ভোরবেলা শান্তি লিখতে চেয়েছিলাম
কখন যেন রোদ উঠে গেল, এমন কড়া রোদ,
শান্ত নদীর জল বিরক্ত হতে শুরু করেছে,
জাবর কাটতে থাকা গরুর গা চিড়বিড় করছে
বিরসমুখে মাছি তাড়াতে গিয়ে নিজেকে পেটাচ্ছে
গরুর মালিক রাগী মুখে গরুর লেজ ধরে টানছে
ছোট্ট মেয়েটি মালিককে ডেকে ডেকে ত্যক্ত করছে
মেয়েটির জামা ধরে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে তার মা
মায়ের ভেতরেও চুলা জ্বলছে, কখন হবে ভাত?
এইসব দৃশ্য দেখে নদী গা ছেড়ে দিলো ভাটিতে
যাবার সময় দুয়েকটা জানালার দিকে দৃষ্টি দিয়ে-
একটা জানালার পাশে বসে আছি একটা আমি
ক্লান্ত নদীর দিকে তাকিয়ে শান্তি লিখতে ইচ্ছে করে না।
এর বদলে কী লেখা যায় ভাবছি,
তখন দুপুর এসে উঁকি দেয় বাতাবিলেবুর গাছে
পুকুরের পাশে সুপারির ছায়ায় কিছু হাঁস শুয়ে আছে
হাঁসের দিকে তাকিয়ে মা ভাবছে কে কটা ডিম দেবে,
আব্বা এসে ডিমের টাকা আগাম চেয়ে নিয়ে গেল,
টাকা ফুরিয়ে যাবার ব্যথাসহ গরুর গায়ে হাত বোলাচ্ছে মা-
এই গরু এখন দুপুরবেলা গম্ভীর মুখে ঘাস চিবাচ্ছে
যাকে দেখে বিরক্ত হয়েছিল শান্ত নদীর জল,
নদীর জল দেখে এখন কেবল দুঃখ লিখতে ভালো লাগে।