হে বৃষ্টি তোমার বিরামহীন ছন্দের পতন হোক
চিলেকোঠায় আশ্রয় নেওয়া পাখিরা আপন নীড়ে ফিরে যাক,
অতি বৃষ্টির কবলে বাবুইয়েরা আজ ঘরছাড়া
শুকনো বিছানার খোঁজে আজ পরের দরজায় কড়া নাড়ছে তারা।
বারান্দার গ্রিল আজ তাদের ডানা ঝাপ্টানোর আস্তানা
পরের এক চিলতে ছাদ মাথা গুঁজবার ঠিকানা,
বৃষ্টি বিলাসি ব্যালকনিতে আসে আত্মহারায়
কাচুমাচু করে থাকা দুই প্রাণ তুমুল বৃষ্টিতে ডানা মিলায়।
জানি না কোন যুক্তিতে মা পাখিটি ঘর বেঁধেছে আকাশ সমান সুপারি গাছটায়
মায়ের অবর্তমানে ছানাটি এক ফোঁটা জল পানে দু’পা বাড়ায়,
আনাড়ি চলনে ঠাঁই হয় তার কয়েক মিটার নিচে
বেঁচে থাকে তবু, পড়ে যায় ভাগ্যিস, খড়ের স্তুপে।
এই ক্ষুদ্রের চিঁচিঁ সুর কি পৌঁছাবে আকাশে? তার মায়ের কাছে?
নাকি কোলা ব্যাঙের আহার হবে, খেয়ে নিবে গোগ্রাসে?
আহা বৃষ্টি! আজ থামিয়ে দাও তোমার ঝমঝম বোল
জলের স্রোতে না জানি খালি করবে আর কত মায়ের কোল।
যাযাবরদের আজ গড়তে দাও আপন ঘর
প্রকৃতির কাছে সবাই সমান, তবে কেন তারা পর?
হে বিরামহীন বৃষ্টি আজ ছুটি নাও
ঘর ছাড়াদের দুঃসময় আজ, তাদের ক্ষণিক স্বস্তি দাও।