মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

বিষম ভোজ

সুকুমার রায়

২০ মে, ২০২৩ , ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ ;

বিষম ভোজ

“অবাক কান্ড!” বল্‌লে পিসী, “এক চাঙাড়ি মেঠাই এল-

এই ছিল সব খাটের তলায়, এক নিমিষে কোথায় গেল?”

সত্যি বটে বললে খুড়ী, “আনলো দু’সের মিঠাই কিনে-

হঠাৎ কোথায় উপসে গেল? ভেল্কিবাজি দুপুর দিনে?”

“দাঁড়াও দেখি” বললে দাদা, “করছি আমি এর কিনারা-

কোথায় গেল পটলা ট্যাঁপা – পাচ্ছিনে যে তাদের সাড়া?”

পর্দাঘেরা আড়াল দেওয়া বারান্দাটার ঐ কোণেতে

চল্‌ছে কি সব ফিস্ ফিসি ফিস্ শুনলে দাদা কানটি পেতে।

পটলা ট্যাঁপা ব্যস্ত দুজন ট্প্‌টপাটপ্ মিঠাই ভোজে,

হঠাৎ দেখে কার দুটো হাত এগিয়ে তাদের কানটি খোঁজে।

কানের উপর প্যাঁচ্ ঘুরাতেই দু চোখ বেয়ে অশ্রু ছোটে,

গিলবে কি ছাই মুখের মিঠাই ,কান বুঝি যায় টানের চোটে।

পটল বাবুর হোম্‌রা গলা মিল্‌ল ট্যাঁপার চিকন সুরে

জাগ্‌ল করুণ রাগরাগিণী বিকট তানে আকাশ জুড়ে।

[সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ৩০শে অক্টোবর, ১৮৮৭ সালে, কলকাতার এক ব্রাহ্ম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ননসেন্স রাইমের পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত সুকুমার একইসাথে মজার মজার ছড়া কবিতা লিখে তাতে আবার ছবিও এঁকে দিতে পারতেন। তাঁর বিখ্যাত ছড়ার বই ‘আবোল তাবোল’ এবং গল্পের বই ‘পাগলা দাশু’।

সুকুমার রায় ১৯২৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *