললেন, তাহলে কী প্রথম ব্যাক্তি প্যারাসুট ভেবে …..?