আমাদের আর হলোই না গান শোনা,
পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে নেমে যায় না বলা অভিমান,
আয়নায় দেখে আসো ক্ষণে ক্ষণে চুরমার মুখ,
তড়িঘড়ি কথা না বলে শার্সির ওপারে দেখাও
বিকেল ক্রমাগত রাত্রির দিকে ছুটে যায়।
আমাদের দিকে হাঁটছে আমাদের চোখ,
অদ্ভুত বিষণ্নতা, প্রতিমার মতো সরল মায়া,
একাগ্র ভক্তের প্রাণ চেয়েছিল আরো কিছু শোনাও;
চুপিচুপি দিয়ে যাও গান, দিয়ে যাও গোপন অভিমান।
দাওনি! শুধু কপালের ভাঁজ জ্বলে উঠে
ঘরে ফেরা পাখিদের বুকের উল্লাস যেমন।
আর নিরবে বলো,
“আমরা যতটা কাছের তার চেয়ে দূরত্বই হলো বেশি,
ভালো থাকার নাম করে জলে ধুয়ো না চারিদিক,
মানুষ সহমর্মী হয়ে করুণায় ঠেলে দেবে নিরর্থক মেঘ;
তুমি আর একা একা কতটুকু হবে কাতর!
তুমি তো ভালোবেসে হয়েছো আগুনের আবেগ,
ক’জন নিজেকে হারায়ে আগ্নেয়গিরি হয়?
ক’জন পুড়তে জানে এমন অন্ধ সর্বনাশে?
আমাদের আর হলোই না গান শোনা,
ছুঁয়ে যায়, ছুঁয়ে যায়, শুধু ছুঁয়ে যায়
অভিন্ন বিষাক্ত সত্যের অনল।
যখন চিরকাল আগুনের ধর্ম পোড়ানো
তখন আমাকে পুরোপুরি পুড়িয়ে দাও
ওগো একরোখা সত্যের অনল।