-আইজ ভেষণ জার নাগোছে বউ!
— বিয়ান বিয়ান তোমার আরও যা কতা, শেতেরদেনোত জার নাগবে নাতো কী গরম নাগবে?
-ধুর…ও, তোক্ কোনো কতা কওয়ায় যায় না। একান কতা কইলে খালি ঠাসঠাস করি আরেকটা ওত্তর দেইস।
— হয়…। তা মোর সাথোত কতা না কইলেই পারেন। মোর মোখোত কোনো মধু নাই। আছেন তো সোখোত কী বোজমেন। সেই সক্কালে উঠি কাম করতোছি, ঠাণ্ডাত হাতপাও বরপ হওয়া গেইছি, মুই এলা কাক্ কও? হইচে, এলা ওটো…। উঠি মোক এনা উদ্ধার করো।
মাও ময়না…. কোনটে গেইনেন মাও, এদি মোর কাছোত এনা এস্কা মোছা কপড়াখান ধরি আইসোতো মাও, মেলা বেলা হয়া গেইছি টপকরি শহরোত এস্কা ধরি কামাইত যাওয়া নাগবে, আইজ বুঝি আর স্কুলের ভড়া ধরির পাইম না, মেলা নেট হয়া গেইছি আইজ।
-বাজান অংপুর গেইলে মোর বোদে একান ফাইভের নয়া বাংলা ব্যাকরণ বই আর যে জার পইরচে তার বাদে একান মোর জামপাটও ধরি আইসেন তো।
— ক্যানে মাও সেদিনে না বই আনি দিনু?
– ছার কইছে এলা বোলে ওটা বই আর চইলবার নোয়ায়, নয়া নয়া কী কী বলে দেছে নয়া বইয়োত।
— কায় জানে বা… কী যে নয়া নয়া ভেজাল হয়ছে! ঠিক আছে মাও আনিম এলা।
-ময়নার বাপ বেটিক ধরি কী আও করেনছেন এতকন হাতে?
— তুই থামলু এলা। এই বেটিছওয়ার জবানোত কোনোই অসকষ নাই, সোগসময় খালি খাসাউ খাসাউ…।
-হয়… মুই কতা কইলে তো, তোমার খালি আগ চরি যায়! বেটিক অতো পড়ানেকা করায়া কী কইরমেন শোনো? সেই তো ব্যাচে খাওয়ায় নাইগবে। মাইনসির বাড়িত যায়া কাম করি খাওয়ায় নাইগবে।
— তুই চুপ হলু ময়নার মাও! (শালির বেটিছওয়া)।
— মাও… তাইলে থাকেন, মুই আসনু। মন দিয়া পড়া পড়েন, তোমার মাকো এনা কাজোত আগেটাগে দ্যান। বাইরোত কিন্তু এক্কেবারে বেড়াইমেন না, সাবধানে থাকেন মাও!
-আইচ্ছা বাজান। বই আনির কতা ভোলেন না ফির।
— ঠিক আছে মাও, ভুলিম না, আনিম… আনিম।
লেখক: কবি, রংপুর।