কইতরিরে ফাঁটি যাওছে মোর জীউ জান
চোখোত না ঝরে পানি না দেয় খোদা দান
না থাকিল খাবার পানি, আছে তিস্তা ভরা
উচলিয়া,ভাসেয়া হামাক কচ্চে জিন্দা মরা,
চর নোহালি,আলমবিদিত,কচুয়া খুঁজো মুই,
পানিত ডুবিছে খুঁজি না পাও এত্তিকোনা ভূঁই,
বুড়ি মা আর কাছুয়া ছোওয়াটাকে নিয়া তুই
বান্দের ডাঙাত আছিস এ দুঃস্ক কোনটে থুই।
মাইনষ্যি ও গরু-ছাগল ওটে সোগ একেকার
কায় গেরেস্ত, কায় কামলা সগার দাবি খাবার।
— তোরা না চিন্তা করেন ইগলা হামার নয়া কি
ভোক ও অভাব এই নিয়াই তো হামরা থাকি।
টাউনের খবর ক’ উজি ওজগার এলা ক্যামন?
কামড়ে থাক ধরি কামাই হউক যেমন তেমন।
তিস্তার পাড়োত এলা খালিই কান্দোনের শব্দ
হামার দীর্ঘ নিঃশ্বাসে বাতাসও হয় মেলা জব্দ।
ইলিপের মাল যা আইসে তাকে দিয়াতো হয় না
কোনটে ইলিপ দেমে তাকো ফির কাও কয় না।
আইতের বেলা গরু-ছাগল সাতে হামরা সোওগ
সাপ,ব্যাঙ,ইন্দুর, বিলাই আর আছে ম্যালা ওগ,
চাইরপাকে পানিবন্দি মাইনষ্যির খালি নাই নাই
চ্যাংটুর বাপ মুই না পারো টাউনোত যাবার চাই।
টাউনোত কি মুই আছোং আজার হালোত বসি
‘সুখের মাও ভাতার ধচ্চে’ মোর মুখোত নাই হাসি,
ইশকা চালে তাকে থাকো অঙিন মাইনষ্যি পাকে
ওমার সুখ দেখি হামরাও খোঁজোং তারে ফাঁকে।
এটে কোনা চোর- ছ্যাচোর ভরা, আছে অংবাজ
এমরা গুলা মশার পেছোনেত ফেলি সোগ কাজ।
গজবে গজবে টাউন গ্রাম সোগ এলা একেকার
আইসো বাহে হাত তুলি দোয়া চাই জইন্যে সবার।