উপভাষা-কবিতা Archives - মুগ্ধতা.কম

উপভাষা-কবিতা Archives - মুগ্ধতা.কম

মুগ্ধতা.কম

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ

ভুঁইপুত্র

পরান গহীনে ম্যালা কষ্ট লোহিত, ম্যালা কষ্ট

হু হু করি ওঠে পেরান

কষ্টগুলা উতলি উতলি ওঠে

কাক কঁও পেরানের কতা

হাকাউ কাঁয় শোনে কার কতা

মানুষ কান্দে, মানুষ শোনে না

মানুষ কোন্টে-

মানুষ নাই-মানুষ নাইরে-মানুষ নাই।

 

ভুঁইপুত্র মুই- মানুষ কাড়ি নেয় মাইনসের ভুঁই

তুফান আইসে-

পাষাণ ভাঙি খান্ খান্ হয়্যা যায়

তুফান মাইনসের ঘর-বাড়ি ভাঙে

মানুষ মাইনসের ঘুম কাড়ি নেয়

জয়তু জয়তু কয়া জিতার নিশান উড়্যায়

হামার বুকখ্যান ফাঁটি চৌচির হয়্যা যায়

মানুষ আছিল-রে, মানুষ আছিল-

মানুষ চলি গ্যাইছে আসমানোত

কাঁয় আর ডাকাইবে জাইগব্যার

“কোন্টে বাহে জাগো সগায়” ।

 

মানুষ নাই বাহে, মানুষ নাই

ভুঁইপুত্র মুই- মাইনসে খায় মাইনসের ভুঁই

পরাণ গহীনে ম্যালা কষ্টরে সাকিল, ম্যালা কষ্ট

বুকখ্যান খাঁক হয়্যা গ্যাইছে

খাঁক হয়্যা গ্যাইছেরে, খাঁক হয়্যা গ্যাইছে…

433 Views

মুগ্ধতা.কম

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ

এ্যামোন হামার দ্যাশ

গরোম যাইবে ঝরি যাইবে আসপে কাটা মারি,

নয়া ধানের পিঠা পোলাও বানাইবে বাড়ি বাড়ি।

নবান করবে সগায়গুলা সগার মনোত সুখ,

ফুত্তিতে সগারগুলার উচা হইবে বুক।

 

কারো ঘরোত মঙ্গা নাই হাসি খুশী মন,

সগায়গুলার সগায় হামরা খুবই আপন জন।

সকাল সকাল উঠি হামরা কাজ কামোত যাই,

ভাই-ভাতিজা সগায় হামার ছোট বড় নাই।

 

কাঁয়ো করি হাল গৃহস্তি কাঁয়ো নেকা পড়ি,

সগায় মিলি হামরাগুলা সোনার দ্যাশ গড়ি।

আশিন কাতি আসলে ফির কাম থাকেনা কারো,

বসি বসি থাকে সগায় বসি থাকে আরো।

 

আগন পুষ কাটামারি ধান কাটার ধূম,

বউ ভাতিজি বানে বাড়া কারো চোকোত নাই ঘুম।

আগনা খুলি পোয়ালপুজ কানচাত পালং শাক,

শুকটা শেদল ভত্তা দিয়া তাকাই হয় পাক।

 

সুখের দিন মঙ্গা নাই আসলে কাটামারি,

চাইরোপাকে খাবার জিনিস যায় যে গড়াগড়ি।

সোনামিঁয়া, ফজর আলী আর ছলিমুদ্দীন পাঁঠা,

প্রতোক দিনে ফ্যালায় ওমরা মিঁয়া বাড়িত ঘাটা।

 

হুঁকা খায় ছিলিম টানে আরো খায় বিড়ি,

কামোত নাই,অকামোত সগটে হুড়াহুড়ি।

এ্যাগলা হইলো হামার দ্যাশের নকশা ছবি ভাই,

কোনো দ্যাশোত হামার গাঁয়ের নাই তুলনা নাই।

 

বারো মাসোত ছয় ঋতুতে নানান রকম খ্যলা,

এ্যামোন করি হামারগুলার কাটি যায় ব্যলা।

সগার চ্যায়া কাতি আগন এ্যাকনা মজার দিন,

দিন যায় কাজ কামোত আইতোত পারি নিন।

 

শব্দার্থঃ

*এ্যামোন-এই রকম,যা দেখিতেছেন। দ্যাশ-দেশ। যাইবে-যাবে। ঝরি-বৃষ্টি। আসপে-আসবে। কাটামারি-আমন ধান কাটা বাড়িতে আনার মৌসুম। বানাইবে-তৈরি করবে। নবান-নবান্ন। সগায়গুলা-সকলে,সবাই। সগার-সবারেই। মনোত-মনের মধ্যে। ফুর্তিতে – আনন্দে। উচা-উঁচু। হবে-হবে।

 

*কারো-কাহারও। ঘরোত-ঘরে। মঙ্গা-দুর্ভিক্ষ। কামোত-কাজে।

 

*কাঁয়ো-কেহ। হাল গৃহস্তি-চাষাবাদ। নেকাপড়ি-লেখাপড়া। মিলি-এক সাথে। আশিন-আশ্বিন মাস। কাতি-কার্তিক মাস। আসলে-আসা। ফির-আবার। কাম-কাজ। কারো-কাহারও। বসি বসি-অলস সময়,কাজ নাই।

 

*আগন-অগ্রহায়ণ মাস। পুষ-পৌষ মাস। বানে বাড়া-ঢেকিতে ধান ভানা। চোকোত-চোখে। আগনা-ভেতর ঘরের উঠোন। খুলি-বাহিরের উঠোন। পোয়ালপুজ-খড়ের গাদা। কানচাত-ঘরের পিছন দিক। শুকটা-শুকটি মাছ। শেদল-রংপুর অঞ্চলের একটি তরকারি,শুটকি ও কালো কচু দিয়ে তৈরি। তকাই-তরকারি,আনাজ। পাক-রান্না।

 

*চাইরোপাকে-চারদিকে।  জিনিস-বস্তু। গড়াগড়ি-প্রচুর,অনেক। পাঁঠা-এখানে দুষ্টলোক,যে বেশি বেশি লোকের সাথে ইতরামি করে ( ছাগলের পাঁঠা নয়,বিদ্রুপাত্মক )  প্রতেকদিন-প্রতিদিন,প্রত্যহ। ফ্যালায়-পা ফেলে। ওমরা-তাহারা। বাড়িত-বাড়িতে। ঘাটা-রাস্তা। *ছিলিম-কলকি। টানে-সেবন কালে জোর টান ( সেবন করা ), অকামোত-যা কাজ নয়,বাজে কাজ,কুকর্ম। সগটে-সব জায়গায়,সব খানে। হুড়াহুড়ি-অহেতুক আস্ফালন। এ্যাগলা-এইগুলো,এইসব। হইলো-হলো। হামার-আমাদের।

 

*মাসোত-মাসে। এ্যামোন-এই রকম। খ্যলা-খেলা। ব্যলা-বেলা,সময়। সগার-সবার। চ্যায়া-চেয়ে। এ্যাকনা-এক। মজার-ভালো লাগার। কাজ কামোত-সংসারী কাজ কর্ম। আইতোত-রাতে। নিন- ঘুম।

( কবিতার নামগুলো কাল্পনিক যদি কাকতালীয় ভাবে কারো নামের সাথে মিলে যায় সে জন্য লেখক দায়ী নয়)

455 Views

রানা মাসুদ

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ

আনসুন ফ্যাদলা—৬

কইতরিরে ফাঁটি যাওছে মোর জীউ জান

চোখোত না ঝরে পানি না দেয় খোদা দান

না থাকিল খাবার পানি, আছে  তিস্তা ভরা

উচলিয়া,ভাসেয়া হামাক কচ্চে  জিন্দা মরা,

চর নোহালি,আলমবিদিত,কচুয়া খুঁজো মুই,

পানিত ডুবিছে খুঁজি না পাও এত্তিকোনা ভূঁই,

বুড়ি মা আর কাছুয়া ছোওয়াটাকে নিয়া তুই

বান্দের ডাঙাত আছিস এ দুঃস্ক কোনটে থুই।

মাইনষ্যি ও গরু-ছাগল ওটে সোগ একেকার

কায় গেরেস্ত, কায় কামলা সগার দাবি খাবার।

— তোরা না চিন্তা করেন ইগলা হামার নয়া কি

ভোক ও অভাব এই নিয়াই তো হামরা থাকি।

টাউনের খবর ক’ উজি ওজগার এলা ক্যামন?

কামড়ে থাক ধরি কামাই হউক  যেমন তেমন।

তিস্তার পাড়োত এলা খালিই কান্দোনের শব্দ

হামার দীর্ঘ নিঃশ্বাসে বাতাসও হয় মেলা জব্দ।

ইলিপের মাল যা আইসে তাকে দিয়াতো হয় না

কোনটে ইলিপ দেমে তাকো ফির কাও কয় না।

আইতের বেলা গরু-ছাগল সাতে হামরা সোওগ

সাপ,ব্যাঙ,ইন্দুর, বিলাই আর আছে ম্যালা ওগ,

চাইরপাকে পানিবন্দি মাইনষ্যির খালি নাই নাই

চ্যাংটুর বাপ মুই না পারো টাউনোত যাবার চাই।

 

টাউনোত কি মুই আছোং আজার হালোত বসি

‘সুখের মাও ভাতার ধচ্চে’ মোর মুখোত নাই হাসি,

ইশকা চালে তাকে থাকো অঙিন মাইনষ্যি পাকে

ওমার সুখ দেখি হামরাও খোঁজোং তারে ফাঁকে।

এটে কোনা চোর- ছ্যাচোর ভরা, আছে অংবাজ

এমরা গুলা মশার পেছোনেত ফেলি সোগ কাজ।

গজবে গজবে টাউন গ্রাম সোগ এলা একেকার

আইসো বাহে হাত তুলি দোয়া চাই জইন্যে সবার।

429 Views

মুগ্ধতা.কম

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ

জব্বারের মায়ের দিনলিপি

ফির বাতাস শুরু হইলো, আউলা ঝাউলা বাতাস

কয়দিনের কাইতান বিষ্টি পইত্তোয়ছে, পইত্তোয়ছে

এবার তাড়াতাড়ি জার পইড়বে,

এবার আর বাইচপ্যার দিবান্নয়।

গত বছর যে জার পইল্লো, ছেঁড়া খ্যাতা গাওদদিয়া আইত পার করা নাগে,

কই কাঁইওতো একনা কম্বল দিলো না

ভোটেস সময় এক একজনের ফটর ফটর, কতাত্ পানি ওশ্যেনা

চেয়ারমেনের বাড়িত কয়দিন যায়া ঘুরি আনু

এতদূর ঘাটা হাইটপ্যারে মোনায় না

ভোট পার হয়্যা গেইলে নাউয়্যার ব্যাটারা কারও খোঁজ থাকেনা

প্যাটও চলে না, ঠ্যাঙও চলে না, মোর কি আর সেই বয়স আছে!

 

খালি শোনোম অমপুরোত বোলে ঢাকা হাতে কতো লোক আসি কম্বল দেয়,

হামারগুলাক কারো চোকোতে পড়েনা

শীতেদদিন আইলে ময়না মোর মরণ!

এবার বোদায় আজরাইল আর ঘুরি যাবান্নোয়।

 

কাঁয়রে ওটা! মেম্বারের ব্যাটা না ওটা?

চোখেও আর ভালো করি দেখোম না।

হায়রে, মোর দিন কি এইদ্যান আছিল!

কপালটা পুল্লো এই স্বাধীনের সময়।

জব্বারের বাপ যদি বাঁচি থাইকলো হয়

তাইলে কি আর ভিক্ষ্যার ঝোলা হাতোত নেওয়া নাগে!

মরার গণ্ডগোলে মোর কপালটা খাইলো।

ব্যাটা একনা আছিল তাঁইও খোঁজ নাই,

ঢাকাত গেছিল্ এশকা চলাবার, তাও পোনোরো বিশ বছর হইবে

কাঁই জানে বাবা মইচ্চে না বাঁচি আছে!

বাঁচি থাইকলে এ্যাগবারও আইসলো না হয়?

 

হায়রে! দ্যাশ তো স্বাধীন হইল্ কিন্তু মোর দুঃখ দুদ্দশাত তো শ্যাষ হইল্ না!

 

শরীল আর চলে না ময়না,

কি দিয়া যে কি করি, জিনিসপত্তরের দাম একেবারে আকাশোত উঠি গেইছে,

আগে মুলা-বাইগোন গরুও খায় না, এ্যালা মাইনশে পায়না

এখন এইগল্যায় হইছে সোনাদ দাম।

মোর মরণও হয়না!

524 Views

মুগ্ধতা.কম

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ

শতবর্ষী পাতানিবুড়ির শীতকাল

ক্যা ব্যাহে —

এই কনকনে হাড়কাঁপানো শীতোত

ওমরা ব্যালে হামাক কম্বল দ্যায়!

ন্যাপ দ্যায়! শীতের কাপড় বিলায়!

হামার কপালোত কি কিছুই জোটে না?

খালি শুনি আইজ ব্যালে ওমরা কম্বল দেবে!

কাইল ব্যালে ন্যাপ-তোষক দেবে!

 

হাড্ডি মেরা শরিল নিয়া কাজ কাম ছাড়ি

আইজ মুই যখন বাড়ি থাকি বেড়ানু,

আছিয়া আসি কইলে- আইজ কম্বল দেওয়া শ্যাষ।

কি আর করোঁও, ঝুপরিত ফিরি আসিয়া

শামটি আনা পাতাত আগুন ধরে দ্যাঁও

গাও খান গরম করি সকালের ভাত খায়া

ছিঁড়া চটের কম্বলখান গাওত দিয়া শুতি পড়োঁও।

 

ক্যা ব্যাহে —

হামার ওস্তোম আলিক ভোট দিয়া যে

হামরাগুলা তাক চেয়ারমেন বানাইনো!

কই, তাঁয় ক্যানেবা অ্যালা হামার খবরে ন্যায় না।

ভোটের আগোত ওমরা খালি ঘনঘন পাক পারিল,

অ্যালা ক্যানেবা ওমরা হামার গেরামোতে আইসে না!

ভোট চাবার আসিয়া ওমরা হামাক মাও কইলে,

চাচি কইলে, পাওত পড়ি ছালাম করলে।

অ্যালা ফির হামার কি দোষ দেখিল?

বাপরে, হামাক অ্যাকনা কম্বলে দ্যায় না!

না কি হামাক ভুলি গেইচে?

ক্যা ব্যাহে–

চেয়ারমেন হইলে কি সবায় এই মতোন হয়?

 

— এমনি আরো কতো ব্যথাভরা আক্ষেপ

শতবর্ষী পাতানিপুড়ির স্বরকাঁপা কন্ঠে!

পাতানিবুড়ির সাথে আমার শৈশব থেকে ওঠাবসা

তার মমতামাখা কোমল স্পর্শ আজও

আমাকে মানুষ হয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।

আমি নিতান্তই একজন সামান্য কবি,

কম্বল বিতরণের সামর্থ্য আমার নেই।

এই হাড়কাঁপা কনকনে শীতে

তোমারা কি কেউ পারো না

কঙ্কালসার পাতানিবুড়ির গায়ে

মানবতা ও সহানুভূতির এক টুকরো

কম্বল জড়িয়ে দিতে?

336 Views

মুগ্ধতা.কম

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ

শিক্ষিত্ হইস, মানুষও হইস

তুই বেলে শিক্ষিত্ বেটাছাওয়া?!

এ্যাত্তোবড়ো কলেজোত এত্তো এত্তো নেকাপড়া শিকচিস?

মেলা বেলে আদব-কায়দা?!

তা,

মোক পুছ না করি চুমা দিলু কেনে?

কেনে মোক দেকলে তুই চৌউক টিপিস? জিবা দেকাইস?

বগলাবগলি হইলে-  খালি বারে বারে গাওয়ের সাতে গাও নাগবার চাইস!

তোর ঐইগলা পড়া মুই পড়োং নাই ঠিকে, কিন্তুক মতলবটা বোজোং।

 

বাবায় মোক নেকাপড়া করায় নাই, চেংড়ি ছাওয়া তকনে।

কইচে – নাম নেইকপার পাইলেই হইবে।

কোটে বেলে জজ-বারিস্টারের ঘরোত বিয়াও দেমো!

তুই তো নেকাপড়া করি জজ ব্যারিস্টার হবু। তোর সাথে তো মোর বিয়াও দিবার নয়।

তাইলে?

 

শুন,

তোর ভদ্দরনোকি কতা মুই জানোং না,

কিন্তুক তোর ইশরা,তোর চৌকের চাওনি, ভুরুর নাচন মুই বোজোং।

তুই পোত্তেকবার ছুটিত আসি মোর পাচোত ঘুরিস, মোর বাদে এখান ওখান ধরি আসি শ্যাবা শ্যাবি করিস।

মুইতো তোর ঐইগলা জিনিস এখানো নেও নাই!

তাও তুই মোক পুচ না করি চুমা দিলু কেন?

 

মুই চুমা মানে পেরেম বোঝোং। বিয়াও বোজোং,ভাতার বোজোং।

তোর সাতে তো মোর পেরেম নাই, মুইতো তোক কোনোদিন স্বপোনোত দেকোংনা!

তোর জিনিসপত্ররও নেও না।

তুই কি মোক বিয়াও করবু?

মোর ভাতার হবু?

নাইলে….. তুই মোক পুচ না করি চুমা দিলু কেন?

 

মুই জানোং তুই ভাতার হবার বাদে চুমা দেইস নাই।

তুই নাগোর হবার চাইস! তুই মোক ভোলে ভালে বগলোত আইসবার চাইস।

তারপরে কয়দিন বাদ মোর মোকোত চুনকালি দিয়া ভদ্দরনোক সাজি তুই ভালে থাকপু।

মাইনষে মোক মাগী কইবে।

কইবে বামনের ছাওয়া চাঁন ধইরবার চাও!

কিন্তুক তুই যে নিশি রাইতের ভাঙ্গাচালের ফুটা দিয়া  জোছনার মতোন মোর গাত আসি নিজে নিজে পরচিলু, তুই মোক পুচ না করি চুমা দিচিস,

এইগলা কতা কায়ো মাইনবার নয়।

তুইতো তকন ভাল মাইনষের ছাওয়া!

মুই তোক ফান্দ পাতি ধইরবার চাচুং,মুই ই  খারাপ।

তুই তকন কিচ্চু বুঝিস না হয়া যাবু।

তুই তকন তুলশিরপাত!

 

সারতো, বগলোত আসিস না। টানাও তোর আলগা পিড়িত। আরেকবার চুমা দিলে মাইনষোক কয়া দিম।

তোর শিক্ষিত বাপ মাও তোক এইগলা শিকাইচে?

বড় কলেজোত কি এইগলা পড়ায়?

বাড়ি যা!

যায়া তোর বাপোক ক, তোর মাক ক। ক বেলে মোক তুই বিয়াও করবু!

ক্যান, এলা আও করিস না ক্যান?

হ্যা?

মুই মুরকো হবার পারো। হামরা গরীব হবার পারি।

মোর বাপের মেলা টাকা নাই।হামরা ইসকুল কলেজ পড়ি নাই।

কিন্তু হামার শিক্ষা আচে। হামার লোভ নাই।

মোর বাপ মোক মিচা কতা কওয়া, আর মানুষ ঠকা শিকায় নাই।

চুপ করি কাকো হাকাউ চুমা দেওয়া শিকায় নাই।

তুই মোক ঠকাবার আসচিস?

তোর টাকা, জিনিপত্তর, কাপর চোপর আর জৌলুস দেকি মুই না বাগিম।

ভাল না বাসি, মিচ্যা কতা কয়া কারো সব্বোনাশ করি বিয়াও না করার নাম যদি হয় বড় নেকাপড়া, তাইলে তোর নেকা পড়া ধুয়া তুই পানি খা।

 

কালা অক্ষর পেটোত গেইলে, বিদ্যাশিক্ষা করলে মানুষে বেলে মানুষ হয়!

কেমন মানুষ হয়?! তোরে মোতোন?

সুযোগ পাইলে জুয়ান চেংড়ি পাইলে পুচ না করি চুমা দেয়?

মুইতো মানুষ বলতে মোর বাপোক চেনোং। গেরামের ইসকুলের হেড মাষ্টারোক চেনোং।

ওমরা মোক কত জ্ঞানের কতা কয়!

ওমরা ছুইলে মোক খারাপ নাগে না। গাওখান ইচপিচ করে না।

তুই চেংড়ি দেকলে উজা বন্ধ কর।

বাড়ি যা, বড় কলেজোত পড়ি বড় মানুষ হ।

মোর বাপের মতোন, গেরামের স্কুলের হেডমাস্টারের মতন মানুষ হ।

499 Views