আমি একখান বাতিঘর
আমার জাহাজী যখন দিশা হারায়,
কই যাইবো!কোনদিকে মোড় নিবো!
আমি তখন হাতে মোমবাত্তি নিয়া তারে শুকতারার ঠাওর দেই!
আমার জাহাজী আমারে ডাকে না,
সোনা বউ,রাঙা বউ!
আমারে সে বাতিঘর ই ডাকে!
যখন সাগরে ডাক আহে,
আমি আকুপাকু পরাণডা শক্ত কইরা বাইন্ধা
গালে এক খিলি পান দিয়া,তারে ছাইড়া দেই সাগরে!
সমুদ্দর আমার আরেক সতীন!
তার বুকে যাইয়া,জাহাজীর আমার কথা মনে পড়ে কি না,
জানিনা!
আমি কিন্তু,তার জন্যে সন্ধ্যা হইলেই কূপী জ্বালাই!
এই বুঝি আইলো জাহাজী!
ভাতের সরঞ্জাম সাজায়া রাখি,
মানুষটা গোসল সারতে সারতেই ধুয়া উঠা ভাত রাইন্ধা খাওয়ামু!
জাহাজী শুধু হাইসা কবে”,আলোটা আরেকটু মুখের কাছে ধর
সেইদিন নোঙর ফেললো আরিচার ঘাটে,
দেহি,মেলা হইতেছে,বাতিঘর
তোর মুখখান ঝলমলায়া উঠলো যেন চোকখে!
এই দ্যাখ,তোর জন্যি জরিন ফিতা আনিছি!”
আমি শুধু কান্দনে ভাসি!
আবার,দুইদিন পর জাহাজী নোঙর তোলে,
ফিইরা যায় সতীনের বুকে!
এই বুঝি রাক্ষসী ঢেউ ভাসাইয়া নিবো আমার ছোট্ট ডিঙিটা
আমি ফের সন্ধ্যা হইলে,কূপীবাতি হাতে ঘাটের পাড়ে খাড়ায় থাকি নিত্যি!
আমি যে জাহাজীর বাতিঘর!