সেই কবে কিংবা কোন কৌতুহলে
এক ডায়েরি লিখেছিলাম আমি
মনে পড়েনা একদম৷
ডায়েরির প্রতিটি পাতায়
শৈশব-কৈশোর-যৌবনের স্মৃতিচারণ,
ইনা-মিনা-টিনা আরো কত
প্রেয়সীর নাম৷
প্রতিটি প্রেমে কত শর্তের কসম৷
এটা থাকলে ওকে আর
সেটা থাকলে তাকে পাওয়া যায়!
এখন প্রেমে চলছে বানিজ্যিকিকরণ,
লেনা-দেনার পারস্পরিক চুক্তি যেন!
হাতে হাত, অধরে অধর
কিংবা শরীরে শরীর রাখার মূল্যগুলোও
মেটানো যায় “গিফট’ নামক এক অদ্ভুত মূল্যে!
যেমন করে ঘুষের নাম হয়েছে ‘মিষ্টির টাকা’!
পতিতাপল্লি ভেঙ্গে বাড়িয়েছি ভাসমান পতিতা
আর লম্পটের লঙ্গরখানা৷
সহজে এখন প্রেমিক হওয়া যায়
কিন্ত জীবনসঙ্গী নয়৷
কোনো শর্তই পূরণ করতে পারিনি জীবনে
তাই পাওয়া হয়নি ইনা-মিনা-টিনাদের৷
তোমাকে যেদিন বিয়ে করলাম
পরিবারের চাপে৷
মনে হতো মেরে ফেলি কোনো এক রাতে৷
কত অযত্ন আর অবহেলা করেছি তোমায়৷
কিচ্ছুটি না বলে
শুধু সয়ে গেছো নিরালায়৷
আজ এই মধ্যরাতে
আমার হাতে সেই ডায়েরিখানা৷
নস্ট্রালজিক না হয়ে বরং ক্ষিপ্ত হাতে
ছিঁড়ে ফেলি ডায়েরির কত শত পাতা৷
আগুনে পুড়িয়ে ফেলি ছেঁড়া কাগজের সাথে
ইনা-মিনা-টিনাদের নাম চিরতরে৷
‘নিউ লুক’ প্রাপ্ত ডায়েরির
অবশিষ্ট একটি পাতায় লিখে রাখলাম
শুধু তোমারই নাম৷