রোজার মেজাজ
রোজায় বিকেল হলেই শাহানা বেগমের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। ইফতার বানানোর তড়িঘড়ি পরে যায়। যে তালে কাজ করেন সে তালে চিৎকার চেচামেচি করেন। তাঁর গালাগালিতে ছেলেটা নামাজের অজুহাতে বের হয়ে যায়। মেয়েরা কাজের সহযোগিতা করতে গেলে বকাবকির শেষ থাকে না। কে কবে কী দোষ করেছে সব বলতে শুরু করে দেন। নানা পদের ইফতার বানিয়ে যখন আজান দিবে তখনও কাজ শেষ করতে পারেন না। সবাই ইফতার করে নামাজে যায় তখন শাহানা বেগম পানি মুখে দিয়ে নামাজ পড়ে ইফতার খান। তখন শাহানা বেগমের আর কোনো রাগ থাকে না, খুব স্বাভাবিক সহজ সরল। এ বিষয়টা সবাই জানে বলে চুপাচাপ থাকে।
এখন ছেলেমেয়েরা যে যার মতো বাইরে থাকে, তাদেরও ঘর সংসার হয়েছে। স্বামী গত হয়েছেন অনেক আগেই।
ঘরে শাহানা বেগম একাই। রোজা আসে যায় শাহানা বেগমের চিৎকার চেচামেচিও নেই ইফতার বানানোর শারীরিক শক্তিও নেই।
পুরো বাসায় একা একদম একা।