চিরজীবন যৌবনরাঙা ভাবি
নাগাল পাইনি তোমার বুকের ভেতর
চলতে গিয়ে হোঁচট খেলে তুমি
আমার বুকে ব্যথা বাড়ে তত।
বাড়বাড়ন্ত সাদা হচ্ছে মাথা
কঞ্চি নাকটা বাঁশের মতো হলো
মুখটা তোমার ঝুলে গেছে অনেক
সুখটা যদি পেতে মনের মতো!
শাড়ি পরো ঢিলেঢালা কুঁচি
পেটিকোটে দাগ লেগেছে কিছু
স্লীভলেসে লাগতো বড় দারুণ
এখন তোমায় মায়ার চোখে দেখি।
আমার ছায়া তোমার করে ভাবি
মনে মনে কথা বলি কত
ভালবাসি বাধা দিতে পারো
কথায় আমায় কে আটকাবে বলো।
যতন করে বুকের ভেতর পুষি
সুখ হাতরাই আমার মতো করে
কেউবা তোমায় দুঃখ দিছে হাজার
শুনে তখন দগ্ধ হয়ে মরি।
ছেঁটে ছেঁটে চুলটা করো ছোট
এবার না হয় পা—টা একটু বাড়াও
শক্ত করে বুকে গুঁজে রাখো
উদ্বাহুতে জড়িয়ে তো ধরো।
কলঙ্ক সব আমার করে নেবো
তোমার কাছে আমার অনেক ঋণ
এত যখন ভাবতে দিছো আমায়
সেইসুখ আর কে বা দিতো বলো।