ক্যা ব্যাহে —
এই কনকনে হাড়কাঁপানো শীতোত
ওমরা ব্যালে হামাক কম্বল দ্যায়!
ন্যাপ দ্যায়! শীতের কাপড় বিলায়!
হামার কপালোত কি কিছুই জোটে না?
খালি শুনি আইজ ব্যালে ওমরা কম্বল দেবে!
কাইল ব্যালে ন্যাপ-তোষক দেবে!
হাড্ডি মেরা শরিল নিয়া কাজ কাম ছাড়ি
আইজ মুই যখন বাড়ি থাকি বেড়ানু,
আছিয়া আসি কইলে- আইজ কম্বল দেওয়া শ্যাষ।
কি আর করোঁও, ঝুপরিত ফিরি আসিয়া
শামটি আনা পাতাত আগুন ধরে দ্যাঁও
গাও খান গরম করি সকালের ভাত খায়া
ছিঁড়া চটের কম্বলখান গাওত দিয়া শুতি পড়োঁও।
ক্যা ব্যাহে —
হামার ওস্তোম আলিক ভোট দিয়া যে
হামরাগুলা তাক চেয়ারমেন বানাইনো!
কই, তাঁয় ক্যানেবা অ্যালা হামার খবরে ন্যায় না।
ভোটের আগোত ওমরা খালি ঘনঘন পাক পারিল,
অ্যালা ক্যানেবা ওমরা হামার গেরামোতে আইসে না!
ভোট চাবার আসিয়া ওমরা হামাক মাও কইলে,
চাচি কইলে, পাওত পড়ি ছালাম করলে।
অ্যালা ফির হামার কি দোষ দেখিল?
বাপরে, হামাক অ্যাকনা কম্বলে দ্যায় না!
না কি হামাক ভুলি গেইচে?
ক্যা ব্যাহে–
চেয়ারমেন হইলে কি সবায় এই মতোন হয়?
— এমনি আরো কতো ব্যথাভরা আক্ষেপ
শতবর্ষী পাতানিপুড়ির স্বরকাঁপা কন্ঠে!
পাতানিবুড়ির সাথে আমার শৈশব থেকে ওঠাবসা
তার মমতামাখা কোমল স্পর্শ আজও
আমাকে মানুষ হয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।
আমি নিতান্তই একজন সামান্য কবি,
কম্বল বিতরণের সামর্থ্য আমার নেই।
এই হাড়কাঁপা কনকনে শীতে
তোমারা কি কেউ পারো না
কঙ্কালসার পাতানিবুড়ির গায়ে
মানবতা ও সহানুভূতির এক টুকরো
কম্বল জড়িয়ে দিতে?