ভোট গণনা চলছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা বনাম একজন রাজাকার। দুজনই স্বতন্ত্র। মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী জনাব জনিবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক। অন্যজন আব্দুল মোতালেব আনারস প্রতীক। জনশ্রুতি আছে আব্দুল মোতালেবের পিতা আবু তালেব মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীদের পক্ষে কাজ করে। কিন্তু মোতালেবের চাচা আবু তালহা অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। শ্রীলংকার হাইকমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ দশ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালীন তিনি বেশ কিছু প্রভাব প্রতিপত্তি লাভ করেন। এই প্রভাব এবার কেওচালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও পড়েছে।
জনগণ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে যে কেওচালা ইউনিয়ন পাকিস্তান দোসর থেকে মুক্ত হতে পারেনি; হয়তোবা বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে তা হতে চলেছে।
এবার মানুষের মুখে মুখে ছিলো মোটরসাইকেল প্রতীকের কথা। নির্বাচনী প্রচারণায়ও ছিলো দেখার মতো জনঢল। প্রতিটি ভোটারের ছিলো ঐকান্তিক সহযোগিতা। আজকেও ভোট দেওয়ার সময়ও ছিলো একই কলরব মোটরসাইকেল।
নয়টি ভোট কেন্দ্রের ছয়টিতে মোটরসাইকেল ও দুইটিতে আনারস বিজয়ী। আবু মোতালেবের কেন্দ্র। একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেন্দ্রের বাইরে এসে প্রথমে সদস্য বিজয়ীর নাম ঘোষণা করলেন, এরপর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। টান টান উত্তেজনায় তিনি ঘোষণা দিলেন চেয়ারম্যান বিজয়ী উপজেলায় ঘোষণা করা হবে।
উপজেলায় আবু মোতালেবকে ১৬১ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো। জনাব জনিবুরের বিজয়টা ছিলো অনেক কাম্য। তিনি এ অপ্রত্যাশিত ফলাফল মেনে নিতে পারলেন না। হার্ট অ্যাটাক করলেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করলেন।