বাংলা বর্ণমালা ও বায়ান্নের একুশ
বায়ান্নের একুশ বাংলা ভাষার বর্ণের রূপকার,
ভাষা শহিদের রক্তে জন্য,পেলাম বর্ণমালা উপহার।
একুশ মোদের মায়ের ভাষা জ্ঞানের দীপ্ত বাতি
বাংলা ভাষায় কথা বলে আজ বাঙালি জাতি।
একুশ মোদের ফাগুন মাসের নানান রঙের ফুল-
সালাম রফিক বরকত জব্বারের রক্ত মাখা চুল।
একুশ শুধু নয় বাঙালির, বিশ্ব মাতৃভাষার চেতনা-
মাতৃভাষার স্বীকৃত দিবস, বিশ্ববাসীর প্রণোদনা।
স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের পঞ্চাশ বর্ণের বাংলা বর্ণমালা-
ভিনদেশি মায়ের ভাষা, যায় না মন খুলে সব বলা।
বর্ণবর্ণে যোগসূত্রে বাংলা মায়ের ভাষা-
ছিলাম যেন মূর্খ বাঙালি দিনমজুর আর চাষা।
অ-আ-ক-খ, যত বাংলা স্বর-ব্যঞ্জনবর্ণ-
শহিদ মিনার স্মৃতিস্তম্ভ ভাষা শহিদের জন্য।
মূর্খ-মজুর যত পণ্ডিত ভাষার জন্য যাদের অবদান-
তাই এই বাংলার সবখানে এখন বাংলা মায়ের জয় গান।
সাত সকালে প্রভাতফেরি, যায় মিলে সব দলে দলে-
শহিদ মিনার ভরপুর হয় যায়, ফাল্গুনের ফুলে ফুলে।
একুশ মোদের ভাষার বিজয় স্বাধীনতার সূত্রপাত-
বায়ান্ন, একাত্তরে ঐ পাকিরা হয়েছে কুপকাত।
বাংলার বর্ণমালা মাতৃবর্ণ স্বীকৃত রাষ্টভাষা-
বায়ান্নের একুশ বিশ্বমাতৃভাষা দিবস-
মোরা এখন শিক্ষিত চাষা!