চতুর্দিকে নিঃস্ব বুকের হাহাকার!
শকুনের তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়ে,
বাধাহীন শোকে স্তব্ধ বাংলা!
উর্দুতে কথা বলে বাংলায় হাসে-কাঁদে বাঙালি!
স্বপ্নরা ধ্রুবতারার আলিঙ্গন পেতে উৎসুক!
রাত্রি নামা ঘুম জগতের চোখে জেগে আছে আগুন!
মৃত্যুর খেয়াঘাটে নৌকার পাল তুলেছে বৈরী বাতাস!
কতকাল ঘুঘু-দোয়েল নৃত্য করেছে খালি পেটে,
খাঁ-খাঁ রোদে মাঠের বুকে চিড়ে বেড়িয়েছে শস্য,
নগ্ন মেয়েটার ইজ্জতে বেড়া বেঁধেছে তীব্র ঘৃণার সম্মান!
চেনা রক্ত দেখে বিক্ষুব্ধ হুংকারে
ডেকে মরেছে রাতের পেঁচা!
আশাহীন চাঁদ অফুরন্ত আলো চেয়েছে আমাবস্যার কাছে!
দেয়নি,তবে শিখিয়েছে আলো ধরতে!
অতঃপর ক্যালেন্ডারে সংখ্যার ভবিষ্যৎ
পাল্টালো বাংলা অক্ষর!
‘বাংলা-বাঙালি’ জন্মতেই নাকি ছিলো মরণের ভয়,
পৃথিবী কেঁপে উঠেছে দেখে বাঙালির এ মহা বিজয়!