মানুষের বিভিন্ন প্রয়োগ অথবা প্রকৃতির মোটামুটি সব নকশার মাঝে একটি নিদৃষ্ট অংক খুঁজতে গেলে সবচেয়ে বেশী ধরা পরবে শুধুই একটি গাণিতিক অনুপাত। আর যার মান ১.৬১৮০৩৩৯৮৮। এটাই গোল্ডেন রেশিও বা সোনালী অনুপাত। যাকে প্রকাশ করা হয় ল্যাটিন অক্ষর Φ (PHI/ ফাই ) দ্বারা। মনে প্রশ্ন আসতেই পারে দেখতে সাধারণ এই সংখ্যার এত মাহাত্ম্য কিসের? আসলে এই সংখ্যাতেই লুকিয়ে আছে সৃষ্টিজগতের অনেক রহস্য। একটু গভীর ভাবে দৃষ্টি দিলেই আমরা একে খুঁজে পাব আমাদের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে, গোটা জীব জগতে, পদার্থ বিজ্ঞান কিংবা রসায়নে। পাব আমাদের সৌরজগতে, আমাদের গ্যালাক্সিতে। খুঁজে পাব অ্যাপল, মার্সিডিজ এর মত বিখ্যাত কোম্পানীর লোগোতে। এই সংখ্যাই আমাদের বলে দিবে কেন পিরামিড, তাজমহল বা আইফেল টাওয়ারের মত স্থাপনা গুলি এত মনোমুগ্ধকর। কেন ভিঞ্চির মোনালিসার এত মহিমা।
গোল্ডেন রেশিও এর সাথে ফিবনাক্কি সিরিজের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন জাগবে ফিবনাক্কি সিরিজটা আসলে কি? খুব সহজ! এটা হল এমন একটা সিরিজ যার প্রতিটা সংখ্যা আগের দুই সংখ্যার যোগফল। যেমনঃ 0,1,1,2,3,5,8,13,21,34,55,89,144…………
এখন আমাদের এই গোল্ডেন রেশিও এর মান আমরা ফিবনাক্কি সিরিজ থেকেও পেতে পারি, যে কারণেই এই দুয়ের সম্পর্কের কথা বল্লাম। সেটা কেমন? এটা হল এমন যে আমরা যদি ফিবনাক্কি সিরিজের যেকোন সংখ্যাকে তার আগের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করি তাহলে সেই সংখ্যাটাই হবে গোল্ডেন রেশিও।প্রথম দিকের সংখ্যাগুলির জন্য হিসেব কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হলেও যতই ফিবোনাক্কি সিরিজ ধরে সামনে যাব তত ক্রমিক সংখ্যাদ্বয়ের অনুপাত গোল্ডেন রেশিও এর দিকে এগিয়ে যাবে আর ৩৯ তম সংখ্যা থেকে পরবর্তী ক্রমিক সংখ্যাদ্বয়ের অনুপাত প্রায় ধ্রুবক হয়ে যাবে এবং সেই ধ্রুব সংখ্যাই হল আমাদের আলোচিত গোল্ডেন রেশিও।
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি একে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘The Divine Proportion’ বাংলায় যাকে বলা যায় ‘ স্বর্গীয় অনুপাত’।তিনিই প্রথম মানবদেহে গোল্ডেন রেশিও এর উপস্থিতি লক্ষ করেন; বুঝতে পারেন এর মর্ম তিনিই আবিষ্কার করেন সকল বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই, দেহের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য : নাভির নিচ থেকে বাকি অংশের দৈর্ঘ্য = 1.6180…(PHI) ; আবার কাঁধ থেকে হাটু পর্যন্ত এবং হাটু থেকে পায়ের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত দূরত্বের অনুপাত ও 1.6180…(PHI) ; মানুষের বাহু (বাইসেপ্স) এর সাথে সম্পূর্ণ হাত এর অনুপাতের মান হল 1.6180…(PHI); মানুষের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে কনুই এর দৈর্ঘ্য এবং কবজি থেকে কনুই এর দৈর্ঘ্যের অনুপাত 1.6180…(PHI) ; মানুষের মুখমণ্ডলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত 1.6180…(PHI) ; ঠোঁটের দৈর্ঘ্য ও নাকের প্রস্থের অনুপাত, চোখের ২ প্রান্তের দুরুত্ব ও চুল থেকে চোখের মনির দুরুত্ব ও 1.6180…(PHI) । সারা মুখমন্ডলের সবকিছুতে, শরীরের গিঁটে গিঁটে, মেরুদন্ডে, অভ্যন্তরের অঙ্গেপ্রত্যঙ্গে সবখানে এই গোল্ডেন রেশিও খুঁজে পাওয়া যাবে।
গোটা মানবদেহে প্রায় ৩ শতাধিক গোল্ডেন রেশিও খুঁজে পাওয়া যায়; মুখমণ্ডলেই পাওয়া যায় ৩০ টিরওও বেশি। এটাচ করা ছবিতে দেখুন, মানুষের চেহারায় কিভাবে Golden Rectangle এবং Golden Spiral পুরো খাপে খাপে বসে যায়।
লিওনার্দো ভিঞ্চি কিন্তু শুধু মানুষের মাঝে এই গোল্ডেন রেশিও আবিষ্কার করে বসে ছিলেন না। তিনি সেগুলি প্রয়োগ করতে লাগলেন তার বেশির ভাগ শিল্পকর্মতেই ; The last Supper, Merry Magdalin, Monalisa সবগুলোই রয়েছে গোল্ডেন রেশিও এর উপস্থিতি। শুধু মানবদেহই নয়, গোটা প্রাণীকুলে—উদ্ভিদকুলে সব কিছুতেই মাত্রাগত ভাবে গোল্ডেন রেশিও বিদ্যমান।
যেমনঃ
১। শামুক—ঝিনুক—সী—শেলে গোল্ডেন রেশিও বিদ্যমান
২। মুরগীর ডিমেও গোল্ডেন রেশিও বিদ্যমান
৩। মৌচাকে স্ত্রী মৌমাছি ও পুরুষ মৌমাছির সংখ্যার অনুপাত PHI
৪। ফুলের ভেতর প্রতি স্তরের রেনুর সাথে পরের স্তরের রেনুর অনুপাত PHI ।
৫। গাছের প্রতি স্তরে স্তরে পাতা বৃদ্ধির অনুপাত PHI ।
৬। পদার্থবিজ্ঞানের চৌম্বকক্ষেত্র কিংবা বিদ্যুৎক্ষেত্রে, সরল ছন্দিত স্পন্দনে, তাপবিজ্ঞানে সবখানেই পাওয়া যায় PHI ।
৭। মিসরের পিরামিডে, আগ্রার তাজমহলে, ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারে, নটরডেমে, পারথেননে, ইউনাইটেড নেশন বিল্ডিং সহ আরও অজস্র স্থাপত্যে PHI ব্যবহৃত হয়েছে।PHI থাকার কারণেই এগুলো এত বেশি দৃষ্টিনন্দন।
৮। কিছু বিখ্যাত কোম্পানির লোগোতে PHI ব্যবহৃত হয়েছে।
৯। হারিকেন, ঘূর্ণিঝড়, ধোঁয়ার কুণ্ডলী সবসময়ই Golden Spiral অনুসরণ করে বৃদ্ধি পায়। এমনকি গ্যালাক্সি গুলোও Golden Spiral অনুসরন করে বিস্তৃত হয়
এরকম আরো অসংখ্য PHI খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সৌরজগতে, মহাবিশ্বে, আমাদের পৃথিবীর আনাচে কানাচে। মহাবিশ্বের এত অবিরাম ধ্বংস ও সৃষ্টির মাঝেও এই PHI (Golden Ratio) বজায় রেখেছে তার নিয়ম। সবকিছুর মাঝে বজায় রেখেছে এক অপার শৃঙ্খলা, একটু গভীর দৃষ্টি দিলেই PHI খুঁজে পাওয়া যাবে যেকোন কিছুতেই। এজন্যই একে বলা হয় The number of life, The divine proportion ( স্বর্গীয় অনুপাত ) । তো আসুন দেখা যাক আমরা যদি এই স্বর্গীয় অনুপাতকে ব্যবহার করি কবিতার মাত্রায় তবে সেগুলো কেমন দেখায়।
১.
অ
তে
অপ।
অব্যয়ে
কদর্য কিন্তু
জলও হয় বিশেষ্যে।
এক শব্দে কত রূপ, আহা শব্দার্থ!
জলে—সরলতা থাকে আবার প্রতিকূলে উপসর্গ।
অ
আ
ক খ
বোঝনা?
আর কথা’না।
কালো চাঁদ না আসুক,
বাগধারার ইতিহাস আসবেই
সাদা জলের নদী, বারংবারে সাঁতারটা না পার যদি।
১.
আ
তে
আমি,
আনন্দ।
আমিত্বে থাকে
যেই সুখানন্দ, সেই
ঈশ্বর মত। “আনাল হক” টাইপ।
নিজ নিজ আনন্দই স্বর্গ আসলে, অপ্সরারা হলোগ্রাম।
আয়,
আয়রে
আমার কবি,
কবির রূপেই কবি।
আঁকবো তোরই ছবি, যেন এক রবি।
এদিক সেদিক সবখানেতে তোরই তৃষা, বুক শুকাচ্ছে—
ওরে আমার কবি, তোরেই আমি স্বপ্নে দেখি যেন সুখের ভূমে দোলনা, সেইতো আমার ছবি।
২
ই
তে
ইস!
আহারে
মত কিছুটা।
ইত্যবসরে যা কিছু
ঢুকে যায় ইস্কুলে, সেটাই ইস্পাত।
যার ধারে মরে যায় শিশু, আবেগের ঘরে শূন্য সূচক।
৩
ঈ
তে
ঈপ্সা।
ঈশ্বরে
ঈপ্সিত মন
ব্যর্থ হয় ঈর্ষাতেই।
এটা ঈগল ঈক্ষণ, বলে ঈশানী।
ঈষিকায় আঁক যদি ঈক্ষাস্থান তোমার, ঈর্ষা রং বাদ।
৫
উ
তে
উপ,
যা কিন্তু
উপর নয়।
“র” অক্ষর যোগে উপ—
হয় বিপরীত, উগ্রতা উপলক্ষ্যে।
উচাটন মন উঠবে উচিত উৎসে, উপসংহারে।
৮
ঊ
তে
ঊর্ন।
তোমার
ফুল সুবাসী
অঙ্গে ঊর্মিমালী সেথা।
আমি ঊর্ধ্বগত হই ঊর্মির তালে
ঊতি করতে ঊর্জিত ভবিষ্যত, যার স্থিতি শক্তির রথ।
১৩
ঋ
তে
ঋক্ষ,
আমরা
ঋদ্ধ যেখানে।
যার মৃত্যু আমার হ্যা,
ঋতুমতীর রক্তে ঋভুর আভাস।
তবুও ঋণ নেই কিছু, এখানে ঋত্বিক্ ঋষিকল্পের বাস।
২১
এ
তে
এক
একক।
বিখ্যাত বানী—
একম আদ্বিতীয়ম।
এমন ভাবনা এভাবেই একাকী,
সাঁতারে চলে আঙ্গুলের ডগা থেকে নিউরনের বিদ্যুতে।
এ
তো
সেই?
হ্যা, সেই।
দাবানলটা
জ্বালিয়ে ঢালছে মেঘ।
এ সেই! অনন্ত অম্বরের ওপাশে।
আমি চলছি লাভায়, নদীর খোঁজে, জল ঢালতে সে বীজে।
৩৪
ঐ
তে
ঐক্য,
ঐচ্ছিক
ঐক্যতানের
ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা।
ঐকিক নিয়মে হয়না সব গণিত
মাঝে মাঝে প্রয়োজন তাই পদার্থ- রসায়নের ফলিত।
ঐ
তো
ওই
ওখানে,
গাঁথা মালায়
একটা পোকা দেখছি,
সুগন্ধি ফুলকুড়িগুলোতে রাণীই।
ফুল হয়ে কলিরা দেখবে সুবাস সব চুরি হয়ে গেছে।
ঐ
যে
ছিল
জোছনা
ও তার ছায়া
কান্নার রূপে পুরোটা,
শ্রাবণী ভাসিয়ে দিক সব অপার।
মেঘে ঢাকা দিনে সূর্যে, কৃষ্ণগহ্ববর মত মেলে দিব পা।
ঐ
যে
ছিল
প্লাবন,
উপমা বড়।
কিছু কি আসছে বোধে?
কার্বন পোড়াও সমুদ্রটা জাগুক।
ঘাসফুলের নোনা কান্না অসহায় হারাবে সমুদ্র তলে।
৫৫
ও
তে
ওম,
শব্দার্থে
সৃষ্টির শব্দ।
ওষুধের মত কর্মে—
ওপাশের ওম নিয়ে ধ্যান মগ্ন যে,
ওর ওষ্ঠে একই বিক্রিয়া, অধর সুধা? সেই হরমোন।
ও
তে
ঐতো
ওষুধ
যাহার কথা
আছে এই মাটিতেই।
গাছ গাছান্ত, সার আর হাড্ডি সাথে-
জীবন প্রকৃতি।তুমি যেখানে জন্মাও আবার মরে যাও।
ও
তো
ভাসে
অহমে,
পরে মরণে।
যে হাসি থাকে রিপুতে—
সেখানে শুধুই মুখ আর মুখ!
বিপি যন্ত্র বলে দেয় রিপু ও তৎসংলগ্ন যত কথা।
ও
তো
শালা
মাতাল,
শয়তানের
আপন ভাই টাইপ।
ব্যাটা মরেনা কেন! বেঘোরে, রাস্তায়?
পাখি নাই, প্রবাদ আছে— “শকুনের দোয়ায় গরু মরে না”।
ওঁ
যা
সৃষ্টি,
ত্রিকাল,
এ সেই কথা—
হও। মানে জেনেসিস,
লেট দেয়ার বি লাইট—এককথা।
যে প্রান্তেই গুগোল হোক, প্রদর্শিত ফল মোটামুটি এক।
৮৯
ঔ
তে
ঔক্ষ।
ঔরস—
উৎকন্ঠার।
ঔদার্য খরতাপেই,
ঝড় আজ ঔধ্যত্যের এ ধরাধামে
ঔপাধিকতার গরিমায় মানুষ ডুবে মরে দলে দলে।
১৪৪
ক
তে
কাম।
কয়লা
আবার কলা।
কয়লা থেকেই হীরা
পরিবর্তন আসলে এমনি কিছু
যা এক ফিনিক্স।এর সুত্রে স্থবিরতা মানে উল্টো ভ্রমন।
কে?
ও
তুমি?
হঠাৎ
কী মনে করে?
অপমান ভুলিনাই
তবুও আস, আস আমার গোলকে।
সুন্দর সামনের দিন স্বপ্নে নেই, নেই কোন গতকাল।
কেউ
কেউতো
বলেই যাবে—
“তুমি সত্যি বেসামাল।”
শুনে যাও, সয়ে যাও এসব গল্প।
হৃদয়ের পাখি-কেউ চেনেনা, শুনবে এসব অল্প অল্প।
কে
সে?
আসে
চলিত!
সাধুরা দূরে
ধ্যানমগ্ন, সচেতন।
অপরিনতে এক্সরেটেড ভাষারা—
হে চলিত, তুমি আসলে কী বোঝাতে চাও এমন পুরিতে?
কে
সে
তুমি
গভীর,
মহান মায়া,
ময়দানের মমতা,
পালক পিতা আবার বিনাশ কারী?
ক।
কী
ক’বি?
তাইলে
শোন্ এখানে,
যেখানে কান্নাপোকা
ঘুঙুর বাজায় মধ্যরাতের জলে,
যেখানে জুলু ও জুজু একাকার হয়, শক্তিবৃক্ষের তলে।
২৩৩
খ
তে
খালি।
মননে
মগজ খোল
এমন খবর যার—
বুদ্ধির খাল নদী সে সমুদ্রে যায়।
খুরকুটো খুঁজে নিয়ে যে খামারীর দিন, নাই কোন ঋণ।
খা
যা
আছে
সব খা।
কত বাড়বে
তোর ভুরি আর আজ?
জীবে আছে যত লেহ্য বিবর্তনেই,
জীবনে তারে সেথাই তুলি, তুইতো থাকবি প্রকৃতি মত।
৩৭৭
গ
তে
গলা।
গান’ও
হয় আবার
গলাবাজি গালমন্দ
এসব সবই হয়—এক গলায়।
গলায় গলায় ভাব, সেও সেই গলার কথাতেই হয়।
৬১০
ঘ
তে
ঘঁসি।
এমন
ঘটনা ঘটে
ঘনঘন ঘুমঘোরে।
ঘরে কিংবা বাইরে ঘড়ি ধরেই
মন ঘাসফুল মরবে এভাবে, ঘোড়ার খুরে ঘষা খেয়ে।
৯৮০
ঙ
তে
ঙরা।
ঙমার
দানে থাকেনা
ঙাপ্পি, যা আচার মত।
দশভূজে ঙমা দেখে সকল মাত্রা
সুগন্ধি ব্যতিরেখেই, ঙরিতে ঠিক বিদ্যা চায় পদছায়া।
১৫৯০
চ
তে
চক্র।
চতুর
ভগবানের
চকচকে চোখে চলে
এই চক্রের চল। পৃথ্বী, সূর্য, চাঁদ
সর্বত্রই চাকার চুম্বক, চলবে চরাচরে অবিরাম।
২৫৭০
ছ
তে
ছল,
লবণ
জলে চোখের
ছলছলানি এতেই।
ছক কাটে এমন, ছাড় দেয়না সে—
নয় ছয়ে ছক্কা চায় ছাকনি ছাড়া, জানেনা মরণ খেলা।
৪১৬০
জ
তে
জাল।
জগতে
জগদীশ্বর
জগদ্দল শিলা এক—
জগদ্ব্যাপী জটিল জালের জবাবে।
জাগুক জনমন জলের মত, জাতপাত সব আড়ালে।
৬৭৩০
ঝ
তে
ঝড়,
পাতায়
যে ঝংকার
ঝটপট ঝুপঝাপ,
ঝরা পাতার কবিতা—হলো সে সুর।
ঝলমলে সূর্য ঢেকে বৃষ্টি ঝুমঝুম, কাঁপে হৃদয়পুর।
১০৮৯০
ঞ
তে
ঞন্দ্র
ঞশান
থেকে পশ্চিম
ঞহাই থাকে সর্বত্র
মানে স্বর্গের রাজা, চারপাশে ঞিহো।
বিভক্তির মাপে ছন্দে ঞ থেকে ই’তে ঞিহার জীবন শেষ।
১৭৬২০
ট
তে
টাকা।
টাকায়
ঘোরায় চাকা।
অখন্ড মন্ডলাকার
টকটকে লোভনীয় এইযে টাকা—
না থাকলে টালমাটাল চারপাশ, টসটসে মুখ বাঁকা!
২৮৫১০
ঠ
তে
ঠগ।
ঠকায়
যে ঠুটোমতো
ঠনঠন মনেমনে,
ঠাকুরও ঠাওর করেননা তাকে।
ঠ্যালা ছাড়া ঠাঁই নাই কোন কিছুর, তার মনে দিন শেষে।
৪৬১৩০
ড
তে
ডাক।
ডাকেনা
ডাকপিয়ন,
যেমন ডুমুর ডালে
বসে ডাকেনা ডাহুক এখানে আর।
ড্যাবড্যাবে চোখে দেখি ডাকসাইটে সভ্যতা ও তার ডর।