‘মুগ্ধতা ডটকম’ অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সাহিত্যের খুঁটিনাটি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রকাশ হচ্ছে শনিবারের চিঠি। আমাকে নিয়মিত পাঠক মনে করে এবারেও প্রকাশিত সংখ্যার লেখাগুলো পাঠ করে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন মুগ্ধতার সহযোগী সম্পাদক কবি আহমেদ অরণ্য।
পাঠের আবার প্রতিক্রিয়া কী ভাই! প্রকাশিত লেখাগুলো পাঠ করলাম হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, হৈ-হুল্লোড়- এর লেখাগুলো পড়ে লগ আউট করে বেরিয়ে এলাম ব্যাস এটুকুই তো!
পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত, মানে-একটি কবিতা কিংবা গল্পের ভেতর লেখক কী বুঝাতে চেয়েছেন গতানুগতিকভাবে বলতে হবে- ভালো-মন্দ মিশেলে করে!
ভালো কিংবা মন্দের যুক্তি খণ্ডন করার কাজ পাঠকের? গবেষক কিংবা সিনিয়র আলোচকের। তবে পাঠকেরও এর দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না।
গল্প-ছড়া, কবিতা, পাঠ প্রতিক্রিয়া, নির্বাচিত স্ট্যাটাস, নির্বাচিত ছবিসহ নন ফিকশন, চিরায়ত পাঠ, পাঠপ্রতিক্রিয়া দিয়ে সাজানো এবারের সংখ্যাটিতে ঢু মেরে যা পেলাম…।
বাদল রহমান একজন শক্তিশালী কবি। শব্দের সর্বোচ্চ সৌন্দর্যমুখর শৈল্পিক প্রয়োগের মাধ্যমে কবিতায় আলো ছড়াতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য নেই তাঁর।
তাঁর কবিতা প্রকৃতির তাপদহন যখন চরম আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনই তিনি লিখেছেন ‘বৃষ্টিস্নানের গান’ কবিতায় মাখামাখি বৃষ্টি হলেও প্রকৃতির বৃষ্টি কখন হবে এই অপেক্ষায় আছি।
কবি রওশন রুবী, ‘মগ্ন প্রকৃতির চেনা উঠোন’ শিরোনামে মানসম্মত কবিতা লিখেছেন। এ নামে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ আমার হস্তগত হয়েছে। তিনি রংপুরে অতিথি হয়ে এসে সাহিত্যচর্চা করেছেন বেশ ক’বছর। পরিচয়ও সেই সুবাদে।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ একজন অল্পবয়সী প্রতিবাদী কবি। তারুণ্যের ঝড়ে কবিতাকে তছনছ করতে এতটুকু দ্বিধা নেই তার। ‘নিভৃতচারী’ কবিতায় কোনো প্রতিবাদ নেই। আছে স্বেচ্ছায় দেহত্যাগ করে চলে যাওয়া কবি বন্ধুর শোকে কাতরতার প্রকাশ।
সাজিয়া সুলতানা মিম, ‘তোমারে ভুলতে দেয় না’ শিরোনামে কবি মরেও বেঁচে আছেন একটা দমবন্ধ জানালায়। ছোট আকারে মোটামুটি ভালো একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন।
নীরবে স্বপ্ন আঁকা চোখের ভেতর দিয়ে কবি মিলন ইমদাদুল হাঁটছেন স্বপ্ন পূজারী হয়ে, কবি তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে পারবে বলে আশা রাখাটা দোষনীয় নয়।
বিশিষ্ট ছড়াকার জগলুল হায়দার ‘সেজদায় সি-আর সেভেন’ শিরোনামের ছড়ায় প্রকাশ করেছেন- বিশ্বকাপ ফুটবল মাঠের খাস খবর।
নবীর হোসাইন ‘ভূতের বাড়ি’ ছড়ায় ছন্দে ছন্দে বলে দিয়েছেন- অযথা ভূত খুঁজতে যেও না বাপু, ভূত বলতে তো কিছু নেই। তার লেখা ছড়ায় আসলেই ছড়া পাওয়া যায়।
মজনু মিয়া- ‘বাজার দরে’ বাজার করতে গিয়ে নিজের সাথে পকেটে থাকা ছড়াটিও ভিজে একদম জবুথবু অবস্থা। কড়কড়ে রোদে শুকালে ভালো হতো ছড়াটি।
রেজাউল ইসলাম হাসু। সুনিপুণভাবে তাঁর গল্প ‘হাসি প্রশিক্ষণ’ গুছিয়ে লিখতে সক্ষম হয়েছেন। নির্দিধায় পাঠককে নিয়ে যাবে হাসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
শাওন আসগর এর ছোট্ট গল্প, ‘আওলিয়া’ অল্প কথায় অনন্য।