বাতাসবনে কাঁপছে কেমন নুয়ে পড়া আলো
বহুদূরের কান্নার স্বর, কে তারে চমকালো?
কে মেখেছে অন্ধকারে পুরান দিনের জ্বর
অনেকগুলো ব্যথার পাশে অনেকগুলো ঝড়।
একটা ঝড়ে বৃক্ষ ভাঙে আরেকটাতে পাতা
মোমের আলোয় কারা যেন লুকিয়ে রাখে মাথা,
মাথা লুকায় ব্যথা লুকায় মোম কাঁপে তিরতির
একটা ভাঙা আয়না দেখে করছে সবাই ভিড়।
আয়না ভাঙার শব্দ এমন কারো মালুম হয় না
ঝড় আসে তাই কোনো বাতাস ঘরের ভেতর রয় না।
যেদিক থেকে বইছে বাতাস
চক্ষু তুলে দেখে
ঘরঘরিয়ে ঘুরছে চাকা
বুকের ভেতর থেকে।
চাকার ভেতর রঙের ছিটা
ছিটকে পড়ে মুখে
মেশিন চলে চাকা ঘোরে
সামান্য এক বুকে।
কোথাও আশা টিকটিকিয়ে
কোথাও ঘড়ি বাজে
আয়না ভেঙে লাগবে জোড়া
জীবন দেখার কাজে।
বইছে বাতাস ঘুরছে চাকা
বাজছে তিরস্কার
বেঁচে আছেন এতটুকুই
মস্ত পুরস্কার।
ঘরের ভেতর দুঃখ অনেক
ঘরের ভেতর কান্না
চুলার ওপর চলছে এখন
মেঘের মাংস রান্না।
মেঘ করেছে উঠানজুড়ে
হরেক পদের দুঃখে
মাংসগুলো পাতে নিয়ে
ঐ যে ঢাকে মুখ কে?
মুখের খাবার মানুষগুলো
ছড়িয়ে দেয় বাইরে
পথে ঘাটেও দুঃখ অনেক
খাবার মানুষ নাইরে।
মেঘ করেছে, এমন মেঘের
বসতবাড়ি কইরে
আমিষ খাবার ইচ্ছে হলে
আমিই তো মেঘ হইরে!
রাত বাড়ে আর বাড়ে আমার
বুড়ো হবার ভয়
চক্ষু আমার আটকে রাখে
হাজার রকম ক্ষয়।
একটা ক্ষয়ে তারা ফোটে
অন্যটাতে জ্বর
আকাশজুড়ে ফুটছে এখন
মুহুর্মুহু ঝড়।
ঝড়ের পরে ঝড়ের আগে
নয়ন ভেজায় কে
ওই যে দেখো আকাশ থেকে
খবর এসেছে।