মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

উপমহাদেশে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার শুরু যেভাবে

ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ

২৬ মার্চ, ২০২৩ , ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

উপমহাদেশে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার শুরু যেভাবে - ডা. ফেরদৌস রহমান পলাশ

১৮৩৫ সালে উপমহাদেশে সর্ব প্রথম ‘কলকাতা মেডিকেল কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস সমমান কোর্সে বাংলা ও বিহারের হাতে গোনা অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পেত। পাকিস্তান শাসনামলে পূর্ব বাংলার কিছু কিছু জায়গায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রচলন শুরু হয়। সেই সাথে আস্তে আস্তে পূর্ব বাংলায় ‘অ্যালোপ্যাথিক’ চিকিৎসা বিদ্যার উন্নতি হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ১৯৪৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক এম.বি.বি.এস ডিগ্রি, ১৯৬১ সালে দন্ত চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক বি.ডি.এস ডিগ্রি চালু হয়। এই স্নাতক ডিগ্রিগুলো পরিচালিত হচ্ছে এদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।

পরবর্তীতে এদেশে চিকিৎসাবিদ্যায় ও দন্ত চিকিৎসাবিদ্যায়  স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চালু হয়। সেই সাথে ১৯৫৭ সালের দিকে ব্রিটিশ- পাকিস্তান পিরিয়ডের এদেশের মধ্যম মানের এল.এম.এফ, এম.এম.এফ চিকিৎসকের কোর্স দু’টি তৎকালীন সরকার বন্ধ করে দেয়। তবে, ঐ কোর্স বন্ধ করার পূর্বে তৎকালিন পূ্র্ব পাকিস্তান- বাংলাদেশ সরকার ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজে ( প্রাক্তন ঢাকা মেডিকেল স্কুল) ব্রিটিশ-পাকিস্তান পিরিয়ডের চিকিৎসাবিদ্যায় লাইসেন্সশিয়েট অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি, মেম্বার অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (এল. এম. এফ; এম. এম. এফ) সার্টিফিকেট কোর্সধারী ডিপ্লোমা সমমান চিকিৎসকদের ২ বছর মেয়াদে কনডেন্সে এমবিবিএস কোর্স করিয়ে প্রশাসন, জেলা ও মহুকুমা হাসপাতালে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই চিকিৎসকরা অনেকেই মেডিকেল অধ্যাপকও হয়েছেন।

[চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস: আদি থেকে আঞ্চলিক’ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি থেকে]

ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ
Latest posts by ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ (see all)