হ্যালো…. ফেলানির বাপ, তোরা এ্যালা কোনটে কোনা? বউয়ের ফোন পেয়ে আদর আলী উত্তর দিলো, ক্যানে? মুই তো এ্যালা সিটি বাজারোত ঢুকপ্যার নাকচু।
ফেলানির মা চেঁচিয়ে বলতে লাগলো- সেই কোন সমায় বাড়ি থাকি বাইর হয়া গেইচেন আর এ্যালানি কন সিটি বাজারোত ঢোকেনছোল? তা এতোবেলা ধরি কি করি বেড়াইনেন?তাকে আগোত কন তো মোক? ইতি যে ছাওয়াডার জ্বরে গাওখ্যান পুড়ি যাবার নাকচে-সেডা ফমে আচে?
আদর আলী এবার একটু নরম সুরে বলল-ফমে কেমন না থাকে! এডা একটা কতা কইনেন ফেলানির মাও?দশটা নোহায় পাঁচটা নোহায়-দুনিয়া শুদ্দেয় ফেলানি হামার একনা ছাওয়াল।তার বাদে মোর কি একনাও ময়া নাই?
হইচে, হইচে; আর দরদ দেকপার নাগবের নয়।মুই কি কং সেডা আগোত মোন দিয়া শুনি নেও।ফেলানির মা এবার ইনিয়ে-বিনিয়ে বললেন।সিটি বাজার থাকি আলু,কবি,শিমে,মূলে,পিঁয়েজ, কাঁচা আকালি নেন।আর পাইলে আদা-পাকা দেকি টমেটো নেন তো। আইসপ্যার সমায় অষুদের দোকানোত সমাচারের কতা কয়া ফেলানির বাদে টেবলেডের বড়ি নিয়ে আইসেন কিন্তুক।
ফেলানির মা যতবারই যত কথা বলুক না কেন আদর আলী স্ত্রীর মুখে নতুন করে সে কথাগুলো আর একবার শুনতে চাইবেই। এটা তার পুরোনো অভ্যেস। তাই সে জিজ্ঞেস করল- কি বা কইনেন ফেলানির মাও? অটো আর এশকার হরেনের শব্দে তোমার কথাগুল্যা মুই সউগ শুনব্যারে নাই পাং ……।
ক্যানে? মোর কতা তোরা শুনব্যারে রে নাই পান? তাইলে শোনো ফির কং-আলু,কবি,শিমে,মূ্লে,পিঁয়েজ, কাঁচা আকালি আনব্যার কঁচুং। আর, অষুদের দোকানোত সমাচারের কতা কয়া ফেলানির বাদে টেবলেডের বড়ি নিয়ে আইসেন।
ও হো, এ্যালানে মুই তোমার কতা বুজব্যার পানু। তোরা কোনো চিন্তা না করেন। এই ধরো মুই ঘন্ডাখানেকের ভেতরোত আসপ্যার নাকচোং।
ফেলানির মা বল্লেন,তৎকরি আইসেন।দেরী না করেন।ঠাণ্ডাও খুব বেশি হয়া গেইচে। চাইরো পাকে মাইনসোক যে হারে করুনায় ধরোচে।মুখ থাকি মাকস খুলব্যারে নন।কারো গার সাতে গাও নাগান না।অটোত চড়েন না।উয়াতে মাইনসে দেকচুং মাকস পড়ে না।হাটিয়াও না আইসেন। পাচে ভাংগা ডেরেনোত পড়বেন। টেহা নাগে নাগুক তোরা ইসকা নিয়্যা বাড়িত আইসেন। তোরা মোটে দেরী না করেন ফেলানির বাপ…..। সাবধানে আইসেন। মুঁই এ্যালা মোবাইল থুনু কিন্তু ! মোর ম্যালা কাম পড়ি আচে।
রসিক আদর আলী বললেন, আই লাভ ইউ ফেলানির মা…….মুঁই এ্যালায় আইসোচোং ………..।
লেখক: ছড়াকার, রংপুর।