ডায়ালাইসিস চলছে! পাশাপাশি দুটো বেড, এক বেডে বিহান অন্য বেডে হাজি সাহেবের স্ত্রী শরীফা খাতুন। খুব কষ্ট হচ্ছে টাকা সংগ্রহ করতে। হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হলো, বিহানের চোখে অভিমান। মাথায় হাতটা রাখতেই, চোখের দিকে তাকাল। অদ্ভুত!! ছোট্ট শরীরটা এখন দৃষ্টির ভাষা বোঝে। দু’ চোখে প্রশ্ন দেখেই সে বলল, ” তুমি দেরি করেছো বলেই মন খারাপ “। আচমকাই ধাক্কা খেলাম দু জন! শরীফা খাতুনের ছেলেমেয়েরা কাঁদছে! ডাক্তার দৌড়ে এলেন। স্যালাইনের সিরিঞ্জ খুলে ফেলা হলো। আত্মীয় -স্বজনরা দৌড়াদৌড়ি করছেন, মৃতদেহ নিয়ে যেতে হবে। বিহানের চোখে একদিকে প্রশ্ন আর একদিকে বিভ্রান্তি কাজ করছে। ছোট্ট মাথাটা বুকের সাথে চেপে ধরলাম। ছটফট করতে লাগলো ভীতু কবুতরি বুকটা! মাথাটা তুলে প্রশ্ন করলো ” দিদা কি এখন অন্যগ্রহে চলে যাবে? ” অবাক হলেও মাথা নাড়তে হলো। কণ্ঠে দুঃশ্চিন্তা ঝরে পড়ছে, প্রশ্ন করল, “বাইরে অনেক বৃষ্টি! এর মাঝে এলিয়েনরা কী করে স্পেসশিপ নিয়ে আসবে? ” আচমকাই আনন্দিত কণ্ঠে প্রশ্ন করলো ” বলোতো মা আমার জন্য কবে স্পেসশিপ আসবে? “