আনন্দের জন্যই মানুষ সবকিছু করে ফ্রয়েড যেটাকে pleasure principle বলেন। এমনকি অন্যের জন্য ত্যাগ, ভালোবাসা, উৎসর্গ সবকিছুর পিছনে এই তাড়নাই কাজ করে। শুধু তাই নয়, মানুষ যে নিজেকে দুঃখী, বিষণ্ন দেখাতে পছন্দ করে তাতেও একধরণের আনন্দ পায়। দুঃখের গভীরে মানুষ লীন হয়ে এক অনুপম সৌন্দর্যের সন্ধান পায়। রবীন্দ্রনাথ জগতের অসুন্দর, সুন্দর, বিরহ, বিষাদকে আলাদাভাবে দেখেননি। সবকিছুকে সুন্দর ও আনন্দের দৃষ্টিতেই দেখেছেন। বিরহও একধরণের সুন্দর আনন্দ। এমনকি ভয় থেকেও আনন্দ পায় মানুষ। মূলতঃ ভয়, কান্না, হাসি–এই মৌলিক আবেগকে প্রশমিত করে মন তৃপ্তি পায়।
কিন্তু reality principle কিংবা বিভিন্নরকম সামাজিক ট্যাবু মানুষকে একটা গন্ডির মধ্যে রাখতে চায়। এই অবদমনের ফলে ভেতরে ভেতরে মানুষ অন্তর্দ্বন্দে ভুগে।
তবুও মনকে তো বন্দী রাখা যায় না। সে চরিতার্থ করেই চেতনে কিংবা অবচেতনে, বাস্তবে কিংবা শিল্পে।