বিশেষ সংখ্যা Archive - মুগ্ধতা.কম

  • #tweetlikeitsfree
  • A-
  • A-
  • A+
  • A+
  • A+
  • A+
  • AB-
  • AB+
  • AB+
  • Account Menu
  • All menu
  • B-
  • B+
  • Bangabandhu
  • Barishal
  • Chattogram
  • cv
  • Dhaka
  • Dhaka
  • Dhaka
  • Eid
  • gh
  • Hadis
  • Khulna
  • max writer
  • mugdhota2
  • Mymensingh
  • Nobel Prize
  • O-
  • O+
  • Primary menu
  • quiz
  • Rajshahi
  • Rajshashi
  • Rangpur
  • Rangpur
  • Rangpur
  • Rangpur
  • Rangpur
  • rng_porm_add
  • rng_porm_add_adil_fokir
  • rng_porm_add_rlt_art
  • rng_porm_add_rlt_art_bottom
  • rng_porm_add_rlt_art_top
  • rng_porm_add2
  • selected_add
  • square
  • Sylhet
  • test
  • Test
  • test
  • Test 2
  • user-post
  • অগ্রহায়ণ
  • অণুগল্প
  • অনুগল্প
  • অনুবাদ
  • অনুবাদ কবিতা
  • অভিযাত্রিক
  • অমর একুশে
  • আদিল ফকির
  • আহসান লাবিব
  • ইজরায়েল
  • ইতিহাস
  • ইতিহাস
  • ইতিহাস
  • ইদ
  • ইদ
  • ইদ সংখ্যা ২০২১
  • ইসলাম
  • ইসলাম
  • ঈদ ২০২২
  • ঈদ ২০২৩
  • ঈদ সংখ্যা
  • ঈদ সংখ্যা
  • ঈদ স্মৃতি
  • ঈদ-২০২০
  • একুশে ফেব্রুয়ারি
  • এস এম খ‌লিল বাবু
  • এস এম সাথী বেগম
  • ঐতিহ্য
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা দ্বিতীয় অংশ
  • কবিতা প্রথম অংশ
  • কবিতা2
  • কবিতার গল্প
  • করোনার দিনগুলো ৫
  • ক্যাডেট ভর্তি
  • খেলা
  • গল্প
  • গল্প
  • গল্প
  • গল্প
  • গুচ্ছ
  • চিঠি
  • চিরায়ত পাঠ
  • ছড়া
  • ছড়া
  • ছড়া
  • ছড়া
  • ছড়া-কবিতা
  • ছড়া-গল্প
  • ছবিঘর
  • জগলুল হায়দা
  • জন্মদিন
  • জন্মদিন
  • জাতীয় কবিতা পরিষদ
  • জাতীয় শিশু দিবস
  • জানা অজানা
  • জীবন-যাপন
  • টেক
  • ট্র্যাগাস
  • ডায়াবেটিস
  • তরুণ তুর্কি
  • তরুণ তুর্কি
  • তরুণ তুর্কি: ১৫ নবীনের কবিতা
  • তাসমিন আফরোজ
  • তৃণলতা কুরচি
  • ত্যাগের গল্প
  • দারাজ
  • দূর পরবাস
  • দূর পরবাস
  • দেবব্রত সিংহ
  • নজরুল মৃধা
  • নতুনবই
  • নন-ফিকশন
  • নববর্ষ
  • নববর্ষ সংখ্যা - ১৪২৮
  • নবান্ন
  • নিবন্ধ
  • নিবন্ধ
  • নির্বাচিত ছবি
  • নির্বাচিত স্ট্যাটাস
  • নূরুল হুদা
  • নোবেল পুরষ্কার
  • পাঠ প্রতিক্রিয়া
  • পাঠকপ্রিয় লেখা
  • পাভেল রহমান
  • প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকী
  • প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ১
  • ফিলিস্তিন
  • ফিলিস্তিন
  • ফিলিস্তিন সংখ্যা
  • ফিলিস্তিন সংখ্যা
  • ফিলিস্তিনি কবিতা অনুবাদ
  • ফেসবুক
  • বই
  • বই আলোচনা
  • বইমেলা
  • বর্ষাকাহন
  • বর্ষার-কবিতা
  • বর্ষার-কবিতা1
  • বাজেট
  • বানান
  • বানান প্রতিযোগিতা
  • বাংলা
  • বাংলা একাডেমি
  • বাংলা বানান
  • বাংলাটা ঠিক আসে না
  • বাংলাবাড়ি
  • বিজয় দিবস
  • বিজয় দিবস 2022
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিশেষ রচনা
  • বিশেষ রচনা
  • বিশেষ সংখ্যা
  • বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
  • ভাইভা
  • ভাষা
  • ভ্রমন-গল্প
  • মতামত
  • মতামত
  • মহাপরিচালক
  • মাতৃভাষা-দিবস
  • মিনহাজ উদ্দিন শপথ
  • মুক্তগদ্য
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুগ্ধতা
  • মুগ্ধতা
  • মূল রচনা
  • মে দিবস
  • রক্ত
  • রংপুরের কবিতা
  • রংপুরের কবিতা
  • রংপুরের কবিতা1
  • রফিকুল হক দাদুভাই
  • রস-রচনা
  • রসরচনা
  • রাইয়ান অভির
  • রূপকথা
  • শনিবারের চিঠি
  • শব্দ
  • শিক্ষা
  • শিরোনাম
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শিশু দিবস
  • শিশু-কিশোর
  • শিশুর শাস্তি
  • শোক দিবস
  • শোক দিবস-ছড়া
  • শোক দিবস-প্রবন্ধ
  • শোক সংবাদ
  • সংবাদ
  • সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • সাক্ষাৎকার
  • সাপ্তাহিক সংখ্যা
  • সাপ্তাহিক সংখ্যা
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য সংবাদ
  • সাহিত্য সংবাদ
  • সাহিত্য সংবাদ
  • স্টিকার কমেন্ট
  • স্বাধীনতা দিবস 2022
  • স্বাস্থ্য
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • স্মরণ
  • স্মরণ
  • স্মৃতিকথা
  • স্মৃতিকথা
  • হাসান আজিজুল হক
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • কবিতা

    একটি তর্জনী উচানো কবিতা

    গল্পের শুরু— তারপরসময়টা সাতই মার্চ উনিশ শ একাত্তর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ(আজ যেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ)সেদিন সেখানে তর্জনী উচিয়ে পাঠ হয়েছিলো একটি শ্রেষ্ঠ কবিতাউচ্চারিত হয়েছিলোএকটি ভুবন কাঁপানো হৃদয়স্পর্শী ভাষণ।সে কবিতা যেনএকটি জাতির জীবনের সুখ-দুঃখের অভিধানসে কবিতা যেনএকটি জাতির হাসি-কান্নার অনাবিল ইতিহাস।সেদিন সে উদ্যানেসিংহের মতো গর্জে উঠেছিলোযে কণ্ঠদীপ্ত প্রত্যয়ে ধ্বনিত হয়েছিলো যে ভাষণপ্রকম্পিত করেছিলো মাঠ-ঘাট-প্রান্তর, আকাশ—বাতাস অমর অজর  সেই কবিতার মহান কারিগর ছিলেন—হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি আমাদের মহান নেতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন সে কবিতা শোনার জন্যএ উদ্যানে এসেছিলোসারাদেশ থেকে অগনন মানুষ—যোগ দিয়েছিলোকামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কুলি-মুজুরছাত্র-জনতা অফুরান। কানায় কানায় ভরে উঠেছিলো এই মাঠনেমেছিলো জনতার ঢল।কি এক উত্তাল ব্যকুলতায়সে কবিতা শোনার জন্যকী এক গভীর উচ্ছাসময় আবেগে সেদিন সে ভাষণ শোনার জন্য অপেক্ষা অধীর জনতা প্রহর গুণছিলো পিনপতন নিরবতায়।অবশেষে  সকল অধীরতা ভেদ করে সকল নীরবতা ভঙ্গ করেবজ্র কণ্ঠেউচ্চারিত হয়েছিলোকাঙ্ক্ষিত সেই অমর কবিতাগর্জে উঠেছিলো কাঙ্ক্ষিত সেই অগ্নিশপথ ভাষণ—“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম “ এ যেন এক মাঠ জনতারলালিত স্বপ্নের অনিবার্য প্রত্যাশাকাঙ্ক্ষিত মুক্তির উম্মুক্ত স্মারক। দিকে দিকে চারিদিকে দিগন্তভেদী সে কবিতাসে কবিতার প্রতিটি শব্দঅবিনাশী হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা বিশ্বে—তারপর—অশেষ সে কবিতার প্রতিটি শব্দ,প্রতিটি পঙক্তি আজও আমাদের নিত্য পাঠের  অনির্বাণ বর্ণমালা।

    কবিতা

    একটি তর্জনী উচানো কবিতা

    গল্পের শুরু— তারপরসময়টা সাতই মার্চ উনিশ শ একাত্তর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ(আজ যেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ)সেদিন সেখানে তর্জনী উচিয়ে পাঠ হয়েছিলো একটি শ্রেষ্ঠ কবিতাউচ্চারিত হয়েছিলোএকটি ভুবন কাঁপানো হৃদয়স্পর্শী ভাষণ।সে কবিতা যেনএকটি জাতির জীবনের সুখ-দুঃখের অভিধানসে কবিতা যেনএকটি জাতির হাসি-কান্নার অনাবিল ইতিহাস।সেদিন সে উদ্যানেসিংহের মতো গর্জে উঠেছিলোযে কণ্ঠদীপ্ত প্রত্যয়ে ধ্বনিত হয়েছিলো যে ভাষণপ্রকম্পিত করেছিলো মাঠ-ঘাট-প্রান্তর, আকাশ—বাতাস অমর অজর  সেই কবিতার মহান কারিগর ছিলেন—হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি আমাদের মহান নেতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন সে কবিতা শোনার জন্যএ উদ্যানে এসেছিলোসারাদেশ থেকে অগনন মানুষ—যোগ দিয়েছিলোকামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কুলি-মুজুরছাত্র-জনতা অফুরান। কানায় কানায় ভরে উঠেছিলো এই মাঠনেমেছিলো জনতার ঢল।কি এক উত্তাল ব্যকুলতায়সে কবিতা শোনার জন্যকী এক গভীর উচ্ছাসময় আবেগে সেদিন সে ভাষণ শোনার জন্য অপেক্ষা অধীর জনতা প্রহর গুণছিলো পিনপতন নিরবতায়।অবশেষে  সকল অধীরতা ভেদ করে সকল নীরবতা ভঙ্গ করেবজ্র কণ্ঠেউচ্চারিত হয়েছিলোকাঙ্ক্ষিত সেই অমর কবিতাগর্জে উঠেছিলো কাঙ্ক্ষিত সেই অগ্নিশপথ ভাষণ—“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম “ এ যেন এক মাঠ জনতারলালিত স্বপ্নের অনিবার্য প্রত্যাশাকাঙ্ক্ষিত মুক্তির উম্মুক্ত স্মারক। দিকে দিকে চারিদিকে দিগন্তভেদী সে কবিতাসে কবিতার প্রতিটি শব্দঅবিনাশী হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা বিশ্বে—তারপর—অশেষ সে কবিতার প্রতিটি শব্দ,প্রতিটি পঙক্তি আজও আমাদের নিত্য পাঠের  অনির্বাণ বর্ণমালা।

    মুগ্ধতা.কম

    ২৬ মার্চ, ২০২৩ , ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

    একটি তর্জনী উচানো কবিতা

    গল্পের শুরু— তারপরসময়টা সাতই মার্চ উনিশ শ একাত্তর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ(আজ যেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ)সেদিন সেখানে তর্জনী উচিয়ে পাঠ হয়েছিলো একটি শ্রেষ্ঠ কবিতাউচ্চারিত হয়েছিলোএকটি ভুবন কাঁপানো হৃদয়স্পর্শী ভাষণ।সে কবিতা যেনএকটি জাতির জীবনের সুখ-দুঃখের অভিধানসে কবিতা যেনএকটি জাতির হাসি-কান্নার অনাবিল ইতিহাস।সেদিন সে উদ্যানেসিংহের মতো গর্জে উঠেছিলোযে কণ্ঠদীপ্ত প্রত্যয়ে ধ্বনিত হয়েছিলো যে ভাষণপ্রকম্পিত করেছিলো মাঠ-ঘাট-প্রান্তর, আকাশ—বাতাস অমর অজর  সেই কবিতার মহান কারিগর ছিলেন—হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি আমাদের মহান নেতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন সে কবিতা শোনার জন্যএ উদ্যানে এসেছিলোসারাদেশ থেকে অগনন মানুষ—যোগ দিয়েছিলোকামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কুলি-মুজুরছাত্র-জনতা অফুরান। কানায় কানায় ভরে উঠেছিলো এই মাঠনেমেছিলো জনতার ঢল।কি এক উত্তাল ব্যকুলতায়সে কবিতা শোনার জন্যকী এক গভীর উচ্ছাসময় আবেগে সেদিন সে ভাষণ শোনার জন্য অপেক্ষা অধীর জনতা প্রহর গুণছিলো পিনপতন নিরবতায়।অবশেষে  সকল অধীরতা ভেদ করে সকল নীরবতা ভঙ্গ করেবজ্র কণ্ঠেউচ্চারিত হয়েছিলোকাঙ্ক্ষিত সেই অমর কবিতাগর্জে উঠেছিলো কাঙ্ক্ষিত সেই অগ্নিশপথ ভাষণ—“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম “ এ যেন এক মাঠ জনতারলালিত স্বপ্নের অনিবার্য প্রত্যাশাকাঙ্ক্ষিত মুক্তির উম্মুক্ত স্মারক। দিকে দিকে চারিদিকে দিগন্তভেদী সে কবিতাসে কবিতার প্রতিটি শব্দঅবিনাশী হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা বিশ্বে—তারপর—অশেষ সে কবিতার প্রতিটি শব্দ,প্রতিটি পঙক্তি আজও আমাদের নিত্য পাঠের  অনির্বাণ বর্ণমালা।

    বিশেষ সংখ্যা Archive - মুগ্ধতা.কম

  • #tweetlikeitsfree
  • A-
  • A-
  • A+
  • A+
  • A+
  • A+
  • AB-
  • AB+
  • AB+
  • Account Menu
  • All menu
  • B-
  • B+
  • Bangabandhu
  • Barishal
  • Chattogram
  • cv
  • Dhaka
  • Dhaka
  • Dhaka
  • Eid
  • gh
  • Hadis
  • Khulna
  • max writer
  • mugdhota2
  • Mymensingh
  • Nobel Prize
  • O-
  • O+
  • Primary menu
  • quiz
  • Rajshahi
  • Rajshashi
  • Rangpur
  • Rangpur
  • Rangpur
  • Rangpur
  • Rangpur
  • rng_porm_add
  • rng_porm_add_adil_fokir
  • rng_porm_add_rlt_art
  • rng_porm_add_rlt_art_bottom
  • rng_porm_add_rlt_art_top
  • rng_porm_add2
  • selected_add
  • square
  • Sylhet
  • test
  • Test
  • test
  • Test 2
  • user-post
  • অগ্রহায়ণ
  • অণুগল্প
  • অনুগল্প
  • অনুবাদ
  • অনুবাদ কবিতা
  • অভিযাত্রিক
  • অমর একুশে
  • আদিল ফকির
  • আহসান লাবিব
  • ইজরায়েল
  • ইতিহাস
  • ইতিহাস
  • ইতিহাস
  • ইদ
  • ইদ
  • ইদ সংখ্যা ২০২১
  • ইসলাম
  • ইসলাম
  • ঈদ ২০২২
  • ঈদ ২০২৩
  • ঈদ সংখ্যা
  • ঈদ সংখ্যা
  • ঈদ স্মৃতি
  • ঈদ-২০২০
  • একুশে ফেব্রুয়ারি
  • এস এম খ‌লিল বাবু
  • এস এম সাথী বেগম
  • ঐতিহ্য
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা
  • কবিতা দ্বিতীয় অংশ
  • কবিতা প্রথম অংশ
  • কবিতা2
  • কবিতার গল্প
  • করোনার দিনগুলো ৫
  • ক্যাডেট ভর্তি
  • খেলা
  • গল্প
  • গল্প
  • গল্প
  • গল্প
  • গুচ্ছ
  • চিঠি
  • চিরায়ত পাঠ
  • ছড়া
  • ছড়া
  • ছড়া
  • ছড়া
  • ছড়া-কবিতা
  • ছড়া-গল্প
  • ছবিঘর
  • জগলুল হায়দা
  • জন্মদিন
  • জন্মদিন
  • জাতীয় কবিতা পরিষদ
  • জাতীয় শিশু দিবস
  • জানা অজানা
  • জীবন-যাপন
  • টেক
  • ট্র্যাগাস
  • ডায়াবেটিস
  • তরুণ তুর্কি
  • তরুণ তুর্কি
  • তরুণ তুর্কি: ১৫ নবীনের কবিতা
  • তাসমিন আফরোজ
  • তৃণলতা কুরচি
  • ত্যাগের গল্প
  • দারাজ
  • দূর পরবাস
  • দূর পরবাস
  • দেবব্রত সিংহ
  • নজরুল মৃধা
  • নতুনবই
  • নন-ফিকশন
  • নববর্ষ
  • নববর্ষ সংখ্যা - ১৪২৮
  • নবান্ন
  • নিবন্ধ
  • নিবন্ধ
  • নির্বাচিত ছবি
  • নির্বাচিত স্ট্যাটাস
  • নূরুল হুদা
  • নোবেল পুরষ্কার
  • পাঠ প্রতিক্রিয়া
  • পাঠকপ্রিয় লেখা
  • পাভেল রহমান
  • প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকী
  • প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ
  • প্রবন্ধ১
  • ফিলিস্তিন
  • ফিলিস্তিন
  • ফিলিস্তিন সংখ্যা
  • ফিলিস্তিন সংখ্যা
  • ফিলিস্তিনি কবিতা অনুবাদ
  • ফেসবুক
  • বই
  • বই আলোচনা
  • বইমেলা
  • বর্ষাকাহন
  • বর্ষার-কবিতা
  • বর্ষার-কবিতা1
  • বাজেট
  • বানান
  • বানান প্রতিযোগিতা
  • বাংলা
  • বাংলা একাডেমি
  • বাংলা বানান
  • বাংলাটা ঠিক আসে না
  • বাংলাবাড়ি
  • বিজয় দিবস
  • বিজয় দিবস 2022
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিশেষ রচনা
  • বিশেষ রচনা
  • বিশেষ সংখ্যা
  • বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
  • ভাইভা
  • ভাষা
  • ভ্রমন-গল্প
  • মতামত
  • মতামত
  • মহাপরিচালক
  • মাতৃভাষা-দিবস
  • মিনহাজ উদ্দিন শপথ
  • মুক্তগদ্য
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুগ্ধতা
  • মুগ্ধতা
  • মূল রচনা
  • মে দিবস
  • রক্ত
  • রংপুরের কবিতা
  • রংপুরের কবিতা
  • রংপুরের কবিতা1
  • রফিকুল হক দাদুভাই
  • রস-রচনা
  • রসরচনা
  • রাইয়ান অভির
  • রূপকথা
  • শনিবারের চিঠি
  • শব্দ
  • শিক্ষা
  • শিরোনাম
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শিশু দিবস
  • শিশু-কিশোর
  • শিশুর শাস্তি
  • শোক দিবস
  • শোক দিবস-ছড়া
  • শোক দিবস-প্রবন্ধ
  • শোক সংবাদ
  • সংবাদ
  • সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • সাক্ষাৎকার
  • সাপ্তাহিক সংখ্যা
  • সাপ্তাহিক সংখ্যা
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য সংবাদ
  • সাহিত্য সংবাদ
  • সাহিত্য সংবাদ
  • স্টিকার কমেন্ট
  • স্বাধীনতা দিবস 2022
  • স্বাস্থ্য
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • স্মরণ
  • স্মরণ
  • স্মৃতিকথা
  • স্মৃতিকথা
  • হাসান আজিজুল হক
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:৪০ অপরাহ্ণ

    ইমাম

    দশ বারো জন হিংস্র ও হাস্যোজ্জল যুবক ঘিরে আছে এক ইমামকে। ইমাম সাহেব আসরের নামাজে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। যুবকদের বড়ো ভাই বিরক্ত। জিজ্ঞাসা করলেন, পলাইয়া যাবেন না তো?

    বিব্রত ও অপমানিত ইমাম সাহেব দৃঢ় কন্ঠে বললেন, না। নামাজ শেষে আসছি। এক প্রকার বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ইমাম সাহেব মিনিট দশেক হাঁটা দূরত্বের মসজিদের দিকে চললেন। আসরের নামাজ শেষে পুলিশকে ফোনে জানালেন তার বিপদের কথা। ইমাম সাহেব যুবকদের কাছে আসতে আসতে বাইকে দুজন পুলিশ চলে এল। পুলিশ দেখে যুবকেরা মৃদু হাসল। পুলিশ অফিসার ইমাম সাহেবকে বললেন, বিয়া করায় দেন।

    ইমাম সাহেব বললেন, আপনারাও এই কথা বলেন! মেয়েটার সম্মান কোথায়? ধর্ষকের সাথে বিয়েতে বসতে রাজি নয় মেয়েটা। জোর করে বিয়ে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে ইমামকে। পুলিশও ইমামকে সাহায্য করছে না। এলাকার আলেম সমাজের নীরব সম্মতি আছে যুবকদের প্রতি। কিন্তু আপত্তি শুধু এই ইমাম সাহেবের। পুলিশ চলে গেল। যুবকরা এটা জানত। পুলিশ তাদের দখলে। নানা রকম যুক্তি-তর্ক হচ্ছে কিন্তু ইমাম সাহেব বেয়াদব। কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। ধীরে ধীরে লোকজন বেশি হতে লাগল। শিশু, নারী, কিশোর, বৃদ্ধ, স্থানীয় আলেম-ওলামাগণ এলেন। স্থানীয় একজন আলেম সাহেব বললেন, বিয়াশাদি আল্লার ইচ্ছায় হয়। আপনি বাধা দেবার কে?

    এলাকাবাসী রাজী আছে, তাদের ইজ্জতের দাম আছে না? একটা মেয়ের জন্য সারাজীবন কেন আমাদের বদনাম বয়ে বেড়াতে হবে?

    তবুও ইমাম সাহেব অনড়। বললেন, একজন অপরাধীর সাথে বিয়ে হতে পারে না। তার থাকা উচিত ফাঁসির কাষ্টে। যুবকেরা ক্ষেপে গেল এই কথায়। তারা মারমুখী হয়ে বলল, এই এলাকায় না হলে অন্য এলাকা থেকে হুজুর আনতে হবে। যত টাকা লাগুক। এলাকায় একজন হুজুর হইলে এই সমস্যা। ভাব বেশি।

    যুবকদের কথা শুনে ইমাম সাহেব ঘাবড়ে গেলেন। যুবকদের বড়ো ভাই বলল, হুজুর আপনি আমাদের ইমাম। আমরা আপনারে সম্মান করি। আপনি আমাদের সম্মান রক্ষা

    করবেন এটাই তো নিয়ম। দশগ্রামে আপনার মতো কেউ নাই। আপনি যদি আমাদের বিপদে এগিয়ে না আসেন কে আসবে?

    ইমাম বললেন, আরে ভাই অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে তার পক্ষে যাচ্ছেন কেন? ‘পোলাপান মানুষ আকাম না হয় একটা করছে। মুরুব্বিরা যদি ক্ষমা না করে তাইলে কি হইল?’

    ‘আপনারা শুধু অপরাধীর কথা ভাবছেন, ভুক্তভোগী মেয়েটার কথা তো ভাবছেন না।’

    সেই বড়ো ভাই আরও রেগে গেল। তুই তোকারি করে কথা বলতে লাগল ইমামকে। সে ঘোষণা দিলো, যে করেই হোক এই মেয়ের সাথে আজ রাতেই বিয়ে হবে ধর্ষকের।

    আর ধুমধাম করেই হবে বিয়েটা। সে তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাসর সাজাতে নির্দেশ দিলো।

    এলাকাবাসী বিয়ের দাওয়াত পাবে এতেই তারা খুশি। ন্যায়-অন্যায় তাদের কাছে কোনো বিষয়ই নয়। তারা বিয়ে নিয়ে উল্লসিত।

    ইমাম সাহেব উঠে চলে যেতে চাইলেন। যুবকদের বিস্ময় বাড়ল। ইমাম সাহেব বললেন, কাজটা ঠিক হচ্ছে না। এটা অন্যায়।

    যুবকেরা এবং এলাকার ময়মুরুব্বিরা কোনো কথা বলল না।

    হঠাৎ যুবকদের বড়ো ভাইয়ের মনে হলো, ইমাম যদি আবার নতুন কোনো প্যাঁচ লাগায়? তাই ইমামকে ডেকে হুমকি দিলো, আমরা অন্য হুজুর আনতেছি। আপনার দরকার নাই। এই বিষয়টা নিয়া আর কোনো কথা বলবেন না। কোনো বাড়াবাড়ি করবেন না।

    ইমাম সাহেব শুধু বললেন, এই কাজে টাকা ছাড়াও বহু হুজুর, ইমাম পাবেন। অনেক মুফতি, মওলানাও আপনাদের সাথে থাকবে। কিন্তু একটা কথা বলি। এটাই শেষ কথা-এটা কিন্তু অন্যায়।

    কথাটা শেষ করা মাত্র ইমাম সাহেবকে একটা চড় মেরে বসল বড়ো ভাই। এরপর শুরু হলো এলপাথাড়ি মার। এলাকাবাসী দর্শকের ভূমিকায়। কিছুক্ষণ আগেও যারা তার পেছনে নামাজ পড়েছে তারাও নীরব। কিছু করছে না কিছু বলছেও না।

    ঠিক সেই মুহূর্তে ঝড়োগতিতে ঘর থেকে বিধ্বস্ত একটা মেয়ে বেরিয়ে আসে। তার হাতে একটা দোধারি তলোয়ার। তলোয়ার দিয়ে সে আক্রমণকারী যুবকদের এলপাথারি কোপাতে লাগল। তার ক্ষিপ্র আঘাতে দিশেহারা যুবকেরা দিগি¦দিক পালিয়ে গেল।

    রণবিজয়ী মেয়েটি দেখতে পেল, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন ইমাম সাহেব-যার পেছনে কোনোদিন সে নামাজ পড়ার সুযোগ পায়নি।

    জাকির সোহান

    সিংগীমারী

    হাতীবান্ধা,

    লালমনিরহাট।

    মোবাইল-০১৭৬৩০৮৮৬১১

    ইমাম
    41 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:৩৮ অপরাহ্ণ

    ঈদ শপিং 

    সজীবের ফোনটা বেজেই চলেছে। একটানা ৭২ বার। সজীব ফোন রিসিভ করছে না। ইনকামিং কল একজনের। তার নাম চৈতী। 

    চৈতীর ধৈর্য আছে বলা যায়। একটানা কেউ কল দেয়! অবশ্য সজীবের সহ্য ক্ষমতাও কম না। সে মোবাইল সাইলেন্ট করেনি। চুপচাপ রিংটোন শুনেছে। সজীবের মোবাইলের রিং টোনে চৈতীর কন্ঠ। চমৎকার কন্ঠ। মাঝে মাঝে আশ্চর্য হয় সজীব। এতো সুন্দর কন্ঠ হয় কারো! কি মায়াবী কন্ঠ। তার কন্ঠ শুনলে যে কোন ছেলে পাগল হবে। সজীবও পাগল।

    পুরুষ মানুষগুলো হয়তো এমনই। এটা সবাই বলে। কিন্তু আজকাল নারীগুলোও এমন। একঘেয়েমি কাটাতে ভিন্নতা খুঁজে। ভিন্নতা পেলে সময় দিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। অবশ্য এতে ভালোবাসার মানুষের প্রতি ভালোবাসা কমে না, বরং বাড়ে। কী হাস্যকর কথা।

    আজ সজীব ও চৈতীর ঈদ শপিং করার কথা। সজীবের হাতে টাকা নেই। টাকা পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে পায়নি। অনেক চেষ্টা করে ফেল করেছে। চৈতীকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বললেও সে বুঝবে না। চৈতী বোঝে না। কিংবা বুঝতে চায় না। এই অবুঝ ভাবটাও সজীবের ভালো লাগে।

    ভালোবাসার অত্যাচার। আসলে এটা অত্যাচার। সেহেরি খাওয়ার পর থেকেই সজীবের ফোন বাজছে। দুই দিন হলো সজীব রুমে একাই আছে। তার রুমমেট ঈদ করতে বাড়িতে চলে গেছে। সজীব যায়নি। তিনটা টিউশনি করায় সজীব। দুইটার টিউশন ফি এখনও দেয়নি। একটি ঈদের পূর্বে দেবে না, জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল একটির টাকা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয়নি। আগামীকাল হয়তো দেবে।

    দুপুর হবার অপেক্ষা। দুপুর ঠিক ২.০০ টায় সজীব টিউশনি করায়। রমজান মাসে এই সময় বেছে নিয়েছে। অপেক্ষার সময় দীর্ঘ হলেও একসময় শেষ হয়। ২.০০ টা বাজার পূর্বেই সাহেদ হাজির হয় টিউশন বাড়িতে। লাল বোতামে চাপ দেয়। তার স্বভাব অনুযায়ী একবারের বেশি কলিং বেল বাজায় না। কিন্তু অপেক্ষা তার ভালো লাগছে না। পর পর দু বার কলিং বাজিয়ে অপেক্ষা করে। ১০ মিনিট। আবার কলিং বেলে টিপ দেয় সে। দরজা খোলে না। সজীব অবাক হয়। 

    কিছুক্ষণ পর পাশের ফ্লাটের দরজা খুলে এক মহিলা বের হয়। সজীবকে দেখে একটি চিঠি ধরিয়ে দেয় আর বলে মমরা গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। সে খাম পেয়ে খুশি মনে হাত বাড়িয়ে নেয়। ভাবে- যাক গ্রামের বাড়ি গেলেও টাকাটা দিয়ে গেছে।

    মহিলা দরজা বন্ধ করতেই সজীব রাস্তার দিকে পা বাড়ায়। খামটা হাতে নিয়ে সে বুঝতে পারে খামের ভিতরে টাকা নেই। কোনো চিঠি থাকতে পারে। সজীব খাম খোলে না। ভাঁজ করে পকেটে রেখে দেয়। চৈতীর সাথে আর দেখা করবে না। পিচ ঢালা রাস্তায় হাঁটতে থাকে। মাঝে মাঝে আকাশের তাকায়। বিশাল আকাশের নিচে নিজেকে একমাত্র অসহায় পুরুষ মনে করে। এই শহরে ঈদের পূর্বে চেনা মুখগুলো কয়েকদিনের জন্যে হারিয়ে যায়। আবার কিছু অচেনা মুখ যোগ হয়। সজীবের দৃষ্টিতে সবই অচেনা মুখ। আকাশের বিশালতা তাকে স্পর্শ করে না। কুয়োর অন্ধকার তাকে টানে। চেনা হাসির শব্দে রিকশার দিকে তাকায় সজীব।

    চৈতীর হাসি। সেই হাসি। অসম্ভব চমৎকার কন্ঠের সুর মেশানো হাসি। বাতাসের  বেগের চেয়েও তীব্রতার সাথে ছুটে চলছে রিকশা। চৈতীর পাশে অন্য কেউ। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চৈতী আর সজীবের চোখে চোখ আটকে যায়। বাতাসের সাথে মিলিয়ে যায় সব।

    ঈদ শপিং 
    64 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:২৯ অপরাহ্ণ

    রমজান-পরবর্তী জীবনযাত্রা যেমন হওয়া উচিত

    পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে। বাতাসে বিদায়ের সুর। একদিকে বিদায় বার্তা অন্যদিকে খুশির বারতা নিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। একমাস সিয়াম সাধনা করে আমরা উপহার স্বরুপ পেয়েছি এই ঈদ। গত একমাসে আমরা আমাদের জীবনযাপনের রুটিনে এনেছিলাম ব্যপক পরিবর্তন। শেষরাতে ঘুম থেকে উঠে সাহরি খাওয়া,নামাজ পড়া, সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং ইফতারি করা। এসময় আমাদের ঘুমের এবং শরীরে পানির পরিমান কমে গিয়েছিল সর্বোপরি আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাবেন তাহাই সয় বলেই শরীর দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল রোজার সময়ের জীবনযাপনে। ঈদের মাধ্যমে আমরা আবার ফিরে যাবে আগের রুটিনে। একথা আমাদের সবার জানা যে দিনে একবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই আমাদের উচিত হবে একবারে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে ঘনঘন খাওয়া। ক্যালরি হিসেবে সকালেই বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।  সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন আমিষসমৃদ্ধ ডিম, ডাল সাথে ফলমূল। রাতে খাদ্যতালিকায় থাকবে লো ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার। শরীরকে কর্মক্ষম রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সেটা হতে পারে ৩৫/৪০ মিনিট হাঁটা অথবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ। ব্যায়াম শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ যেমন বের করে দেয় তেমনি অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে শরীরকে রাখে চনমনে। যে কোনো সময়ে ব্যায়ামই পারে হার্ট ও লাংসকে কর্মক্ষম রাখতে।

    রমজান মাসের ঘুমের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যেতে হবে এসময় নেয়া যাবে না সাথে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস। সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমানো দরকার।
    রমজানে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম বাড়ির তৈরি খাবারে তাই হুট করে বাইরের হোটেলের খাবার খেলে পেটের বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হতে পারি। এড়িয়ে চলতে হবে এসব।

    ঈদের দিন জিহ্বাকে সংযতকরে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত তেল চর্বি যুক্ত পোলাও, কোর্মা, গোস্ত পেট খারাপের কারণ হতে পারে। তাই একবেলা পোলাও খেলেও অন্যবেলা সাদাভাত খাবার চেষ্টা করবেন। যারা ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগী তারা নিয়মের বাইরে না গিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ গ্রহণ করতে ভুলবেন না।

    জীবন-যাপন
    55 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:২৯ অপরাহ্ণ

    রোজার মেজাজ

    রোজায় বিকেল হলেই শাহানা বেগমের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। ইফতার বানানোর তড়িঘড়ি পরে যায়। যে তালে কাজ করেন সে তালে চিৎকার চেচামেচি করেন। তাঁর গালাগালিতে ছেলেটা নামাজের অজুহাতে বের হয়ে যায়। মেয়েরা কাজের সহযোগিতা করতে গেলে বকাবকির শেষ থাকে না। কে কবে কী দোষ করেছে সব বলতে শুরু করে দেন। নানা পদের ইফতার বানিয়ে যখন আজান দিবে তখনও কাজ শেষ করতে পারেন না। সবাই ইফতার করে নামাজে যায় তখন শাহানা বেগম পানি মুখে দিয়ে নামাজ পড়ে ইফতার খান। তখন শাহানা বেগমের আর কোনো রাগ থাকে না, খুব স্বাভাবিক সহজ সরল। এ বিষয়টা সবাই জানে বলে চুপাচাপ থাকে।

    এখন ছেলেমেয়েরা যে যার মতো বাইরে থাকে, তাদেরও ঘর সংসার হয়েছে। স্বামী গত হয়েছেন অনেক আগেই।

    ঘরে শাহানা বেগম একাই। রোজা আসে যায় শাহানা বেগমের চিৎকার চেচামেচিও নেই ইফতার বানানোর শারীরিক শক্তিও নেই।

    পুরো বাসায় একা একদম একা।

    অনুগল্প
    25 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:২৪ অপরাহ্ণ

    সমুদ্র

    আমার মায়ের সমুদ্র দেখা হয়নি কখনও
    অথচ আমাদের ঘরে ঝোলে একটা শান্ত সমুদ্রতটের ছবি।

    ছবিটি মাকে উপহার দিয়েছিল তার ভাই।
    সেই সমুদ্রতটে আছে কয়েকটা নারিকেল গাছ, সাদা বালিয়াড়ি আর দুজন সুখী মানুষ। 
    যারা বসে আছে পেছন ফিরে সূর্যের দিকে তাকিয়ে। সূর্যটা অস্ত যাচ্ছে।
    গত ত্রিশ বছর ছবিটা আমাদের সাথে থাকার কারণেই কি না জানি না ছবিটাকে আর ছবি মনে হয় না। মনে হয় আমাদের ঘরেরই একটা অংশ, চায়ের কাপ কিংবা বাবার জায়নামাজ। ছবিতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়াতে সমুদ্র নিয়ে আমাদের কারোরই কোনও বাড়তি উচ্ছ্বাস নাই। সমুদ্র মানে বাড়ির সবাই আমরা বুঝি, সূর্য ডুবে যাচ্ছে আর দুজন সুখী মানব মানবী বসে আছে পেছন ফিরে। যেহেতু মুখ দেখা যায় না তাই আমি, আমার বোন, হয়তো আমার মাও নিজেকে কল্পনা করে ছবির মানুষ হিসেবে।
    একদিন বুকে সাহস জোগাড় করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, মা তোমার সমুদ্র দেখতে মন চায় না?
    মা স্মিত হেসে বলেছিল, সমুদ্র দেখার কী আছে, ও তো মরুভূমির মতো, শুধু বালির বদলে আছে জল। সংসারের মরুভূমিতে থেকে আমার আর সমুদ্র দেখার শখ হয় না বাবা।

    কবিতা
    37 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:২৪ অপরাহ্ণ

    ফেরত টিকেট 

    নিখিল আমি কি বেঁচে আছি না কি!        

    এই যে বসুদা’র লেটার প্রেসে চাকুরি, ভোর রাতে ঘরে ফেরা          
    প্রিন্টারের কালিতে ভেজা মধ্যবিত্ত আত্মা,
    এটাকে কি ঠিক বেঁচে থাকা বলে!     
    জীবন থেকে ছুটি নিয়েও ক্রমাগত জীবনের ঘানি টেনে চলা,   
    বুকের গভীরে লেগে থাকা পৌরাণিক স্পর্শের অনুভূতিগুলো-   
    সিনেমার আলো আঁধারীতে বাদামের খোসা ছাড়ানোর মতো       
    নিজেকে মেলে ধরা নিজের সুপ্ত বাসনার কাছে,    
    কখনো মুচির সুতোয় প্রাণ খুঁজে পাওয়া 
    চামড়ার পুরনো স্যান্ডেল পায়ে, দিনের ব্যস্ততার শেষে       
    অজস্র দেনা আর খেরোখাতার নিরেট হিসেব মেলানো,
    কর্মে-অবসরের প্রতিটি মুহুর্তে জীবনের ঋণ শুধে চলা-  
    এটাকে ঠিক কী রকম জীবনের সংজ্ঞায় ফেলবি তুই!
    ভবঘুরে জীবনটা তো হতে পারতো অন্যরকম,
    অন্য ধরনের একটা কিছু,  
    কিন্তু সেটা যে ঠিক কী রকম তা বুঝে উঠতে পারিনি আজও,         
    যেমন বুঝিনি বা বুঝতে পারিনি ইতির চাওয়াগুলো-    
    আমি কখনো হয়তো বোঝাতে চেয়েছি অন্য একটা কিছু,   
    অথচ ঠোঁটের প্রান্ত ছুঁয়ে মোমের মতো যে শব্দগুলো ঝরে পড়েছে  
    তা হয়তো বলেছে অন্য স্বপ্নের কথা, যা আমার ছিল না, কখনও ছিল না।    

    বুকের যবন ভাষাগুলো তাড়িয়ে ফেরে অনুক্ষণ টুংটাং চুড়ির শব্দে- 
    না বলা কথাগুলো আড়ালেই থেকে যায়  
    জীবনের আর সব অপূর্ণ চাহিদার মতো।  
    নিখিল, বন্ধু আমার,  
    তুইই বরং বেশ আছিস, যে আকাশেই থাকিস না কেন,
    তারাদের মাঝে তারা হয়ে আছিস আমার নিয়তি দেখবি বলে।    
    তোর তো সকাল সন্ধ্যের অফিস নেই,দায়-দায়িত্ব নেই,কর্তব্য নেই,
    বসের পাকানো চোখ কিংবা অজস্র ফাইলের নিচে 
    ক্রমাগত পিষ্ট হতে থাকা সুক্ষ অনুভূতিগুলোও নেই,    
    নেই অফিস শেষে রংচটা বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে  
    ঘরে ফেরার অদম্য বাসনা আর কাঁটায় বিদ্ধ ভালোবাসা, 
    নিয়ম রক্ষার সঙ্গম, কিংবা জীর্ণ বন্ধনটুকুর জন্য-     
    নেই কর্তব্য কাঁধে বিপন্ন বায়সের মতো ভরদুপুরের ছোটাছুটি, 
    হ্যাঙ্গারে স্বপ্ন ঝুলিয়ে রাখা আরেকটি সম্ভাবনার প্রত্যাশায়।  
    এসব কিছুই নেই, সবচেয়ে বড় কি জানিস! 
    তোর মাঝে প্রতিটি মুহুর্তে বেঁচে থাকবার তাড়না নেই,  
    ঠোঁটের কোণে তাই বিদ্রুপ ঝুলিয়ে হয়তো আছিস বেশ 
    মৃতের নগরীতে অজস্র মৃতদের মতো। আসলে-  
    ফেরত টিকেট হাতে আমার এমন একটা মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই-    
    যে মৃত্যুর পরে একবার হলেও ফিরে আসা যায় 
    ফেলে যাওয়া শরীরের মাঝে, প্রিয় রমণীর মাঝে,     
    নিজের ঝাঁঝালো ঘ্রাণের মাঝে ফিরে ফিরে আসা যায় 
    ঠিকানা খুঁজে পাওয়া ঘুড়ির মতোন, ভালোবাসার লাটাইয়ের কাছে।     
    নিখিল, তুই পারিস কি পাঠাতে একটা ফেরত টিকেট 
    জীবনের ওপার থেকে জীবনটাকে দেখব বলে!  

    কবিতা
    27 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:১৪ অপরাহ্ণ

    বাস্তুহারা স্মৃতিদের চিহ্ন

    অতি বিস্তারের তুলাদণ্ডে স্মৃতির চিহ্ন মুছে, মানুষেরাই বাস্তুহারা স্মৃতিরে ডাকায়ে বলি- “ওগোওও যাবার কালে  শুনে যাও! ‘আমি নই, আমরা নই, আমরা নই ;

    এর জন্য ঐ, বেহুদা মুনাফাই দায়ীই…!’

    আমরা মানুষেরা কেউ কেউ মাতৃ মায়ার চিহ্নে,পিতৃ মায়ার চিহ্নে,

    শরিকানার জ্যামিতিক চিত্র এঁকে হঠাৎ-ই বিশিষ্ট হই! 

    দীর্ঘ সিদ্ধির শতরঁচে টেক্কা দানের চাতুরীপনায় সামন্ত নৃপতিরা হাত-পা, আবেগ খুলে মাথারে যতনে রাখি । হাঁটবার আনন্দ হারায়ে তাহারেই ডেকে বলি-ওগোওও, শুনে যাও, আমি নই, আমরা নই; আমরা নই; আমরা নই; এর জন্য ঐ  বেদ্দপ পুঁজিতন্ত্রই দায়ীইই…!

    তারপরও বাস্তুহারা স্মৃতির চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করে;  অভিযোজ্য মমতার ততোধিক সম্পূট খুলে; গনগনে চিতায় পুড়ায়া ক্যান কেউ বিলাপ করে কও! ক্যান কেউ  বিনুনি পেঁচায়ে কাঁন্দে ! 

    ক্যান বলে ফের,’মনে রাইখ্যো এই আমারে’…!

    কবিতা
    24 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১১:১৪ অপরাহ্ণ

    অবেলার বাজী

    কি আর হবে হিসাব কষে, ভিরেছি এসে অবেলায়।

    সময় কত চইলা গেছে, দিনে দিনে হেলায় হেলায়।

    রঙ্গিন যত স্বপ্ন সবি, সাদা কালোয় মুড়িয়ে।

    স্বপ্নের সাথে বাজি খেলা, চলে কি আর খুড়িয়ে!

    আমার এখন সন্ধা বেলা, আল্লার নামে যায় চলে।

    কেউ কি আর সাথ দিবে, রঙ্গিন আলোয় হেসে খেলে।

    আমি এখন ফেলনা খেলনা , আমায় পাশে রাখাই দায়।

    দুরে দুরে রাখাই ভাল, সম্মান নিয়ে বাঁচা যায়।

    বুঝবে না কেউ কোনদিনও, আকুল মনের কি আশা

    ব্যর্থ চেষ্টায় ব্যস্ত সবে, মিটবে না মোর পিপাসা।

    দুরে ঠেলার মিছিল চলে, চলে মিছিল আজ গোপনে।

    খুব বেশি হই খুশি, সুখ দেখিলেও স্বপনে।

    ঘুনে ধরা জীবন নিয়ে, যায় কি বলো আর চলা।

    পাহাড় সমান ব্যাথা আমার, সকলি কী যায় বলা।

    ভেবে দেখ কি আর হবে, সবইতো ভাই নিয়তি।

    আমার তোমার সবার বেলায়, হয় যে এমন পরিনতি।

    আর কত দিন! আর কত কাল!, স্বজতনে রব পড়িয়া।

    জীবন থেকে বাঁচার উপায়, উপায় শুধুই মরিয়া।

    এখন শুধুই আশায় থাকি, ডাকবে কবে দয়াল সাঁই।

    ফল কবে আসবে আমার? এ দুনিয়ার পরীক্ষায়।

    কবিতা
    Comments Off
    22 Views

    জাকির আহমদ

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

    জাকির আহমদ এর ছড়াগুলো 

    হামার অমপুর

    অমপুর হামার অঙ্গে ভরা
    অঙ্গীন হামার মন
    অঙ্গীন দ্যাশোৎ হামার আছে
    সাত আজার ধন।

    বেগম ওকেয়ার জন্ম হইল
    হামার অমপুরোত
    এশশাদ মামুর জন্মও কিন্তু
    হামার বাড়ির গোড়োত।

    প্রধানমন্ত্রী শ্যাখ হাসিনা
    তায়ো হামার নোক
    বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার
    জন্যে হামার শোক।

    (২)

    দেশটাতো ভাই আমার দেশ
    আমার মাতৃভূমি
    এদেশেতেই থাকবো আমি
    বাঁচবো যতদিনই।

    এদেশ আমার এদেশ তোমার
    এদেশ তাদের নয়
    তাদের সাথে লড়তে হবে
    আসবে মোদের জয়।

    জঙ্গী বা তার সঙ্গীরা হোক
    থাকুক যতই শক্তি
    তাল পাবে না উড়ে যাবে
    দিলে একটা চুটকি।

    (৩)

    সত্য হলে শক্তি থাকে
    মিথ্যে হলে ভয়
    সত্যকেই ধারণ কর
    মিথ্যেকে নয়।

    মিথ্যে দিয়ে সাময়িক
    ভালো থাকা যায়
    সত্যের জয় হবেই হবে
    জেনো নিশ্চয়।

    (৪)

    একটি ছড়ার মন ভালো নেই
    একটি ছড়ার ভালো
    একটি ছড়া আলোয় ভরা
    একটি ছড়া কালো।

    একটি ছড়ার কষ্ট অনেক
    একটি ছড়া দুঃখের
    একটি ছড়ায় দুঃখ যে নাই
    সেই ছড়াটি সুখের।

    (৫)

    শিশুরাতো ফুলের মতো
    ছোট্ট সুন্দর ফুল
    ফুলগুলোকে ভুল শিখিয়ে
    আমরাই করি ভুল।

    শিশুরাতো পাখির মতো
    ছোট্ট সুন্দর পাখি
    সেই পাখিদের আঁখি দিয়ে
    দেখাই মোরা ফাঁকি।

    শিশুরাতো পবিত্র হয়
    নিষ্পাপ হয় মন
    সেই শিশুদের ভালো কিছু
    শেখাই প্রতিজন।

    22 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২১ এপ্রিল, ২০২৩ , ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

    রেজাউল করিম জীবন এর ছড়াগুলো

    ছড়া কবি

    চলছে প্রেম ছড়ার সাথে
    সকাল দুপুর রাতে
    লিখতে ছড়া খাতা কলম
    রাখছি নিজের হাতে।

    লিখবো ছড়া দেশকে নিয়ে
    নিজেকে দিবো সঁপে
    ব্শ্বি জানুক ছড়ার দেশ
    ছন্দ মালার জপে।

    ছড়ায় ছড়ায় তুলবো ফুটে
    আমার দেশের ছবি

    শস্য শ্যামল সোনার বাংলা
    বলবে আমায় কবি।

    (২)
    বন্ধু

    বন্ধু আমার বাবা-মা
    বন্ধু ভাই-বোন
    বন্ধু আমার প্রতিবেশী
    বন্ধু আপনজোন।

    বন্ধু আমার খেলার সাথী
    বন্ধু সহ-পাঠি
    বন্ধু আমার বিপদ দেখে
    বাড়ায় হাতের লাঠি।

    বন্ধু আমার সুখে দুখে
    জীবন পাশে থাকা
    বন্ধু মানে জীবন দিয়ে
    আগলে কাছে রাখা।

    বন্ধু হবে এমন বন্ধু 
    বন্ধু চিরপাশে
    বন্ধু যেন না হয় কভু
    কষ্ট দেখে হাসে।

    (৩)
    জাওয়াদ বাবুর স্বপ্ন

    জাওয়াদ বাবু স্বপ্ন দেখে
    দেশটা কেমন হবে
    মানুষ মাঝে হিংসা নয়
    শান্তি শুধু রবে।

    দেশটা হবে স্বপ্নপুরী
    সৎ মানুষের চাষ
    সত্য কথার ফুলঝুরিতে
    মিথ্যে হবে নাশ

    সড়কপথে ঝরবে নাতো
    অকালে কারো প্রাণ
    মাদকছেড়ে ছেলেরা সব
    ছড়াবে ফুলের ঘ্রাণ।

    ঘুষ রবে না অফিস পাড়ায়
    চিটিং ফিটিং বন্ধ
    রাজনীতিতে সুদিন রবে
    বন্ধ হবে দ্বন্দ্ব।

    নিজের কাজে ব্যস্ত রবে
    অন্যকে নিয়ে নয়
    নিজের ভালো দেশের ভালো
    এমন ভাবনাতে রয়।

    জাওয়াদ বাবুর স্বপ্ন শুনে
    মা বাবা হন খুশি
    ভালো থেকে কাজ করো
    এমন স্বপ্নই পুষি।

    22 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২৬ মার্চ, ২০২৩ , ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

    সৈনিক

    আচ্ছা তারা কি জানে আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক? তার চেয়েও বড় কথা তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা? জানলে নিশ্চয় এই আচরণ তারা আমার বৃদ্ধ বাবার সাথে করতে পারতেন না। আমি বাবার ছোট মেয়ে। ছোট বলতে সবার ছোট। মা কয়েকবছর আগে গত হয়েছেন। তিনি গত হয়ে ভালোই হয়েছে। বাবা এখন একজন রিটায়ার্ড স্কুল শিক্ষক। আগের মতো আয়-রোজগাড় তার নেই। আমাদের বাবা-মেয়ের চলতেই কত কষ্ট হয়। আমি জানি মা বেচে থাকলে মায়ের আরো কষ্ট হতো। তিনি আবার বেশি কষ্ট সইতে পারেন না। সইতে পারলে কি আর এতো তাড়াতাড়ি ওপারে যাওয়ার টিকেট কাটতেন? ভাবির সাথে সেদিন মায়ের একটু তর্ক লেগেছিল। মা-বাবার প্রেমের বিয়ে না তবুও মা বাবাকে খুব ভালোবাসতো। বাবা তার সারাটা জীবন পার করলেন মানুষকে শিক্ষা দিয়ে। সেই বাবাকে কেউ যদি লেখাপড়ার বিষয়ে জ্ঞান দেয় তা কি বাবার ভালো লাগবে নাকি মায়ের? বাবা ধৈর্যশীল মানুষ তাই তিনি সয়ে গেছেন কিন্তু মায়ের তো আর অত ধৈর্য নেই। তাই ভাবির সাথে তর্কটা লেগে যায়। ভাইয়া রাতে ফিরলে ভাবি ভাইয়াকে কী যে বলল, তা শুনেই ভাইয়া সেকি রাগ মায়ের উপর। মায়ের বড় ছেলে ভাইয়া। খুব আদর করত মা ভাইয়াকে। ভাইয়া নাকি বাবা-মার কত সাধনার ধন। বিয়ের সাত বছর পরও যখন সন্তান হচ্ছিল না তখন কত তাবিজ-কবজ করে নাকি ভাইয়াকে পায়। যাহোক ধান ভাঙতে আর শিবের গান না গাই। সেদিন ভাইয়া মাকে অনেক কথা শুনিয়েছিল। ওই যে বললাম মায়ের আমার ধৈর্য কম ছিল। তাই ছেলের কথাগুলো বোধ হয় তার খুব লেগেছিল। কোথায় লেগেছিল কে জানে। মা রাতে ঘুমিয়ে পড়লেন কিন্তু পরদিন সকালে আর তার ঘুম ভাঙল না। চিরতরে ঘুমিয়ে গেলেন আমার মা। সেই থেকে আমার বাবার একমাত্র চিন্তাও আমি ভরসাও আমি। অন্য ভাই-বোনেরা যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আমার তো আর সংসার নেই তাই আমি সারাদিন বাবাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আমার সংসার থাকবেই বা কি করে? কাকসুন্দরী মেয়েদের কি কেউ বিয়ে করতে চায়? কেউ চাইলেও তাদের বাড়তি চাওয়া পূরণ করার সাধ্য যে বাবার নেই।

    বাবাকে  নিয়ে আমি এখন আমাদের জেলার সরকারি মেডিকেলে আছি। বাবার শ্বাসকষ্টটা অনেক বেড়ে গেছে। শীতে মেডিকেলে রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই বাবার স্থান হয়েছে ফ্লোরে। আমি কর্তব্যরত একজন নার্সকে বললাম একটা বেডের ব্যবস্থা করে দিতে। তিনি আমাকে বললেন-আপনারা কি এমন ভিআইপি লোক যে বেড না হলে আপনাদের চলবেই না। বেশি অসুবিধা হলে কেবিন ভাড়া নিন। অনেক আরামে থাকবেন।

    আমি বলতে চাইলাম, আমার বাবা একজন………

    কিন্তু বাবা আমাকে ইশারা করে নিষেধ করলেন। বাবার কথা -যুদ্ধ করেছি আমার দায়য়বদ্ধতা থেকে, দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করতে। এখানে সেখানে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলে সুযোগ সুবিধা লাভের জন্য নয়।আর দশজন লোক যেভাবে বাঁচে আমিও সেভাবেই বাঁচতে চাই।

    বাবা একটু সুস্থ হলে আমি বাবাকে নিয়ে গ্রামে যাওয়ার জন রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। কিন্তু কি এক কারনে পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের রিক্সাটা ছিল সবার সামনে। রিক্সাওয়ালা অহেতুক বেল বাজিয়ে চলেছেন। ডিউটিরত পুলিশটা এসে রিক্সাওয়ালাকে কষে একটা চড় দিলেন। ট্রাফিক পুলিশ না থানার পুলিশ। বাবা রিক্সাওয়ালার পক্ষ নিয়ে পুলিশকে বললেন, বাবা ধাপ্পড়টা না দিলেও পারতেন। পেশায় না হোক আপনার থেকে তো বয়সে বড়, তার গায়ে হাত তোলা কি ভালো কাজ?

    পুলিশটার আত্মসম্মানবোধ হয় একটু বেশি। উনি আমার বাবার কলার টেনে ধরে রিক্সা থেকে নামালেন। “আমাকে আইন শেখাও বেটা, আমাকে আইন শেখাও? এবার দেখ কেমন লাগে।”

    আমি বাবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু উনি আমাকেও একটা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিল। বাবা তার স্বভাব সূলভ উত্তর দিলেন- আমিতো আইন নিয়ে কিছু বলিনি। আপনি যে কাজটা করলেন সেটা না করলেও পারতেন তাই বলেছি। ক্ষমতা হাতে পেয়ে তো রীতিমতো তার অপব্যবহার করছেন আপনি। একজন রিক্সাওয়ালা বেল বাজালে তার গায়ে হাত তুলতে হবে এটা কোন আইনে আছে বলেন তো।

    মাত্র কয়েক সেকেন্ড। আমার বাবা তার উঁচু মাথা নিচু করে ফেললেন। অথচ জীবনে কখনো আমি বাবাকে মাথা নিচু করে হাঁটতেও দেখিনি। মাথা নিচু করে নাকি ভীতুরা হাটাচলা করে। অথচ আজ আমার সাহসী বাবা মাথা নিচু করে আছে আমার সামনে। চুপচাপ বাবা রিক্সায় উঠে এল। কিছুক্ষণ পর রাস্তা খুলে দেওয়া হলো। আমরা চলে এলাম। বাড়িতে এসে বাবা সবসময় চুপচাপই থাকত। মেয়ের সামনে থাপ্পড় খাওয়া কোনো কাপুরুষ বাবাও সহজে হজম করতে পারবে না। আর আমার বাবা তো সাহসী বাবা, একাত্তরের বীর সৈনিক। তিনি কীভাবে এই লজ্জা হজম করবেন। একসপ্তাহও কাটল না। এই লজ্জা নিয়ে আমার বাবার পক্ষে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা কতটা অসম্ভব ছিল তা একমাত্র আমি জানতাম। তাই তিনিও মায়ের পথ অনুসরণ করলেন। কাউকে কিছু বুঝতে দিলেন না। নিঃশব্দে চলে গেলেন। বাবা মারা যাওয়ার কথা শুনে সেনাবাহিনীর লোকজন এসেছিল আমার বাবাকে সম্মান জানাতে। আমি তাদের তা করতে দেইনি। এতে আমার অন্যান্য ভাইবোন এমনকি গ্রামবাসীও আমার উপর চরম ক্ষেপেছিল। কেন করতে দিব? যে সম্মান আমার বাবা বেঁচে থাকতে পায়নি মরে গিয়ে সেই সম্মান সে কী করবে? কী লাভ সেই সম্মান পেয়ে? সবাই জানে আমার বাবা বার্ধক্য কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মারা গেছে। কিন্তু আমি তো জানি বাবা কেন মারা গেছে। বাবার প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস, উদাস চাহনি আমাকে বারবার শিহরিত করত, আমাকে ভাবাতো, আমাকে ভয় পাইয়ে দিত। একজন মানুষ কীভাবে তিলে তিলে শেষ হয়ে যায় আমি আমার বাবাকে দেখে তা বুঝেছি।

    একজন  সাহসী যোদ্ধা যিনি যুদ্ধ করে  দেশের জন্য বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন কিন্তু জীবন যুদ্ধে তিনি পরাজিত সৈনিকের মতো মাথা নত করে চলে গেলেন এই পৃথিবীর মায়াজাল ছিন্ন করে।

    সৈনিক
    Comments Off
    30 Views

    ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ

    ২৬ মার্চ, ২০২৩ , ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

    উপমহাদেশে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার শুরু যেভাবে

    ১৮৩৫ সালে উপমহাদেশে সর্ব প্রথম ‘কলকাতা মেডিকেল কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস সমমান কোর্সে বাংলা ও বিহারের হাতে গোনা অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পেত। পাকিস্তান শাসনামলে পূর্ব বাংলার কিছু কিছু জায়গায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রচলন শুরু হয়। সেই সাথে আস্তে আস্তে পূর্ব বাংলায় ‘অ্যালোপ্যাথিক’ চিকিৎসা বিদ্যার উন্নতি হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ১৯৪৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক এম.বি.বি.এস ডিগ্রি, ১৯৬১ সালে দন্ত চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক বি.ডি.এস ডিগ্রি চালু হয়। এই স্নাতক ডিগ্রিগুলো পরিচালিত হচ্ছে এদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।

    পরবর্তীতে এদেশে চিকিৎসাবিদ্যায় ও দন্ত চিকিৎসাবিদ্যায়  স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চালু হয়। সেই সাথে ১৯৫৭ সালের দিকে ব্রিটিশ- পাকিস্তান পিরিয়ডের এদেশের মধ্যম মানের এল.এম.এফ, এম.এম.এফ চিকিৎসকের কোর্স দু’টি তৎকালীন সরকার বন্ধ করে দেয়। তবে, ঐ কোর্স বন্ধ করার পূর্বে তৎকালিন পূ্র্ব পাকিস্তান- বাংলাদেশ সরকার ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজে ( প্রাক্তন ঢাকা মেডিকেল স্কুল) ব্রিটিশ-পাকিস্তান পিরিয়ডের চিকিৎসাবিদ্যায় লাইসেন্সশিয়েট অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি, মেম্বার অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (এল. এম. এফ; এম. এম. এফ) সার্টিফিকেট কোর্সধারী ডিপ্লোমা সমমান চিকিৎসকদের ২ বছর মেয়াদে কনডেন্সে এমবিবিএস কোর্স করিয়ে প্রশাসন, জেলা ও মহুকুমা হাসপাতালে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই চিকিৎসকরা অনেকেই মেডিকেল অধ্যাপকও হয়েছেন।

    [চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস: আদি থেকে আঞ্চলিক’ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি থেকে]

    উপমহাদেশে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার শুরু যেভাবে - ডা. ফেরদৌস রহমান পলাশ
    27 Views

    মজনুর রহমান

    ২৬ মার্চ, ২০২৩ , ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

    মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংক: রক্তের মতো দামি

    হঠাৎ মস্তিষ্কপ্রসূত কিছু আইডিয়া বড়ো কিছু হয়ে ধরা দিতে পারে। ‘মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংক’ আমাদের এমনই হঠাৎ জন্ম নেওয়া এক স্বপ্নের নাম। আমরা হঠাৎ করে ভাবতে শুরু করে করলাম, সামাজিকভাবে এদেশের মানুষ এখন রক্তদানে অনেক সচেতন হলেও রক্তের প্রাপ্যতা এখনও শতভাগ হয়ে উঠতে অনেক দেরি। সেক্ষেত্রে এমন কোনো প্লাটফর্ম যদি হাতের কাছে থাকে যেখানে চাইলেই কেউ একজন রক্তদাতা খুঁজে নিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, তাহলে কেমন হয়। এই চিন্তা থেকেই মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা।

    এখন আমাদের এই পোর্টালে অনেকেই নিজেদের রক্তের গ্রুপ নিবন্ধন করছেন। আবার অনেক মানুষ রক্ত খুঁজে পাচ্ছেন- সেটিও আমরা জানতে পারছি।

    খুব সম্প্রতি শুরু হওয়া এই উদ্যোগে যে সাড়া আমরা পাচ্ছি তাতে আমাদের তৃপ্তি অনেক গুণ বেড়ে গেছে। গত মাসখানেক সময়ের মধ্যে এই পোর্টালে প্রায় দুইশো মানুষ নিজেদের রক্তদাতা হিসেবে নিবন্ধন করেছেন।
    এখন আমরা পরিকল্পনা করছি তরুণদের নিয়ে ক্যাম্পাসভিত্তিক ছোটো ছোটো কমিটি করে দেবার, যাতে করে অনলাইন ছাড়াও রক্তদাতাদের মধ্যে মোটামুটি সহজ পন্থায় যোগাযোগ করা যায়।

    সম্পূর্ণ মানবিক এই উদ্যোগে আপনিও সঙ্গী হতে পারেন শুধু রক্তদাতাদের তথ্য নিবন্ধন করে। যে কেউ এখানে তথ্য নিবন্ধন করতে পারবেন নিজের এবং অন্যের।

    আসুন নিজে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ হই অন্যকে উদ্বুদ্ধ করি। নিজের অজান্তেই হয়তো আপনি বাঁচিয়ে দিতে পারেন অসংখ্য প্রাণ।

    যে রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে, সেই রক্তেরই আরেকটি অনন্য উদ্যোগ সফলতা পাবে সবার আন্তরিক সহযোগিতায়।

    মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংক

    মজনুর রহমান
    সম্পাদক, মুগ্ধতা ডট কম।

    মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংক - রক্তের মতো দামি
    25 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২৬ মার্চ, ২০২৩ , ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

    একটি তর্জনী উচানো কবিতা

    গল্পের শুরু— তারপর
    সময়টা সাতই মার্চ উনিশ শ একাত্তর 
    সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ
    (আজ যেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ)
    সেদিন সেখানে তর্জনী উচিয়ে 
    পাঠ হয়েছিলো একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা
    উচ্চারিত হয়েছিলো
    একটি ভুবন কাঁপানো হৃদয়স্পর্শী ভাষণ।
    সে কবিতা যেন
    একটি জাতির জীবনের সুখ-দুঃখের অভিধান
    সে কবিতা যেন
    একটি জাতির হাসি-কান্নার অনাবিল ইতিহাস।
    সেদিন সে উদ্যানে
    সিংহের মতো গর্জে উঠেছিলো
    যে কণ্ঠ
    দীপ্ত প্রত্যয়ে ধ্বনিত হয়েছিলো যে ভাষণ
    প্রকম্পিত করেছিলো মাঠ-ঘাট-প্রান্তর, আকাশ—বাতাস 
    অমর অজর  সেই কবিতার 
    মহান কারিগর ছিলেন—
    হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি 
    আমাদের মহান নেতা
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 
    সেদিন সে কবিতা শোনার জন্য
    এ উদ্যানে এসেছিলো
    সারাদেশ থেকে অগনন মানুষ—
    যোগ দিয়েছিলো
    কামার-কুমার, 
    জেলে-তাঁতি, কুলি-মুজুর
    ছাত্র-জনতা অফুরান। 
    কানায় কানায় ভরে উঠেছিলো এই মাঠ
    নেমেছিলো জনতার ঢল।
    কি এক উত্তাল ব্যকুলতায়
    সে কবিতা শোনার জন্য
    কী এক গভীর উচ্ছাসময় আবেগে 
    সেদিন সে ভাষণ শোনার জন্য 
    অপেক্ষা অধীর জনতা 
    প্রহর গুণছিলো পিনপতন নিরবতায়।
    অবশেষে  
    সকল অধীরতা ভেদ করে 
    সকল নীরবতা ভঙ্গ করে
    বজ্র কণ্ঠে
    উচ্চারিত হয়েছিলো
    কাঙ্ক্ষিত সেই অমর কবিতা
    গর্জে উঠেছিলো 
    কাঙ্ক্ষিত সেই অগ্নিশপথ ভাষণ—
    “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম 
    এবারের সংগ্রাম 
    আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম “

    এ যেন এক মাঠ জনতার
    লালিত স্বপ্নের অনিবার্য প্রত্যাশা
    কাঙ্ক্ষিত মুক্তির উম্মুক্ত স্মারক। 
    দিকে দিকে চারিদিকে দিগন্তভেদী সে কবিতা
    সে কবিতার প্রতিটি শব্দ
    অবিনাশী হয়ে 
    ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা বিশ্বে—
    তারপর—
    অশেষ সে কবিতার 
    প্রতিটি শব্দ,প্রতিটি পঙক্তি 
    আজও আমাদের নিত্য পাঠের  
    অনির্বাণ বর্ণমালা।

    কবিতা
    25 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২৫ মার্চ, ২০২৩ , ২:৩৬ অপরাহ্ণ

    পরিবৃত

    তুলির আঁচড়ে ক্যানভাসের বুকে কি এঁকে চলেছো চিত্রকর! নিদ্রামগ্ন কবির বিক্ষত হৃদয়, বিখন্ড নৈশ প্রহরে

    মাকড়শা খামারে যে শুধু আবাদ করে খন্ড প্রেমের তন্দ্রা আর হিসেব কষে বিপন্ন কবিতার খাতায়। নিঃসঙ্গ

    জ্যোৎস্নায় সময় জল ভেঙে সর্বাঙ্গে মাখে যৌবন কাঁদা আর হৃদয় সুড়ঙ্গে অনাবাদী প্রেম নিয়ে অপেক্ষারত

    সঙ্গম প্রার্থনায়। চিত্রকর ক্যানভাসটি ফ্রেমহীন! মেঘরাঙা হস্তে ফুটালে কি খন্ডিত ব্যথার সম্মিলিত স্বাক্ষর,

    নাকি সেই নিঃসঙ্গ পথ যা্ হাঁটছে কেবলি সূর্যাস্ত বরাবর! অবশেষে শোনো ঐ জড় ক্যানভাসটির রঙসকলই

    কেবল পারে ঢেকে দিতে গোধূলির ক্ষয়ে যাওয়া যৌবন আর শূন্য দেয়ালের অসারতা।

    পরিবৃত
    32 Views

    রবীন জাকারিয়া

    ২৫ মার্চ, ২০২৩ , ২:৩৫ অপরাহ্ণ

    শুধু তোমারই নাম

    সেই কবে কিংবা কোন কৌতুহলে 

    এক ডায়েরি লিখেছিলাম আমি

    মনে পড়েনা একদম৷

    ডায়েরির প্রতিটি পাতায়

    শৈশব-কৈশোর-যৌবনের স্মৃতিচারণ,

    ইনা-মিনা-টিনা আরো কত

    প্রেয়সীর নাম৷

    প্রতিটি প্রেমে কত শর্তের কসম৷

    এটা থাকলে ওকে আর 

    সেটা থাকলে তাকে পাওয়া যায়!

    এখন প্রেমে চলছে বানিজ্যিকিকরণ, 

    লেনা-দেনার পারস্পরিক চুক্তি যেন!

    হাতে হাত, অধরে অধর 

    কিংবা শরীরে শরীর রাখার মূল্যগুলোও

    মেটানো যায় “গিফট’ নামক এক অদ্ভুত মূল্যে!

    যেমন করে ঘুষের নাম হয়েছে ‘মিষ্টির টাকা’!

    পতিতাপল্লি ভেঙ্গে বাড়িয়েছি ভাসমান পতিতা

    আর লম্পটের লঙ্গরখানা৷

    সহজে এখন প্রেমিক হওয়া যায় 

    কিন্ত জীবনসঙ্গী নয়৷

    কোনো শর্তই পূরণ করতে পারিনি জীবনে

    তাই পাওয়া হয়নি ইনা-মিনা-টিনাদের৷

    তোমাকে যেদিন বিয়ে করলাম

    পরিবারের চাপে৷

    মনে হতো মেরে ফেলি কোনো এক রাতে৷

    কত অযত্ন আর অবহেলা করেছি তোমায়৷

    কিচ্ছুটি না বলে 

    শুধু সয়ে গেছো নিরালায়৷

    আজ এই মধ্যরাতে 

    আমার হাতে সেই ডায়েরিখানা৷

    নস্ট্রালজিক না হয়ে বরং ক্ষিপ্ত হাতে

    ছিঁড়ে ফেলি ডায়েরির কত শত পাতা৷

    আগুনে পুড়িয়ে ফেলি ছেঁড়া কাগজের সাথে

    ইনা-মিনা-টিনাদের নাম চিরতরে৷

    ‘নিউ লুক’ প্রাপ্ত ডায়েরির 

    অবশিষ্ট একটি পাতায় লিখে রাখলাম 

    শুধু তোমারই নাম৷

    শুধু তোমারই নাম
    Comments Off
    67 Views

    এস এম আনোয়ার আজাদ

    ২৫ মার্চ, ২০২৩ , ২:২৬ অপরাহ্ণ

    মুক্তি নেব

    আমি পাগল হবো, মাতাল হবো, একদিন স্বাধীন হবো—ই হবো।

    পারবেনা কেহ আপন হতে, চাইবে না আর কাছে পেতে

    আমি পাখি হবো, উড়াল দেব ঐ আকাশ ফুড়ে

    জরাজীর্ণ এ পৃথিবীকে দেখবনা আর আপন করে।

    গাইব আমি স্বার্থের গান, আমি বাউল হবো।

    থাকবেনা কো পিছুটান, সন্ন্যাসী জিবন বেছে নেব।

    হবোই আমি! ঘর ছাড়া এক পথিক হবো।

    যাযাবরের জীবন মত হাসি মুখে মেনে নেব।

    আমার আমিকে খুন করে, জীবন থেকে পলাতক হবো।

    আমি খুনি হবো। আমার জন্য আমি ভীতি হবো।

    শৃঙ্খলার বেড়ি ছিড়ে আমি উচ্ছৃঙ্খল হবো।

    আমি মন খুলে হাসব।

    হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি দেব।

    দৃষ্টির সীমানায় চলে যাব। প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেব।

    পিছুটান, মান-অভিমান সব ঝেড়ে ফেলে,

    আমি বন্য হবো, আমি অনন্য হবো।

    নিত্য নিয়ম থেকে মুক্তি নেব, আমি এক অন্য আমি হবো।

    মুক্তি নেব
    38 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২৫ মার্চ, ২০২৩ , ২:২১ অপরাহ্ণ

    এস এম খলিল বাবুর তিনটি ছড়া

    ‌১.

    তোমার ঘ‌রে আ‌লোর নাচন

    এখন চে‌য়ে দে‌খি

    ‌চোখ মে‌লি‌য়ে ফ্যাল‌ফে‌লি‌য়ে

    শুধুই চে‌য়ে থা‌কি!

    আমারও‌তো ই‌চ্ছে ক‌রে 

    ‌তোমার কা‌ছে বস‌তে

    আমারও‌তো ই‌চ্ছে ক‌রে

    একটু খা‌নি হাস‌তে।

    আমার ম‌নের স্বপ্নগু‌লো

    ‌কে ক‌রে‌ছে পণ্ড

    প্রশ্ন জা‌গে ভালবাসায়

    আজ কে বে‌শি ভণ্ড।

    (২)

    ভালোবাসি তাকে

    কত কথা মনে পড়ে 

    মনে পড়ে যাকে

    ভালোবাসি ভালোবাসি

    ভালোবাসি তাকে ॥ 

    তাকে ছাড়া বাঁচি না 

    তার হাসি  দেখি না 

    তাকে নিয়ে হৃদয়টা করে হইচই

    আজ তাকে হারানোর ব্যথাগুলো সই ॥

    আজ থাকি দু’জনে দুই দি‌কে মুখ

    আমি নেই ব্যথাগুলো সে খোঁজে সুখ।

    (৩)

    ভাষার লড়াই চলে

    বায়ান্নতে ভাষার লড়াই

    একাত্তরে যুদ্ধ

    স্বাধীনতা পেলাম বলে

    পাকবাহিনী ক্ষুব্ধ।

    লড়াই চলে প্র‌তি‌দি‌নেই

    লড়াই চলে মুক্তির

    লড়াই চলে বানান নি‌য়ে

    লড়াই চলে যুক্তির॥

    এস এম খলিল বাবুর তিনটি ছড়া
    28 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ২৫ মার্চ, ২০২৩ , ১:০৪ অপরাহ্ণ

    বনলতার বিয়ে

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে নিয়মিত চাকরি প্রার্থীদের দীর্ঘ লাইন। বনলতার গা শিউড়ে ওঠে এই লাইন দেখে। এক বছর আগেও সে এই লাইনে নিয়মিত দাঁড়াত। অন্য কোথাও এত ইন্টারভিউ দেয়নি। ব্যাংকেই সবচে বেশি দিয়েছে। তার ধারণা এখানেই সবচেয়ে নিরাপদ চাকরি পাওয়া যায়। সেটা সত্যিও হয়েছে। সে একটা সরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আজ।

    অনেক লড়াই করতে হয়েছে তার। সফলতার খবর গ্রামের চারদিকে এখনও উড়ছে। বয়সও অনেক হলো। এখন বিয়ে দরকার। বনলতার পাত্র মেলা কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতে নমশুদ্র হওয়ায় যোগ্য পাত্র মিলছে না। বনলতার বেশ তাড়াও আছে বিয়ের। সে গভীরভাবে দীর্ঘশ^াস নিতে পারে- চাকরিটার জন্য। তার বিশ^াস বিয়ে থা হবে এক সময়। সুখে দিন কাটাবে। কিন্তু পাত্রের তীব্র আকালে তার অনেক কলিগ বলে, দেশে পাত্র না পেলে ভারতে যান, ওখানকার ছেলেকে বিয়ে করুন। সরকার অনুমতি দেবে নিশ্চয়।

    বনলতার কেমন যেন লাগে। দেশের ছেলে ছাড়া মন কোথাও সায় দেয় না। নিজ জাতে তার সমমর্যাদার ছেলে নাই-এটা সে ভালোভাবেই বুঝতে পারছে। এই কারণে যাকে তাকে বিয়েও করতে পারছে না। মহাবিপদে সে। মেয়ে কলিগরা টিপ্পনি কাটতে কাটতে তাদেরই বিরক্ত লেগে গেছে। ছেলে কলিগরা মজা নেয় শুধু। একবার তো বনলতা বিরক্ত হয়ে এক মেয়েকে বলেই ফেলেছে, আপনিও তো যাকে তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন না। আমাকে কেন জোর করেন?

    মেয়ে কলিগটা প্রতি উত্তরে বলে, দেখুন, প্রচুর অফার পাচ্ছি তাই যাচাই-বাচাই করতে সময় লাগছে।

    বনলতা সমবয়সী সেই কলিগকে বলে, আপনার প্রচুর অফার তাই যাচাই বাচাই করতে সময় লাগছে আর আমার তো কোনো পাত্রই খুঁজে পাচ্ছি না তাই সময় লাগছে। ব্যাপারটা দু’জনের একই-সময় লাগছে কোনো না কোনো কারণে। এটা নিয়ে প্যাঁচ লাগানোর কি আছে?

    এই কথা শোনার পর কোনো কলিগই আর এ নিয়ে কথা বলতে আসেনি বনলতার সাথে।

    ২ ॥

    বাবা অসুস্থ হওয়ায় বনলতা বাড়িতে । বাংলা সিনেমায় মুমূর্ষু বাবা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে যেমন মরতে চান বনলতার বাবারও আকুতি তেমন। আশ-পাশের লোকজন মুসলিম, বাদবাকি বামন আর হ্মত্রিয়। বনলতার বাবা দ্রুত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলেন। ফলে বিয়ের করুণ চাপটা কমে গেলো আপাতত। বনলতা আবার ঢাকায় চলে এল- বাবাকে পাত্র দেখার জোর তাগদা দিয়ে। কিন্তু বাবা তো মনে হয় মেয়ের পাত্র খুঁজতে খুঁজতে আবারও অসুস্থ হয়ে যাবে…

    অফিসে লাঞ্চ বিরতির সময় বনলতার এক বিবাহিত সিনিয়র কলিগ ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলতে বলতে তাকে প্রেমের অফার দিয়ে বসল। সে হেসে উড়িয়ে দিলো। অফিস শেষে বাসা আসার পথে সেই কলিগের সাথে আবার দেখা। দুজনে চা খেতে বসল। বনলতা সিনিয়র কলিগকে বুঝিয়ে বলল, এটা অসম্ভব।

    – কেন?

    – ধর্ম।

    – কেউ জানবে না। এটা জাস্ট প্রেম। আর কিছু না।

    – এ নিয়ে আর কথা নয়, বনলতা বাই বলে চলে গেল।

    বৃহস্পতিবার অফিস শেষে এক সমবয়সী কলিগ চান্স পেয়ে চায়ের অফার দিলো বনলতাকে। সেদিনও থ্যাংকস বলে বাসার দিকে চলছে। এই কলিগ তার ডিভিশনের নয়- অন্য  একটা ডিভিশনের। নাম-আদিল। আদিল পিছু নিয়ে কাছে এসে বলল, কথা আছে।

    বনলতা বললো, কী কথা?

    – জরুরি কথা।

    – ফোনে জানান।

    ফোন নম্বর নেই জানালে আদিলকে ফোন নম্বর দিলো বনলতা।

     রাতে আদিল ফোন দিয়ে বললো, কাল তো শুক্রবার। আসুন রমনায় কথা বলি।

    – কখন?

    – সকালে আসুন। সারাদিন ঘুরব।

    – সকালে যেতে পারব না। বিকেলে ফ্রি থাকব।

    – তাহলে বিকেলে আসুন।

    – ওকে।

    পরের দিন রমনাতে আদিল আর বনলতার দেখা। এই কথা সেই কথার শেষে বিয়ের কথা। আদিল জানাল, আপনাকে আমার ভালো লাগে।

    বনলতা জানাল, আমারও একটু একটু আপনাকে ভালো লাগে।

    আদিল খুশি হলো, আগে জানাননি কেন?

    – এই সম্পর্ক ঠিক নয়।

    – কেন?

    – আমি হিন্দু আপনি মুসলিম।

    – তাতে কী?

    – সমাজের পরতে পরতে সমস্যায় পড়তে হবে।

    – কোনো সমস্যা হবে না যদি আপনি রাজি থাকেন।

    – কীভাবে?

    – আপনি মুসলিম হয়ে যান।

    অনেক আশায় অনেক সংকোচ নিয়ে আদিল বললেও এই প্রস্তাবে বনলতার কোনো ভাবান্তর নেই। বরং এতে আদিলই বিচলিত হয়ে গেল।  আর এ ধরনের প্রস্তাব তো বনলতার কাছে নতুন নয়।

    সে হেসে বলল, আপনাকে আমার ভালো লাগে তা আগে জানাতে পারিনি, অথচ আপনি কত সহজভাবে ভালো লাগার কথাটা জানালেন। আবার ধর্ম পাল্টানোর কথাও বললেন। আমি কিন্তু আপনাকে কখনও ধর্ম পাল্টানোর কথা বলছি না। ভালো লাগার কারণে আমি ধর্ম পাল্টালে আপনি কি পাল্টাবেন? আপনি কি হিন্দু হতে পারবেন?

    আদিল নানান যুক্তি দিতে লাগল তার ধর্মের পক্ষে। শ্রেষ্ঠত্বের ইতিহাস আবৃত্তি করতে করতে বললো, মানুষ অন্য ধর্ম থেকে মুসলিম হয়, মুসলিম থেকে অন্য ধর্মে যায় না।

    এক পর্যায়ে প্রেম-প্রণয়ের চেয়ে ধর্মপ্রচারটাই মুখ্য হয়ে উঠল রমনায়। সন্ধ্যা হয়ে এলে দুজন দুদিকে বিদায় নিয়ে চলে গেল।

    ৩ ॥

    জীবনের তাগিদে সাপে-নেউলে এক হতে পারে। ঠিক তেমনি এক তাগিদে বনলতার বিয়ে পাক্কা বামনের ছেলের সাথে। জাত-পাতের অনেক ব্যাপার থাকলেও একটা বিশেষ কোটায় তা এখানে কার্যকর হচ্ছে না। শতসহস্র সাধনার বিশ্বাস সুযোগ পেলে গোপনে একটু দম নেয়। ছেলে তো বেকার,  জাত-পাতের খরচা বহন করার সামর্থ্য নেই। তার দরকার এমন একজন যে তার বিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখার জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে। মেয়ে চাকরি করে- অনেক টাকা ইনকাম করে। আর কী চাই? কারণ ছেলের জাত বামন হলেও বলার মতো কোনো সম্পত্তি নেই। ছেলের বাবার যা ছিল তা কীভাবে যে খরচ হয়েছে সে খবর নতুন প্রজন্মের কেউ জানে না। চাকরিজীবী বনলতার মাধ্যমে যদি বামনের হারানো গৌরব ফিরে আসে এই গোপন আশায় বিয়েতে এক পায়ে রাজি ছেলেপক্ষ। আর অপরদিকে জীবন যৌবন উপভোগ করতে শুদ্র পরিচয় মগজ থেকে শুকাতে সময় লাগেনি বনলতার।

    বনলতার বিয়ে
    42 Views

    মুগ্ধতা.কম

    ১৯ মার্চ, ২০২৩ , ৭:৩৯ অপরাহ্ণ

    খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু

    যাকে বাদ দিলে বাংলাদেশের ইতিহাস বলা যাবে না তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

    তাঁর জন্ম হয় ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ বুধবারে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বনেদি শেখ পরিবারে। তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান তাঁর  নাম রাখেন খোকা। খোকা খুব আদরের নাম। দিনে দিনে বড় হয় খোকা। পায়ে হেটে সেই খোকা স্কুলে যায়। দুচোখ মেলে সে বাংলার মাঠ-ঘাট, পথ-প্রান্তর, সোনালি ধানের ক্ষেত দেখে এবং তাঁর চোখ জুড়িয়ে যায়। খোকা যত বড় হয় তত তার বন্ধুর সংখ্যা বাড়ে। খোকা প্রায় তার বন্ধুদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তার মাকে বলে মা ওদের খেতে দাও। মা আনন্দের সাথে তার বন্ধুদের খেতে দেন। বর্ষাকালে খোকার বাবা তাকে একটি ছাতা কিনে দেন। একদিন খোকা ছাতা ছাড়া ভিজে ভিজে বাড়ি ফেরে। কারণ সে তার ছাতা তার বন্ধু গোপালকে দিয়েছিল। শীতের সময় খোকার বাবা তাকে একটি চাদর কিনে দেন। একদিন চাদর ছাড়াই খোকা বাড়িতে আসে। মা বলে -” তোর চাদর কোথায়? ” খোকা বুক ফুলিয়ে বলে, “মাগো পথের ধারে গাছের নিচে এক বৃদ্ধ মহিলা শীতে কাঁপছিল।  আমি আমার চাদরটি তাকে দিয়েছি”। মা অবাক হয়ে খোকার দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং ভাবেন গরিব মানুষের প্রতি তার এত দরদ! ও নিশ্চয় বড় হয়ে মানুষের জন্য অনেক কিছু করবে। তিনি ছোটবেলা থেকে অনেক দয়ালু ও পরোপকারী ছিলেন।

    তিনি সাঁতার কাটতে পছন্দ করতেন। তিনি পশুপাখি ভালোবাসতেন।  তিনি বাড়িতে পুষতেন ময়না ও শালিক। তিনি বোনদের সাথে নিয়ে পুষতেন কুকুর ও বানর। তার প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। খোকার বন্ধু গোপাল করুণ সুরে বাঁশি বাজায়। খোকা বন্ধুকে বলে, “তোর বাঁশির সুরে আনন্দ নেই কেন রে গোপাল?” গোপাল হতাশ হয়ে বলে,”আমার চারদিকের মানুষের জীবনে আনন্দ নেই রে খোকা”। খোকা নিশ্চুপ থেকে ভাবে, তাইতো।  আমার চারদিকে এমন অবস্থাই তো দেখছি। এই অবস্থা বদলাতে হবে। দেশের নানা কথা ভাবতে ভাবতে বড় হয় খোকা। স্কুল পার হয়ে কলেজে ঢোকে সে। বাংলার মানুষের কথা, দেশের কথা তাঁকে নিয়ত ভাবায়। তিনি পার হন কলেজের চৌকাঠ। আরো বড় হন তিনি। যুক্ত হন রাজনীতির সঙ্গে। গরিব মানুষের দুঃখ দূর করার জন্য আন্দোলন করেন। আস্তে আস্তে তিনি হয়ে ওঠেন এই জাতির নেতা। দেশের মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে ডাক দেন স্বাধীনতার। 

    তিনিই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

    আবিদ হানিফ ফাইয়াজ,

    ৮ম শ্রেণি (ইংরেজি ভার্সন) 

    ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুল, রংপুর।

    কিশোর রচনা - খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু - আবিদ হানিফ ফাইয়াজ
    68 Views

    হাই হাফিজ

    ১৯ মার্চ, ২০২৩ , ৭:৩৮ অপরাহ্ণ

    মুজিব মানে

    মুজিব মানে বর্ণমালা, শিশুর মুখের হাসি,

    মুজিব মানে সদ্যফোটা গোলাপ রাশি রাশি।

    মুজিব মানে বায়ান্নতে ভাষার আন্দোলন,

    মুজিব মানে বাংলা ভাষা, অমূল্য রতন।

    মুজিব মানে উদার চিত্ত, মুক্ত নীলাকাশ,

    মুজিব মানে উদ্দীপনা, উৎসাহ, উচ্ছ্বাস!

    মুজিব মানে পাল তোলা নাও, ভাটিয়ালি সুর।

    মুজিব মানে প্রভাত রবি, শীতার্ত রোদ্দুর।

    মুজিব মানে বাঙালিদের শক্তি সাহস বল,

    মুজিব মানে তরুণ যুবার যুদ্ধে নামার ঢল।

    মুজিব মানে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ,

    মুজিব মানে মিটিয়ে দেয়া জুলুম দুঃশাসন।

    মুজিব মানে দুর্বার গতি, বাঙালির হিম্মত,

    মুজিব মানে স্বাধীনতা, রঞ্জিত রাজপথ।

    মুজিব মানে বাংলা মায়ের দুঃখ-কষ্ট শেষ,

    মুজিব মানে সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশ।

    মুজিব মানে
    45 Views