রাত ৯.৫০। এ শহরে মনোটনাস বাতি জ্বলে। বৃষ্টির সমস্ত পথটুকু থমথম। কল্পনা করলাম একটি লাল ঘোড়া ও গাড়ি। একজন কবিতাকর্মী। তাঁর স্নায়ুর পথজুড়ে টগবগে ভাষা।
কোমলডাঙার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। পুরোনো জংধরা এক বন্ধুকে ডাকলাম। যাকে ফেলে রেখেছিলাম গোপন করার মত ভালোলাগায় এবং দেখলাম সেই গোপন জমিয়ে জমিয়ে সে সেরা ব্যাক্তিত্বের মহিমা ধারণ করেছে। ইশ্বরের অন্ধকারে আলোর পোকা সেজে সে কেবল আনন্দই দিলো। পুষ্প গাছের সৌন্দর্যতলায় সে কোনো ডানা ঝাপটালো না। মেঘের মত বজ্র হয়ে অকারণ চৌচির হলো না। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
একটিও চায়ের দোকান খোলেনি কেউ। একটি পানশালাও এ শহরে নেই। ফুলের দোকান খুলে বসে আছে লোকে। তারাজুল ভাই পানের দোকান নিয়ে। তার লাল ও লালামিশ্রিত হাসি বৃষ্টিশেষের ছাট যেন। মধ্যরাতে পান খাবো তারাজুল ভাই। পান দেন দুটো।
আজ রাতে বিষম প্রেমের বায়োস্কোপ দেখব।